ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

সবার আগে ৫ হাজারে মুশফিক

  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার দিনগুলিতে দুজন ছিলেন রুমসঙ্গী। সেই বন্ধুত্ব রয়ে গেছে এখনও। তবে এই চট্টগ্রাম টেস্টে চলছিল দুই বন্ধুর মধুর একটি লড়াই। কে আগে স্পর্শ করবেন ৫ হাজার? তামিম ইকবালের ক্র্যাম্প সুযোগ করে দেয় মুশফিকুর রহিমের সামনে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তিনিই হয়ে গেলেন ‘প্রথম।’
৫ হাজারের ১৫ রান দূরে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন মুশফিক। মাইলফল ছুঁতে কোনো তাড়া দেখা যায়নি তার ব্যাটিংয়ে। সময় নিয়েই এগিয়ে যান একটু একটু করে। এই ১৫ রানের দূরত্ব ঘোচাতে এ দিন বল খেলেন ৪৮টি।
যে শটে এলো রান, সেটি অবশ্য মুশফিক খেলতেই চাননি! আসিথা ফার্নান্দোর শরীর তাক করা শর্ট বলটি হাত উঁচিয়ে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল ছোবল দেয় গ্লাভসে। অনিচ্ছাকৃত সেই শটেই দুই রান নিয়ে ধরা দেয় তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ হাজার রানে সবার আগে পৌঁছেছিলেন তামিম। ৫ হাজারের পথে দারুণ জমে ওঠে দুজনের দ্বৈরথ। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রানের রেকর্ডটি হাতবদল হয় কয়েক দফায়। এবার ৫ হাজার থেকে ১৫২ রানের দূরত্বে এই টেস্ট শুরু করেন তামিম, মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৬৮ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে দুর্দান্ত ব্যাট করে সেঞ্চুরি পেরিয়ে এগিয়ে যান তামিম। মাইলফলকে তারই আগে পৌঁছে যাওয়া মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু বিপত্তি বাধে প্রচ- গরমে তামিমের হাতে ক্র্যাম্প করায়। মঙ্গলবার চা বিরতির পর তিনি আর ব্যাটিংয়ে নামেননি। মুশফিক তখন ব্যাট করছিলেন ১৪ রানে। সেখান থেকে দিন শেষ করেন তিনি অপরাজিত ৫৩ রান নিয়ে। অবশেষে ড্রেসিং রমে থাকা তামিমকে দর্শক বানিয়েই তিনি ছুঁয়ে ফেললেন লক্ষ্য।
২০০৫ সালে লর্ডসে ১৮ বছর ১৭ দিন বয়সে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। প্রথম হাজার রানের জন্য অনেকটা লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় তাকে। হাজার ছুঁতে লাগে তার ৩৯ ইনিংস। এরপর প্রতিটি মাইলফলকে ছিলেন আশ্চর্য ধারাবাহিক। ১ হাজার থেকে ২ হাজার, ২ থেকে ৩ আর ৩ থেকে ৪, প্রতিটি হাজার ছুঁতে তার লাগে ২৮ ইনিংস। ৪ থেকে ৫ হাজার হলো ২৬ ইনিংসে।
১৪৯ ইনিংস লাগল তার ৫ হাজার হতে। তামিম এখন ১৯ রান দূরে আছেন, এটি তার ১২৬তম ইনিংস চলছে। দ্রুততম ৫ হাজার তাই তামিমেরই হবে নিশ্চিতভাবেই।
মুশফিককে নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে ৫ হাজার রান এখন ৯৯ ব্যাটসম্যানের। তামিম হতে পারেন শততম।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ হাজার রান আছে আর কেবল সাকিব আল হাসানের। এই টেস্ট শুরু করেছেন তিনি ৪ হাজার ২৯ রান নিয়ে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সবার আগে ৫ হাজারে মুশফিক

আপডেট সময় : ১১:৩৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার দিনগুলিতে দুজন ছিলেন রুমসঙ্গী। সেই বন্ধুত্ব রয়ে গেছে এখনও। তবে এই চট্টগ্রাম টেস্টে চলছিল দুই বন্ধুর মধুর একটি লড়াই। কে আগে স্পর্শ করবেন ৫ হাজার? তামিম ইকবালের ক্র্যাম্প সুযোগ করে দেয় মুশফিকুর রহিমের সামনে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তিনিই হয়ে গেলেন ‘প্রথম।’
৫ হাজারের ১৫ রান দূরে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন মুশফিক। মাইলফল ছুঁতে কোনো তাড়া দেখা যায়নি তার ব্যাটিংয়ে। সময় নিয়েই এগিয়ে যান একটু একটু করে। এই ১৫ রানের দূরত্ব ঘোচাতে এ দিন বল খেলেন ৪৮টি।
যে শটে এলো রান, সেটি অবশ্য মুশফিক খেলতেই চাননি! আসিথা ফার্নান্দোর শরীর তাক করা শর্ট বলটি হাত উঁচিয়ে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল ছোবল দেয় গ্লাভসে। অনিচ্ছাকৃত সেই শটেই দুই রান নিয়ে ধরা দেয় তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ হাজার রানে সবার আগে পৌঁছেছিলেন তামিম। ৫ হাজারের পথে দারুণ জমে ওঠে দুজনের দ্বৈরথ। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রানের রেকর্ডটি হাতবদল হয় কয়েক দফায়। এবার ৫ হাজার থেকে ১৫২ রানের দূরত্বে এই টেস্ট শুরু করেন তামিম, মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৬৮ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে দুর্দান্ত ব্যাট করে সেঞ্চুরি পেরিয়ে এগিয়ে যান তামিম। মাইলফলকে তারই আগে পৌঁছে যাওয়া মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু বিপত্তি বাধে প্রচ- গরমে তামিমের হাতে ক্র্যাম্প করায়। মঙ্গলবার চা বিরতির পর তিনি আর ব্যাটিংয়ে নামেননি। মুশফিক তখন ব্যাট করছিলেন ১৪ রানে। সেখান থেকে দিন শেষ করেন তিনি অপরাজিত ৫৩ রান নিয়ে। অবশেষে ড্রেসিং রমে থাকা তামিমকে দর্শক বানিয়েই তিনি ছুঁয়ে ফেললেন লক্ষ্য।
২০০৫ সালে লর্ডসে ১৮ বছর ১৭ দিন বয়সে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। প্রথম হাজার রানের জন্য অনেকটা লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় তাকে। হাজার ছুঁতে লাগে তার ৩৯ ইনিংস। এরপর প্রতিটি মাইলফলকে ছিলেন আশ্চর্য ধারাবাহিক। ১ হাজার থেকে ২ হাজার, ২ থেকে ৩ আর ৩ থেকে ৪, প্রতিটি হাজার ছুঁতে তার লাগে ২৮ ইনিংস। ৪ থেকে ৫ হাজার হলো ২৬ ইনিংসে।
১৪৯ ইনিংস লাগল তার ৫ হাজার হতে। তামিম এখন ১৯ রান দূরে আছেন, এটি তার ১২৬তম ইনিংস চলছে। দ্রুততম ৫ হাজার তাই তামিমেরই হবে নিশ্চিতভাবেই।
মুশফিককে নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে ৫ হাজার রান এখন ৯৯ ব্যাটসম্যানের। তামিম হতে পারেন শততম।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ হাজার রান আছে আর কেবল সাকিব আল হাসানের। এই টেস্ট শুরু করেছেন তিনি ৪ হাজার ২৯ রান নিয়ে।