ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

সব সম্পর্কে বিশ্বাস তৈরিতে সম্মান গুরুত্বপূর্ণ

  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমরা প্রত্যেকেই চাই সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়তে। এমন একজন মানুষের সঙ্গে আমরা জীবন পার করতে চাইÑ যার জীবনে আমরা বিশেষ কেউ হয়ে থাকতে পারবো। কিন্তু স্বপ্ন কি সব সময় সত্যি হয়ে আসে? সম্পর্কের শুরুতে এমনটা মনে হলেও একটা সময় তা ফিকে হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায়। সম্পর্কটি পুরোনো হয়ে গেলে বাস্তবতা এসে ধাক্কা দিতে শুরু করে। তাই তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিশ্বাসের বিকল্প নেই। বিশ্বাস তৈরি করা এবং বজায় রাখা সহজ নয়। এ জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। তা হলোÑ
মন খুলে কথা বলা : বিশ্বাস একদিনে গড়ে তোলা যায় না। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং সময় লাগে। কোনো সম্পর্কের শুরু থেকেই মন খুলে কথা বলতে পারার মতো স্বাধীনতা থাকা দরকার। যদি শুরু থেকেই তার কাছ থেকে এটি-সেটি অনেক কিছু লুকাতে হয় তাহলে ওই সম্পর্ক একটা সময় আপনার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে। যখন পরস্পরের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকে না, তখন আস্থার সুযোগ থাকে না।
উপযুক্ত সময় কাটানো: যদি সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করতে চান তাহলে পরস্পরের উপযুক্ত সময় কাটানো উচিত। একসঙ্গে ভালো সময় কাটালে তা একে অন্যকে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে। তার সঙ্গে সুন্দর করে কথা বলুন, একে অন্যের সম্পর্কে জানুন। এভাবে ধীরে ধীরে একে অন্যকে বিশ্বাস করতে শুরু করবেন।
কথা নয়, কাজে প্রমাণ: আপনি যদি ধীরে ধীরে আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে চান এবং বিশ্বাস তৈরি করতে চান তাহলে ভালোবাসার ভাষা প্রকাশ করুন। অর্থাৎ আপনার কাজের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রমাণ দিন। শুধু মুখের কথা বা একে অন্যকে প্রতিশ্রুতি দেওয়াই নয়। সেগুলো করে দেখান। আপনি যে তার প্রতি যত্নশীল তা আপনার কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিন।
মানসিক সংযোগ: সম্পর্কে মানসিক সংযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুভূতি ও মানসিক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একে অন্যের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। একে অন্যকে নিজের দুর্বল দিকটি জানান। এতে মানসিক ঘনিষ্ঠতা উন্নত ও বিশ্বাস তৈরি হবে। নিজের কষ্টের কথা কাউকে বলার অর্থ হলো তাকে আপনি বিশ্বাস করেন।
সম্মান: সব সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সম্মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার সঙ্গী, তার পছন্দ, সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বাসকে সম্মান না করেন, তাহলে তাকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। একে অপরকে বিশ্বাস করার জন্য অবশ্যই আপনার সঙ্গীর পছন্দ এবং সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সব সম্পর্কে বিশ্বাস তৈরিতে সম্মান গুরুত্বপূর্ণ

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমরা প্রত্যেকেই চাই সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়তে। এমন একজন মানুষের সঙ্গে আমরা জীবন পার করতে চাইÑ যার জীবনে আমরা বিশেষ কেউ হয়ে থাকতে পারবো। কিন্তু স্বপ্ন কি সব সময় সত্যি হয়ে আসে? সম্পর্কের শুরুতে এমনটা মনে হলেও একটা সময় তা ফিকে হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায়। সম্পর্কটি পুরোনো হয়ে গেলে বাস্তবতা এসে ধাক্কা দিতে শুরু করে। তাই তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিশ্বাসের বিকল্প নেই। বিশ্বাস তৈরি করা এবং বজায় রাখা সহজ নয়। এ জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। তা হলোÑ
মন খুলে কথা বলা : বিশ্বাস একদিনে গড়ে তোলা যায় না। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং সময় লাগে। কোনো সম্পর্কের শুরু থেকেই মন খুলে কথা বলতে পারার মতো স্বাধীনতা থাকা দরকার। যদি শুরু থেকেই তার কাছ থেকে এটি-সেটি অনেক কিছু লুকাতে হয় তাহলে ওই সম্পর্ক একটা সময় আপনার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে। যখন পরস্পরের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকে না, তখন আস্থার সুযোগ থাকে না।
উপযুক্ত সময় কাটানো: যদি সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করতে চান তাহলে পরস্পরের উপযুক্ত সময় কাটানো উচিত। একসঙ্গে ভালো সময় কাটালে তা একে অন্যকে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে। তার সঙ্গে সুন্দর করে কথা বলুন, একে অন্যের সম্পর্কে জানুন। এভাবে ধীরে ধীরে একে অন্যকে বিশ্বাস করতে শুরু করবেন।
কথা নয়, কাজে প্রমাণ: আপনি যদি ধীরে ধীরে আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে চান এবং বিশ্বাস তৈরি করতে চান তাহলে ভালোবাসার ভাষা প্রকাশ করুন। অর্থাৎ আপনার কাজের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রমাণ দিন। শুধু মুখের কথা বা একে অন্যকে প্রতিশ্রুতি দেওয়াই নয়। সেগুলো করে দেখান। আপনি যে তার প্রতি যত্নশীল তা আপনার কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিন।
মানসিক সংযোগ: সম্পর্কে মানসিক সংযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুভূতি ও মানসিক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একে অন্যের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। একে অন্যকে নিজের দুর্বল দিকটি জানান। এতে মানসিক ঘনিষ্ঠতা উন্নত ও বিশ্বাস তৈরি হবে। নিজের কষ্টের কথা কাউকে বলার অর্থ হলো তাকে আপনি বিশ্বাস করেন।
সম্মান: সব সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সম্মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার সঙ্গী, তার পছন্দ, সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বাসকে সম্মান না করেন, তাহলে তাকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। একে অপরকে বিশ্বাস করার জন্য অবশ্যই আপনার সঙ্গীর পছন্দ এবং সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে।