ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি পদত্যাগ করবেন? ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন

  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে নানা সংকটের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে বিএনপি। এর জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন?’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ‘বিশ্বের সব দেশই সংকট মোকাবেলা করে চলছে এবং আগামীতে এ সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার পথও খুঁজছে বিশ্ববাসী’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সব দেশই এই সংকট মোকাবেলা করছে এবং আগামীতে এই সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার দিশা খুঁজছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন, বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও তার প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়েছে। আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন এবং বেশি বেশি খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন। কিন্তু অপরিণামদর্শী বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন এবং জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।’ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন আন্দোলনে পতন হবে এ সরকারের। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিব তাদের হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে এমনটা বলে আসছেন। সরকার পতনের লক্ষ্যে তারা কখনো শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন, কখনো ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন এবং কখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি নেতারা সবসময় সরকারের পতন কামনা করেন। কিন্তু শকুনের দোয়ায় যেমন গরু মরে না তেমনি বিএনপির দোয়ায়ও সরকারের পতন হবে না।’
‘সরকারের পদত্যাগের যে অলীক স্বপ্ন বিএনপি নেতারা দেখছেন এবং তাদের কর্মীদের দেখাচ্ছেন তা বাস্তবে কখনো ঘটবে না’ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ এবং ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। জনগণ যতদিন চাইবে শেখ হাসিনা সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপি নেতাদের কথায় সরকারের পতন হবে না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করায় নাকি বড় সর্বনাশ হয়েছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নাকি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব হয়তো জানেন না, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ চিহ্নিত করা আছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এইরূপ কোনো বাহ্যিক বা ভার্চুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যা কোনো তথ্য উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চারণ বা সংরক্ষণ করে এবং যা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় অখ-তা বা সার্বভৌমত্বের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।’
‘রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এ পরিকাঠামোসমূহের নিরাপত্তা সামান্য বিঘিœত হলে তা রাষ্ট্র ও জনগণেরই বিপুল ক্ষতির কারণ হবে’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর সঙ্গে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকার ব্যাঘাত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের সাথে এটা সাংঘর্ষিকও নয়।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি পদত্যাগ করবেন? ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে নানা সংকটের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে বিএনপি। এর জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন?’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ‘বিশ্বের সব দেশই সংকট মোকাবেলা করে চলছে এবং আগামীতে এ সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার পথও খুঁজছে বিশ্ববাসী’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সব দেশই এই সংকট মোকাবেলা করছে এবং আগামীতে এই সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার দিশা খুঁজছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন, বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও তার প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়েছে। আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন এবং বেশি বেশি খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন। কিন্তু অপরিণামদর্শী বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন এবং জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।’ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন আন্দোলনে পতন হবে এ সরকারের। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিব তাদের হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে এমনটা বলে আসছেন। সরকার পতনের লক্ষ্যে তারা কখনো শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন, কখনো ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন এবং কখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি নেতারা সবসময় সরকারের পতন কামনা করেন। কিন্তু শকুনের দোয়ায় যেমন গরু মরে না তেমনি বিএনপির দোয়ায়ও সরকারের পতন হবে না।’
‘সরকারের পদত্যাগের যে অলীক স্বপ্ন বিএনপি নেতারা দেখছেন এবং তাদের কর্মীদের দেখাচ্ছেন তা বাস্তবে কখনো ঘটবে না’ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ এবং ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। জনগণ যতদিন চাইবে শেখ হাসিনা সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপি নেতাদের কথায় সরকারের পতন হবে না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করায় নাকি বড় সর্বনাশ হয়েছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নাকি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব হয়তো জানেন না, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ চিহ্নিত করা আছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এইরূপ কোনো বাহ্যিক বা ভার্চুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যা কোনো তথ্য উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চারণ বা সংরক্ষণ করে এবং যা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় অখ-তা বা সার্বভৌমত্বের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।’
‘রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এ পরিকাঠামোসমূহের নিরাপত্তা সামান্য বিঘিœত হলে তা রাষ্ট্র ও জনগণেরই বিপুল ক্ষতির কারণ হবে’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর সঙ্গে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকার ব্যাঘাত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের সাথে এটা সাংঘর্ষিকও নয়।’