ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

স’মিল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বোনাস প্রদানের দাবি

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ স’মিল শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং বি-২২০০ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস এক যুক্ত বিবৃতিতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকল শ্রমিকদের উৎসব বোনাস ও বকেয়া মজুরি পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, চাল, ডাল, তেল, লবন, চিনি, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধ-ডিম, ঔষুধপত্রসহ নিত্যপণ্যে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি দফায় দফায় সিলিন্ডার গ্যাস, জ্বালানি তেল, বাড়িভাড়া-গাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য শ্রমিকদের মতো স’মিল শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চয়তায় অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে একজন শ্রমিকের দৈনন্দিন খাওয়া খরচ নি¤œতম ১৫০-২০০ টাকা, সেই হিসেবে ৬ জনের একটি পরিবারের জন্য শুধু খাবার খরচের জন্য মাসিক ২৪হাজার টাকা প্রয়োজন। স’মিল শ্রমিকরা কাজ করে যে মজুরি পেয়ে থাকেন তা দিয়ে বর্তমান বাজারে ১০ দিন চলাই দায়। স’মিল শ্রমিকরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যেমন ন্যায্য মজুরি পান না, তেমননি অনেক ক্ষেত্রে মালিকরা কাজ শেষেও মজুরি পরিশোধ করেন না। শ্রমিকদের চাকুরির নিশ্চয়তা ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। স’মিলের মালিকরা শ্রমআইন, রাষ্ট্রীয় আইনের তোয়াক্কা করেন না। শ্রমআইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি, মজুরিসহ সাপ্তাহিক ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন), চিকিৎসা ছুটি (বছরে ১৪ দিন), উৎসব ছুটি (বছরে ১১ দিন) অর্জিত ছুটি (বছরে ২০ দিন) ইত্যাদি প্রদান করা হয় না। শ্রমিকদের কথায় কথায় ছাঁটাই করা হয়। শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে স’মিলে কর্মরত শ্রমিকদের শতকরা ৬০ শতাংশ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। কাজ করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের উপযুক্ত চিকিৎসা যেমন মালিক করেন না, তেমনি অঙ্গহানি ও মৃত্যুর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপুরণও দেওয়া হয়না। নেতৃবৃন্দ আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বে সকল স’মিল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং এক মাসের মজুরির সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদান, অবিলম্বে মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ বাচাঁর মতো মজুরি ঘোষণা, ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রমআইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে সকল শ্রমিককে মজুরিসহ ছুটি প্রদান এবং কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাঃ চশমা, মাক্স, গ্লাভস, হেলম্যাট, গামবুট ও কাজের উপযোগী পোশাক প্রদান করার দাবি জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

স’মিল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বোনাস প্রদানের দাবি

আপডেট সময় : ০২:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ স’মিল শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং বি-২২০০ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস এক যুক্ত বিবৃতিতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকল শ্রমিকদের উৎসব বোনাস ও বকেয়া মজুরি পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, চাল, ডাল, তেল, লবন, চিনি, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধ-ডিম, ঔষুধপত্রসহ নিত্যপণ্যে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি দফায় দফায় সিলিন্ডার গ্যাস, জ্বালানি তেল, বাড়িভাড়া-গাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য শ্রমিকদের মতো স’মিল শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চয়তায় অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে একজন শ্রমিকের দৈনন্দিন খাওয়া খরচ নি¤œতম ১৫০-২০০ টাকা, সেই হিসেবে ৬ জনের একটি পরিবারের জন্য শুধু খাবার খরচের জন্য মাসিক ২৪হাজার টাকা প্রয়োজন। স’মিল শ্রমিকরা কাজ করে যে মজুরি পেয়ে থাকেন তা দিয়ে বর্তমান বাজারে ১০ দিন চলাই দায়। স’মিল শ্রমিকরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যেমন ন্যায্য মজুরি পান না, তেমননি অনেক ক্ষেত্রে মালিকরা কাজ শেষেও মজুরি পরিশোধ করেন না। শ্রমিকদের চাকুরির নিশ্চয়তা ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। স’মিলের মালিকরা শ্রমআইন, রাষ্ট্রীয় আইনের তোয়াক্কা করেন না। শ্রমআইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি, মজুরিসহ সাপ্তাহিক ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন), চিকিৎসা ছুটি (বছরে ১৪ দিন), উৎসব ছুটি (বছরে ১১ দিন) অর্জিত ছুটি (বছরে ২০ দিন) ইত্যাদি প্রদান করা হয় না। শ্রমিকদের কথায় কথায় ছাঁটাই করা হয়। শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে স’মিলে কর্মরত শ্রমিকদের শতকরা ৬০ শতাংশ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। কাজ করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের উপযুক্ত চিকিৎসা যেমন মালিক করেন না, তেমনি অঙ্গহানি ও মৃত্যুর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপুরণও দেওয়া হয়না। নেতৃবৃন্দ আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বে সকল স’মিল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং এক মাসের মজুরির সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদান, অবিলম্বে মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ বাচাঁর মতো মজুরি ঘোষণা, ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রমআইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে সকল শ্রমিককে মজুরিসহ ছুটি প্রদান এবং কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাঃ চশমা, মাক্স, গ্লাভস, হেলম্যাট, গামবুট ও কাজের উপযোগী পোশাক প্রদান করার দাবি জানান।