ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

সব অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবি

  • আপডেট সময় : ০৯:২০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের অবস্থান কর্মসূচি -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি সুনিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ।
বুধবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

পরিষদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করা; বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করা; শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যক্তিদের কোটা অনুযায়ী চাকরি সুনিশ্চিত করা। অবস্থান কর্মসূছিতে পরিষদের নেতারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৯ শতাংশ জনগণ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে দেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তারা বলেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে। এতে ২ হাজার ৭৪১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৭৭২টি আবেদন গৃহীত হয়। পরে অফলাইনে আরো প্রায় ২০০টি আবেদন নেওয়া হয়। এরপর ‘বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯’ অনুযায়ী জাতীয় স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক, খ, গ- এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করে কার্যক্রম শুরু হয়, কিন্তু তা অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। ফলে প্রায় ৬৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং শিক্ষা কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

তারা বলেন, স্বীকৃতি পাওয়া ৫৭টি প্রতিষ্ঠানসহ বাকি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো এখনও এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, যার কোনো সুরাহা হয়নি। শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি দেশের শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ও গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা একান্ত প্রয়োজন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক গাউসুল আজম শিমু, সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ, সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকুল শেখসহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত আছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সব অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবি

আপডেট সময় : ০৯:২০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি সুনিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ।
বুধবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

পরিষদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করা; বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করা; শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যক্তিদের কোটা অনুযায়ী চাকরি সুনিশ্চিত করা। অবস্থান কর্মসূছিতে পরিষদের নেতারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৯ শতাংশ জনগণ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে দেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তারা বলেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে। এতে ২ হাজার ৭৪১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৭৭২টি আবেদন গৃহীত হয়। পরে অফলাইনে আরো প্রায় ২০০টি আবেদন নেওয়া হয়। এরপর ‘বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯’ অনুযায়ী জাতীয় স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক, খ, গ- এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করে কার্যক্রম শুরু হয়, কিন্তু তা অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। ফলে প্রায় ৬৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং শিক্ষা কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

তারা বলেন, স্বীকৃতি পাওয়া ৫৭টি প্রতিষ্ঠানসহ বাকি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো এখনও এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, যার কোনো সুরাহা হয়নি। শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি দেশের শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ও গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা একান্ত প্রয়োজন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক গাউসুল আজম শিমু, সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ, সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকুল শেখসহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত আছেন।