ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

সব রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। আর শুধু একটি দিবসে নয়, মা বাবার জন্য দোয়া করুন সবসময়।

সব রোগ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা দরকার। আর কোরআন যেহেতু আল্লাহর বাণী তাই আল্লাহর কোরআনের মাধ্যমেই শেফা বা রোগ মুক্তি কামনা করা প্রয়োজন। নিচের দোয়াগুলো রোগ মুক্তির জন্য অনেক উপকারী।

ওয়া ইয়াশফি ছুদূর কাওমিমমুউমিনিন।
অর্থ: আল্লাহ, তুমি মুমিনদের অন্তরকে রোগমুক্ত করে দাও (সুরা: আত তাওবা: ১৪)।

ওয়া শিফা উল্লিমা ফিছছুদূর। ওয়া হুদাও ওয়া রহমাতুললিল মু’মিনিন।
অর্থ: (কোরআন হচ্ছে) মুমিনদের জন্য অন্তরের রোগগুলোর প্রতিষেধক (সুরা ইউনুস: ৫৭)।

ওয়া নুনাঝিঝলু মিনাল কোরআন মা হুওয়া শিফা উওওয়া রহমাতুললিল মুউমিনিন।
অর্থ: কোরআনে আমি এমন বিষয় নাজিল করেছি- যা ইমানদারদের জন্য রোগমুক্তি ও রহমত (সুরা বনী ইসরাইল: ৮২)।

ওয়া ইজা মারিদ্বতু ফাহুয়া ইয়াশফিন।
অর্থ: যখন আমি অসুস্থ হই, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য দান করেন (সুরা শুআরা: ৮০)।

অসুস্থতাকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বলেছেন, ‘আমি পীড়িত হই।’ কিন্তু আরোগ্য দানকে আল্লাহতাআলার কাজরূপে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।’

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন-‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম। কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না’ (বুখারি: ৬৩৪০)।

হাদিসে এসেছে, হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- ‘আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে’ (তিরমিজি)।

রসুল সা. বলেছেন- ‘যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোয় বেশি বেশি দোয়া করে’ (তিরমিজি: ৩৩৮২)।

হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না। আর নেক আমল ছাড়া অন্য কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না (সহিহাহ: ১৫৪, তিরমিজি: ২১৩৯)।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সব রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। আর শুধু একটি দিবসে নয়, মা বাবার জন্য দোয়া করুন সবসময়।

সব রোগ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা দরকার। আর কোরআন যেহেতু আল্লাহর বাণী তাই আল্লাহর কোরআনের মাধ্যমেই শেফা বা রোগ মুক্তি কামনা করা প্রয়োজন। নিচের দোয়াগুলো রোগ মুক্তির জন্য অনেক উপকারী।

ওয়া ইয়াশফি ছুদূর কাওমিমমুউমিনিন।
অর্থ: আল্লাহ, তুমি মুমিনদের অন্তরকে রোগমুক্ত করে দাও (সুরা: আত তাওবা: ১৪)।

ওয়া শিফা উল্লিমা ফিছছুদূর। ওয়া হুদাও ওয়া রহমাতুললিল মু’মিনিন।
অর্থ: (কোরআন হচ্ছে) মুমিনদের জন্য অন্তরের রোগগুলোর প্রতিষেধক (সুরা ইউনুস: ৫৭)।

ওয়া নুনাঝিঝলু মিনাল কোরআন মা হুওয়া শিফা উওওয়া রহমাতুললিল মুউমিনিন।
অর্থ: কোরআনে আমি এমন বিষয় নাজিল করেছি- যা ইমানদারদের জন্য রোগমুক্তি ও রহমত (সুরা বনী ইসরাইল: ৮২)।

ওয়া ইজা মারিদ্বতু ফাহুয়া ইয়াশফিন।
অর্থ: যখন আমি অসুস্থ হই, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য দান করেন (সুরা শুআরা: ৮০)।

অসুস্থতাকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বলেছেন, ‘আমি পীড়িত হই।’ কিন্তু আরোগ্য দানকে আল্লাহতাআলার কাজরূপে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।’

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন-‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম। কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না’ (বুখারি: ৬৩৪০)।

হাদিসে এসেছে, হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- ‘আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে’ (তিরমিজি)।

রসুল সা. বলেছেন- ‘যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোয় বেশি বেশি দোয়া করে’ (তিরমিজি: ৩৩৮২)।

হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না। আর নেক আমল ছাড়া অন্য কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না (সহিহাহ: ১৫৪, তিরমিজি: ২১৩৯)।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ