ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

সমুদ্র থেকে ভেসে আসছে জেলি ফিশ, সর্তক সংকেত

  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একের পর এক ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। এসব জেলি ফিশের একেকটির ওজন ১২ থেকে ১৫ কেজি। নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘদিন পর সাগরে মাছ ধরা ও নানা প্রতিকূলতার কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্দা, দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী পয়েন্ট ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। এসব পয়েন্টে শতাধিক জেলি ফিশের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরে সূর্যের তাপে গলে যাচ্ছে মেরুদ-হীন এসব প্রাণী। সমুদ্রে গোসল করতে নামা পর্যটকদের পায়েও লাগছে এগুলো ফিশ। এতে বড় কোসো ক্ষতি না হলেও অল্প সময়ের জন্য শরীর চুলকায়। সমুদ্রপাড়ে দায়িত্বে থাকা লাইফগার্ডের কাছে বিষয়টি স্বাভাবিক হলেও এতে বিব্রত পর্যটকরা। সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা লাইফ গার্ড ইয়াছিন আরফাত জানান, সাগর থেকে ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। আর তা সূর্যের তাপে তা গলেও যাচ্ছে। এ ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তবে এইবার একটু বেশি। অনেক পর্যটক না বুঝে জেলি ফিসে হাত দেয় অথবা গোসল করার সময় পর্যটকের পায়ে লাগে, এতে চুলকায়। তাই পর্যটকদের নিষেধ করা হয়, যেন এসব না ধরে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা রাকিব হোসেন বাপ্পী নামে এক পর্যটক জানান, কক্সবাজার এর আগে আরও তিন বার আসা হয়েছে কিন্তু এই চিত্র দেখা যায়নি। সমুদ্রে পাড়ে জেলি ফিশ দেখার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এভাবে মারা যাওয়ার দৃশ্য ভালো লাগেনি। এছাড়া এসব জেলি ফিসের কারণে অনেক পর্যটক বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত। এ ব্যাপারে বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি ডিভিশনের প্রধান আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জালে আটকা পড়ে হয়ত এসব জেলি ফিশ মারা যাচ্ছে। তবে সমুদ্র দূষণ বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা গবেষণায় উঠে আসবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না: মির্জা ফখরুল

সমুদ্র থেকে ভেসে আসছে জেলি ফিশ, সর্তক সংকেত

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একের পর এক ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। এসব জেলি ফিশের একেকটির ওজন ১২ থেকে ১৫ কেজি। নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘদিন পর সাগরে মাছ ধরা ও নানা প্রতিকূলতার কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্দা, দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী পয়েন্ট ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। এসব পয়েন্টে শতাধিক জেলি ফিশের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরে সূর্যের তাপে গলে যাচ্ছে মেরুদ-হীন এসব প্রাণী। সমুদ্রে গোসল করতে নামা পর্যটকদের পায়েও লাগছে এগুলো ফিশ। এতে বড় কোসো ক্ষতি না হলেও অল্প সময়ের জন্য শরীর চুলকায়। সমুদ্রপাড়ে দায়িত্বে থাকা লাইফগার্ডের কাছে বিষয়টি স্বাভাবিক হলেও এতে বিব্রত পর্যটকরা। সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা লাইফ গার্ড ইয়াছিন আরফাত জানান, সাগর থেকে ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। আর তা সূর্যের তাপে তা গলেও যাচ্ছে। এ ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তবে এইবার একটু বেশি। অনেক পর্যটক না বুঝে জেলি ফিসে হাত দেয় অথবা গোসল করার সময় পর্যটকের পায়ে লাগে, এতে চুলকায়। তাই পর্যটকদের নিষেধ করা হয়, যেন এসব না ধরে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা রাকিব হোসেন বাপ্পী নামে এক পর্যটক জানান, কক্সবাজার এর আগে আরও তিন বার আসা হয়েছে কিন্তু এই চিত্র দেখা যায়নি। সমুদ্রে পাড়ে জেলি ফিশ দেখার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এভাবে মারা যাওয়ার দৃশ্য ভালো লাগেনি। এছাড়া এসব জেলি ফিসের কারণে অনেক পর্যটক বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত। এ ব্যাপারে বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি ডিভিশনের প্রধান আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জালে আটকা পড়ে হয়ত এসব জেলি ফিশ মারা যাচ্ছে। তবে সমুদ্র দূষণ বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা গবেষণায় উঠে আসবে।