ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

সব ধরনের গানই দেশের সাংস্কৃতিক পরিসরে চলবে : হেমা চাকমা

  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য হেমা চাকমা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীর, সব ভাষার, সব ধরনের গান যেন সমানভাবে স্থান পায়। সেটা হতে পারে পাহাড়ের গান, বাউলের গান কিংবা লালনের গান। সব ধরনের গানই এই দেশের সাংস্কৃতিক পরিসরে চলবে এবং থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাবির সংগীত বিভাগের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

হেমা চাকমা বলেন, আমার মাতৃভাষা বাংলা নয়, কিন্তু জাতীয় সংগীত শুনলে এখনো আমার মনের ভেতরে যে দেশপ্রেম জাগে, সেটা আমি অন্য কোনো জায়গায় পাই না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গানগুলো শুনলে মানুষের মনে যে স্পিরিট জাগে, যে আমি এই গানের মাধ্যমে আমার দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছি, সেটাই সংগীতের শক্তি।

তিনি বলেন, আন্দোলন তো নাটকের মাধ্যমে হয়, গানের মাধ্যমে হয়, নাচের মাধ্যমে হয়। যেমন আমরা মনির চৌধুরীর নাটক দেখি, কিংবা দেশপ্রেম জাগানো গানগুলো শুনি। সেগুলো শুনলে আমাদের মনে যে স্পিরিট জাগে, সেটা কি আমরা অস্বীকার করতে পারি? আমরা যখন ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের কথা বলি, তখন সংগীত কি আমাদের কোনো কাজে লাগেনি?

রাজপথে যখন ছাত্ররা মুক্তির মন্দিরের সোপানতলে’ গানটি গেয়েছিল, তখন কি সংগীত অনুপ্রেরণা দেয়নি? কিন্তু এখন ২০২৫ সালে এসে কেন আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আবারো কথা বলতে হচ্ছে?

তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন আগে যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে, সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখনো পর্যন্ত জাতীয় সংগীতকে ‘রঠা সংগীত’ বলে আখ্যায়িত করেন। কেন করছে ভাই? এটা কোন ধরনের কথা? এমনটা হওয়ার কথা ছিল না।

এসি/আপ্র/০৬/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সব ধরনের গানই দেশের সাংস্কৃতিক পরিসরে চলবে : হেমা চাকমা

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য হেমা চাকমা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীর, সব ভাষার, সব ধরনের গান যেন সমানভাবে স্থান পায়। সেটা হতে পারে পাহাড়ের গান, বাউলের গান কিংবা লালনের গান। সব ধরনের গানই এই দেশের সাংস্কৃতিক পরিসরে চলবে এবং থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাবির সংগীত বিভাগের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

হেমা চাকমা বলেন, আমার মাতৃভাষা বাংলা নয়, কিন্তু জাতীয় সংগীত শুনলে এখনো আমার মনের ভেতরে যে দেশপ্রেম জাগে, সেটা আমি অন্য কোনো জায়গায় পাই না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গানগুলো শুনলে মানুষের মনে যে স্পিরিট জাগে, যে আমি এই গানের মাধ্যমে আমার দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছি, সেটাই সংগীতের শক্তি।

তিনি বলেন, আন্দোলন তো নাটকের মাধ্যমে হয়, গানের মাধ্যমে হয়, নাচের মাধ্যমে হয়। যেমন আমরা মনির চৌধুরীর নাটক দেখি, কিংবা দেশপ্রেম জাগানো গানগুলো শুনি। সেগুলো শুনলে আমাদের মনে যে স্পিরিট জাগে, সেটা কি আমরা অস্বীকার করতে পারি? আমরা যখন ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের কথা বলি, তখন সংগীত কি আমাদের কোনো কাজে লাগেনি?

রাজপথে যখন ছাত্ররা মুক্তির মন্দিরের সোপানতলে’ গানটি গেয়েছিল, তখন কি সংগীত অনুপ্রেরণা দেয়নি? কিন্তু এখন ২০২৫ সালে এসে কেন আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আবারো কথা বলতে হচ্ছে?

তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন আগে যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে, সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখনো পর্যন্ত জাতীয় সংগীতকে ‘রঠা সংগীত’ বলে আখ্যায়িত করেন। কেন করছে ভাই? এটা কোন ধরনের কথা? এমনটা হওয়ার কথা ছিল না।

এসি/আপ্র/০৬/১১/২০২৫