ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

সমবয়সীদের সঙ্গে শিশুরা চাপ অনুভব করে

  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: স্মার্টফোন প্রায় সবার জন্য দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি শিশুর থেকে দূরে রাখা মুশকিল। তাই তো স্মার্টফোন যেমন তাদের জন্য বিনোদনের উৎস তেমনই ফেলতে পারে ক্ষতিকর প্রভাব। যদিও মোবাইল ফোন শিশুকে সংযুক্ত থাকতে এবং নতুন জিনিস শিখতে সাহায্য করে, তবুও এটি হাতে পেলে তাদের পড়াশোনা ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কীভাবে স্মার্টফোন শিশুর শিক্ষা ও সুস্থতার ওপর প্রভাব ফেলছে, তা হলোÑ
পড়ালেখা থেকে বিরত রাখে: স্মার্টফোন খুব সহজেই যে কারও মনোযোগ আকর্ষণ করে। বিশেষ করে পড়াশোনার সময়ে এটি হাতে পেলে শিশুরা এর লোভনীয় সব অ্যাপ রেখে পড়ায় মন দিতে চায় না। এই বিভ্রান্তির কারণে তাদের একাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হতে পারে। এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য পড়াশোনা করার সময় মা-বাবাকে কিছু কাজ করতে হবে। যেমনÑ শিশুর পড়াশোনার সময় মা-বাবাকেও ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে। তখন তাদের ফোনে ‘ডোন্ট ডিস্টার্ব মুড’ অন করে রাখতে হবে। শিশুরা যে সময় এবং অ্যাপ ব্যবহার করে সে বিষয়েও তাদের নিয়ম সেটআপ করতে হবে। পড়ার সময় ফোন দূরে রাখলে তা মনোযোগ উন্নত করতে সাহায্য করবে।
অনলাইন গেমে আসক্তি: শিশুরা ফোন হাতে পেলে তা দিতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। এর বদলে তারা বরং অনলাইন গেমিংয়ে ঘণ্টার ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারে; যা আসক্তির পর্যায়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি তাদের পড়ার সময়কে সংক্ষিপ্ত করে এবং ঘুমেও বিঘ্ন ঘটায়; যা তাদের জন্য ক্লাসে মনোনিবেশ করা আরও কঠিন করে তোলে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের খেলার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত, বিশেষ করে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোয়। ডিভাইস ব্যবহার না করে শিশুদের বিনোদন দিতে তাদের অফলাইন শখ, খেলাধুলা ও পড়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন।
সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহার: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো আজকাল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি প্রধান বিভ্রান্তি। শিশুদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রলিং ও চ্যাটিং হয়। এটি শুধু পড়ার সময়ই নষ্ট করে না, বরং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। কারণ শিশুরা অন্যদের পোস্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বা সমবয়সীদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করার জন্য চাপ অনুভব করতে পারে। এই সময় মা-বাবার জন্য সন্তানদের সামাজিক মিডিয়ার খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে শেখানো উচিত। যেমনÑ আত্মসম্মানে এর প্রভাব। অভিভাবকদের উচিত তাদের শিশুদের সামাজিক অ্যাপ থেকে বিরতি নিতে শেখানো। শিশুদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত, সব সময় অনলাইনে থাকা ঠিক নয়। যে অ্যাপগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ট্র্যাক ও সীমিত করে সেগুলোও শিশুদের পড়াশোনার সঙ্গে ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করতে পারে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সমবয়সীদের সঙ্গে শিশুরা চাপ অনুভব করে

আপডেট সময় : ০৬:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

নারী ও শিশু ডেস্ক: স্মার্টফোন প্রায় সবার জন্য দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি শিশুর থেকে দূরে রাখা মুশকিল। তাই তো স্মার্টফোন যেমন তাদের জন্য বিনোদনের উৎস তেমনই ফেলতে পারে ক্ষতিকর প্রভাব। যদিও মোবাইল ফোন শিশুকে সংযুক্ত থাকতে এবং নতুন জিনিস শিখতে সাহায্য করে, তবুও এটি হাতে পেলে তাদের পড়াশোনা ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কীভাবে স্মার্টফোন শিশুর শিক্ষা ও সুস্থতার ওপর প্রভাব ফেলছে, তা হলোÑ
পড়ালেখা থেকে বিরত রাখে: স্মার্টফোন খুব সহজেই যে কারও মনোযোগ আকর্ষণ করে। বিশেষ করে পড়াশোনার সময়ে এটি হাতে পেলে শিশুরা এর লোভনীয় সব অ্যাপ রেখে পড়ায় মন দিতে চায় না। এই বিভ্রান্তির কারণে তাদের একাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হতে পারে। এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য পড়াশোনা করার সময় মা-বাবাকে কিছু কাজ করতে হবে। যেমনÑ শিশুর পড়াশোনার সময় মা-বাবাকেও ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে। তখন তাদের ফোনে ‘ডোন্ট ডিস্টার্ব মুড’ অন করে রাখতে হবে। শিশুরা যে সময় এবং অ্যাপ ব্যবহার করে সে বিষয়েও তাদের নিয়ম সেটআপ করতে হবে। পড়ার সময় ফোন দূরে রাখলে তা মনোযোগ উন্নত করতে সাহায্য করবে।
অনলাইন গেমে আসক্তি: শিশুরা ফোন হাতে পেলে তা দিতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। এর বদলে তারা বরং অনলাইন গেমিংয়ে ঘণ্টার ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারে; যা আসক্তির পর্যায়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি তাদের পড়ার সময়কে সংক্ষিপ্ত করে এবং ঘুমেও বিঘ্ন ঘটায়; যা তাদের জন্য ক্লাসে মনোনিবেশ করা আরও কঠিন করে তোলে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের খেলার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত, বিশেষ করে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোয়। ডিভাইস ব্যবহার না করে শিশুদের বিনোদন দিতে তাদের অফলাইন শখ, খেলাধুলা ও পড়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন।
সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহার: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো আজকাল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি প্রধান বিভ্রান্তি। শিশুদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রলিং ও চ্যাটিং হয়। এটি শুধু পড়ার সময়ই নষ্ট করে না, বরং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। কারণ শিশুরা অন্যদের পোস্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বা সমবয়সীদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করার জন্য চাপ অনুভব করতে পারে। এই সময় মা-বাবার জন্য সন্তানদের সামাজিক মিডিয়ার খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে শেখানো উচিত। যেমনÑ আত্মসম্মানে এর প্রভাব। অভিভাবকদের উচিত তাদের শিশুদের সামাজিক অ্যাপ থেকে বিরতি নিতে শেখানো। শিশুদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত, সব সময় অনলাইনে থাকা ঠিক নয়। যে অ্যাপগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ট্র্যাক ও সীমিত করে সেগুলোও শিশুদের পড়াশোনার সঙ্গে ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করতে পারে।