ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও থাকবে: তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও এই বোর্ড থাকবে। দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে বিকৃত করে বা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কেউ চলচ্চিত্র নির্মাণ করলো কিনা তা দেখাই সেন্সর বোর্ডের প্রধান কাজ। যদি কেউ তা করে থাকে, সেন্সর বোর্ড সেটি আটকে দিতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র না পাওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়, সেখানে প্রকৃত ঘটনা থাকতে হবে। যদি প্রকৃত ঘটনা চলচ্চিত্রে না থাকে সেক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড তা আটকে দেবেই। আপনি যে চলচ্চিত্রটির কথা ইঙ্গিত করেছেন, সেটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের অনুদান নিয়ে যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তাদের প্রত্যেককেই এই অনুদানের অর্থ ব্যবহার করে তা নির্মাণ করতে হবে এবং তারা করছেও। তবে কেউ কেউ কাজটি না করতে পেরে টাকা ফেরত দিচ্ছে। তবে মোট কথা সিনেমা কিন্তু তৈরি হচ্ছে। অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে সিনেমা না বানানো এখন আর ঘটে না। যদি এরকম কেউ করে, তাকে পর পর তিনটি নোটিশ দেওয়া হয়। যদি তাতেও কাজ না হয়, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং মামলা করাও হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সব অঞ্চলের সিনেমাই নির্মাণের পর মুক্তির ছাড়পত্র পেতে হলে সেগুলো দিল্লিতে অবস্থিত সেন্সর বোর্ডে পাঠাতে হয়।
সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ১৪০০ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে বাংলাদেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ৬৫টি-তে নেমে এসেছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে সরকারের সহযোগিতায় এই মুহূর্তে ২১৪টি সিনেমা হল চালু আছে।
আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ১০০ সিনেমা হল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সিনেমা বানানোর জন্য আরও অনুদান দেওয়া হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি অন্যধারার সিনেমা যারা নির্মাণ করবেন—সবাইকে এই অনুদান দেওয়া হবে।
সিনেমা যদি বানানো না হয় সিনেমা হল চলবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এফডিসির ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের সব ধরনের সিনেমা বানাতে হবে। এ সময় শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্রশিল্পী নিপুণ, রিয়াজ, অপু বিশ্বাস, জেসমীন, কেয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিড়ের মধ্যেই নিতম্বে স্পর্শ, রেগে যা করেছিলেন অভিনেত্রী

সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও থাকবে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও এই বোর্ড থাকবে। দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে বিকৃত করে বা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কেউ চলচ্চিত্র নির্মাণ করলো কিনা তা দেখাই সেন্সর বোর্ডের প্রধান কাজ। যদি কেউ তা করে থাকে, সেন্সর বোর্ড সেটি আটকে দিতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র না পাওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়, সেখানে প্রকৃত ঘটনা থাকতে হবে। যদি প্রকৃত ঘটনা চলচ্চিত্রে না থাকে সেক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড তা আটকে দেবেই। আপনি যে চলচ্চিত্রটির কথা ইঙ্গিত করেছেন, সেটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের অনুদান নিয়ে যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তাদের প্রত্যেককেই এই অনুদানের অর্থ ব্যবহার করে তা নির্মাণ করতে হবে এবং তারা করছেও। তবে কেউ কেউ কাজটি না করতে পেরে টাকা ফেরত দিচ্ছে। তবে মোট কথা সিনেমা কিন্তু তৈরি হচ্ছে। অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে সিনেমা না বানানো এখন আর ঘটে না। যদি এরকম কেউ করে, তাকে পর পর তিনটি নোটিশ দেওয়া হয়। যদি তাতেও কাজ না হয়, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং মামলা করাও হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সব অঞ্চলের সিনেমাই নির্মাণের পর মুক্তির ছাড়পত্র পেতে হলে সেগুলো দিল্লিতে অবস্থিত সেন্সর বোর্ডে পাঠাতে হয়।
সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ১৪০০ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে বাংলাদেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ৬৫টি-তে নেমে এসেছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে সরকারের সহযোগিতায় এই মুহূর্তে ২১৪টি সিনেমা হল চালু আছে।
আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ১০০ সিনেমা হল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সিনেমা বানানোর জন্য আরও অনুদান দেওয়া হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি অন্যধারার সিনেমা যারা নির্মাণ করবেন—সবাইকে এই অনুদান দেওয়া হবে।
সিনেমা যদি বানানো না হয় সিনেমা হল চলবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এফডিসির ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের সব ধরনের সিনেমা বানাতে হবে। এ সময় শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্রশিল্পী নিপুণ, রিয়াজ, অপু বিশ্বাস, জেসমীন, কেয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।