ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

সমাবেশের জন্য রাস্তা বেছে নেওয়াকে দুরভিসন্ধি বললেন তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি সবসময় ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশস্থল নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে, মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ না। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবসময় বড় জনসভা যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ। কারণ, সেখানে গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করা যাবে এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে বিএনপির গণগ্রেফতারের অভিযোগ খ-ন করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুন সন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিল, তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, মানুষ মনে করছে তাদেরও গ্রেফতার করা দরকার।’
ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনসভায় ভোগান্তি হলেই তো পত্রিকা লেখে যে জনসভায় মানুষ হয়েছে, তবে ভোগান্তিও হয়েছে। জনসভা অবশ্যই ময়দানে হয়। গতকাল যেমন আমরা চট্টগ্রামে জনসভা করেছি, লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকার পুরোটা ছিল মানুষে সয়লাব। বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্যমেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইস্তেমার মাঠ কিংবা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে, সেখানেও হতে পারে।’ বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতারের অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার পয়লা ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ইংরেজি নববর্ষ—এগুলো নিয়ে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়। সারা দেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল, তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেফতার করা হয়, সেটি আইনগত বিষয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সমাবেশের জন্য রাস্তা বেছে নেওয়াকে দুরভিসন্ধি বললেন তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি সবসময় ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশস্থল নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে, মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ না। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবসময় বড় জনসভা যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ। কারণ, সেখানে গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করা যাবে এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে বিএনপির গণগ্রেফতারের অভিযোগ খ-ন করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুন সন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিল, তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, মানুষ মনে করছে তাদেরও গ্রেফতার করা দরকার।’
ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনসভায় ভোগান্তি হলেই তো পত্রিকা লেখে যে জনসভায় মানুষ হয়েছে, তবে ভোগান্তিও হয়েছে। জনসভা অবশ্যই ময়দানে হয়। গতকাল যেমন আমরা চট্টগ্রামে জনসভা করেছি, লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকার পুরোটা ছিল মানুষে সয়লাব। বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্যমেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইস্তেমার মাঠ কিংবা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে, সেখানেও হতে পারে।’ বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতারের অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার পয়লা ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ইংরেজি নববর্ষ—এগুলো নিয়ে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়। সারা দেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল, তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেফতার করা হয়, সেটি আইনগত বিষয়।