ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব সময় ক্লান্ত বোধ ভালো লক্ষণ নয়

  • আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: নাগরিক জীবনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবাই বিরামহীন ছুটে চলেন। যানবাহনে বসে-দাঁড়িয়ে অফিস ফেরত মানুষদের ঝিমানোর দৃশ্য খুব চেনা। আবার কখনো কখনো অফিসে বসেই ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চায় অনেকের। অবসাদ, ক্লান্ত, নির্জীব আর ঘুম ঘুমভাব বা আলসেমি লাগার নানা কারণ থাকতে পারে। তবে সব সময় এ রকম বোধ করা ভালো লক্ষণ নয়। বিভিন্ন কারণে সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভব হতে পারে।
ক্লান্ত হওয়ার একটা বড় কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সঠিক ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া খুবই দরকার; যাতে সঠিক পরিমাণে ক্যালরি থাকবে। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তাদের মধ্যে ক্লান্তির এই সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েডের কারণে মাথা ঘোরা, হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, পেশির ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, গেঁটে বাত প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।
শরীরে অ্যানিমিয়া ও আয়রনের ঘাটতি হলে সব সময় ক্লান্তি লাগতে পারে। রক্তশূন্যতাসহ নানা কারণেই এই ঘাটতি হতে পারে। মেয়েদের রক্তশূন্যতা বেশি দেখা গেলেও ছেলেদেরও হতে পারে। ঋতুমতী নারীদের অনেকে, বিশেষত কম বয়সী মেয়েরা এমন রক্তশূন্যতায় বেশি ভোগে।
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা ‘সিএফএস’ থেকে ক্লান্তি লাগতে পারে, দুর্বলতা ভর করতে পারে শরীরে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ভাইরাসের সংক্রমণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এমনকি প্রচণ্ড মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও এমনটা হতে পারে।
ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামার কারণেও ক্লান্তি হতে পারে। ডায়াবেটিস থেকেও শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া বা ক্লান্তিতে নেতিয়ে পড়তে পারে।
ঘুমের অভাব বা দেরিতে ঘুমানো ক্লান্তিভাব সৃষ্টি করে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তা না হলে শরীর ক্লান্ত ও নির্জীব লাগবে। আর যারা সব সময় হতাশা ও বিষণ্নতায় ভোগেন তারাও অবসাদ, ক্লান্ত বোধ করেন। তাই বিষণ্নতা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এতে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সব সময় ক্লান্ত বোধ ভালো লক্ষণ নয়

আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: নাগরিক জীবনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবাই বিরামহীন ছুটে চলেন। যানবাহনে বসে-দাঁড়িয়ে অফিস ফেরত মানুষদের ঝিমানোর দৃশ্য খুব চেনা। আবার কখনো কখনো অফিসে বসেই ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চায় অনেকের। অবসাদ, ক্লান্ত, নির্জীব আর ঘুম ঘুমভাব বা আলসেমি লাগার নানা কারণ থাকতে পারে। তবে সব সময় এ রকম বোধ করা ভালো লক্ষণ নয়। বিভিন্ন কারণে সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভব হতে পারে।
ক্লান্ত হওয়ার একটা বড় কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সঠিক ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া খুবই দরকার; যাতে সঠিক পরিমাণে ক্যালরি থাকবে। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তাদের মধ্যে ক্লান্তির এই সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েডের কারণে মাথা ঘোরা, হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, পেশির ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, গেঁটে বাত প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।
শরীরে অ্যানিমিয়া ও আয়রনের ঘাটতি হলে সব সময় ক্লান্তি লাগতে পারে। রক্তশূন্যতাসহ নানা কারণেই এই ঘাটতি হতে পারে। মেয়েদের রক্তশূন্যতা বেশি দেখা গেলেও ছেলেদেরও হতে পারে। ঋতুমতী নারীদের অনেকে, বিশেষত কম বয়সী মেয়েরা এমন রক্তশূন্যতায় বেশি ভোগে।
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা ‘সিএফএস’ থেকে ক্লান্তি লাগতে পারে, দুর্বলতা ভর করতে পারে শরীরে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ভাইরাসের সংক্রমণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এমনকি প্রচণ্ড মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও এমনটা হতে পারে।
ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামার কারণেও ক্লান্তি হতে পারে। ডায়াবেটিস থেকেও শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া বা ক্লান্তিতে নেতিয়ে পড়তে পারে।
ঘুমের অভাব বা দেরিতে ঘুমানো ক্লান্তিভাব সৃষ্টি করে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তা না হলে শরীর ক্লান্ত ও নির্জীব লাগবে। আর যারা সব সময় হতাশা ও বিষণ্নতায় ভোগেন তারাও অবসাদ, ক্লান্ত বোধ করেন। তাই বিষণ্নতা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এতে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে।