ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

সবজির দাম বাড়াচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী, গবেষণা করে জানলো মন্ত্রণালয়

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সবজির দাম কেন ঊর্ধ্বমুখী, তা বুঝতে ‘গবেষণা’ শুরু করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়; আর তাতে সামনে এসেছে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্মের কথা।
কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সবজির মূল্যবৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত করতে আমরা একটা গবেষণা করছি। কৃষি কর্মকর্তারা ছাড়াও জেলা প্রশাসনকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গবেষণা শেষে সবজির মূল্যবৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কারণগুলো জানতে পারব। কেন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা আমরা নির্ণয় করতে চাই।”
বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে নিত্যপণ্যের দম চড়ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু দেশে উৎপাদিত শাক সবজির দাম কেন দীর্ঘদিন ধরে বেশি থাকছে, তার কোনো যৌক্তিক কারণ এতদিন খুঁজে পাচ্ছিলেন না কৃষি কর্মকর্তারা।
গবেষণা শুরুর পর প্রাথমিকভাবে কয়েকটি কারণ তারা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটের বিষয়টিই প্রধান বলে জানালেন কৃষি সচিব। তিনি বলেন, “গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে যে সবজির কেজি ১০-২০ টাকা হয়, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে সেটা আমরা ঢাকায় ৬০-৭০ টাকায় কিনে খাই।”
দ্বিতীয়ত এ বছর অসময়ে দুই বার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে ৫ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।
তাতে বাজারে উৎপাদনে ঘাটতি হয়নি, কারণ কৃষক দ্বিতীয়বার উৎপাদনে গিয়ে তা পুষিয়ে দিয়েছে। ফলে তাদের খরচ বেশি পড়েছে। কৃষকের ব্যয় বৃদ্ধি বাজারে সবজির মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ বলে মনে করছেন কৃষি সচিব। বাজারে এখন প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। শীতের সবজি হলেও সদ্য বিদায়ী শীত মওসুম জুড়ে ২০ টাকার নিচে নামেনি এ দুটো সবজির দাম। একইভাবে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা, শালগম, শিম, লাউ, টমেটোসহ মওসুমের প্রধান সবজিগুলো। দাম বৃদ্ধির পেছনে মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা আবিষ্কার করলেও তাদের দমন করার কোনো উদ্যোগের কথা জানাতে পারেননি সায়েদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে। আমরা একটা গবেষণাও করছি ..। কেন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা আমরা নির্ণয় করতে চাই। তবে আমরা এ পর্যন্ত যে তথ্যগুলো পেয়ে আসছি তা হচ্ছে সব সময় মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ থাকে মধ্যস্বত্বভোগী।”
খাদ্য-শস্য ও কৃষিপণ্যের জোগান অব্যাহত রাখতে ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেশ কয়েকটি পুরোনো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি বিপণন কেন্দ্র অন্যতম।
এসব প্রতিষ্ঠান থাকার পরেও সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে কেন নতুন করে গবেষণা করতে হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কৃষি সচিব বলেন, “বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি মধ্যস্বত্বভোগী এখানে একটা ভূমিকা রাখছে। এই মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম কমাতে আমরা কাজ করছি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে। আমরা এখন দেখতে চাচ্ছি কোন পর্যায়ে কত দাম হওয়া উচিত।
“একেক সময় একেক পরিস্থিতির কারণে সবজির দাম বাড়ে। এবছর ডিসেম্বর মাসে জোয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। তবে গবেষণা শেষে আমরা সুনির্দিষ্টকারণগুলো জানতে পারব।”
জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। এই তালিকায় চীন প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়। কৃষিখাত থেকে জিডিপির ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ আসে। দেশে এখন চাষাবাদ হয় ১০০ প্রজাতির সবজি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১২ বছরে দেশে সবজির উৎপাদন প্রায় সাতগুণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার টন সবজি উৎপাদন হয়েছিল। এর আগের বছর ৯ লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টন সবজি।
আজ ঢাকায় বসছে সবজি মেলা : রাজধানীর ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সোমবার শুরু হচ্ছে তিন দিনের জাতীয় সবজি মেলা।
রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবছর জাতীয় সবজি মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নিরাপদ সবজি চাষ, স্বাস্থ্য পুষ্টি বারো মাস’। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সোমবার বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন। ষষ্ঠবারের মত এ মেলার আয়োজন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এবারের মেলায় ৫২টি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকছে। ২ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মহামারীর কারণে গতবছর সবজি মেলা হয়নি। তার আগের বছর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্চমবারের মতো এ মেলার আয়োজন হয়েছিল। সেবার অংশ নিয়েছিল ৬৫টি স্টল ও তিনটি প্যাভিলিয়ন। তিন দিনের মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৩০ লাখ টাকার সবজি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সবজির দাম বাড়াচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী, গবেষণা করে জানলো মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় : ০১:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সবজির দাম কেন ঊর্ধ্বমুখী, তা বুঝতে ‘গবেষণা’ শুরু করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়; আর তাতে সামনে এসেছে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্মের কথা।
কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সবজির মূল্যবৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত করতে আমরা একটা গবেষণা করছি। কৃষি কর্মকর্তারা ছাড়াও জেলা প্রশাসনকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গবেষণা শেষে সবজির মূল্যবৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কারণগুলো জানতে পারব। কেন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা আমরা নির্ণয় করতে চাই।”
বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে নিত্যপণ্যের দম চড়ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু দেশে উৎপাদিত শাক সবজির দাম কেন দীর্ঘদিন ধরে বেশি থাকছে, তার কোনো যৌক্তিক কারণ এতদিন খুঁজে পাচ্ছিলেন না কৃষি কর্মকর্তারা।
গবেষণা শুরুর পর প্রাথমিকভাবে কয়েকটি কারণ তারা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটের বিষয়টিই প্রধান বলে জানালেন কৃষি সচিব। তিনি বলেন, “গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে যে সবজির কেজি ১০-২০ টাকা হয়, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে সেটা আমরা ঢাকায় ৬০-৭০ টাকায় কিনে খাই।”
দ্বিতীয়ত এ বছর অসময়ে দুই বার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে ৫ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।
তাতে বাজারে উৎপাদনে ঘাটতি হয়নি, কারণ কৃষক দ্বিতীয়বার উৎপাদনে গিয়ে তা পুষিয়ে দিয়েছে। ফলে তাদের খরচ বেশি পড়েছে। কৃষকের ব্যয় বৃদ্ধি বাজারে সবজির মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ বলে মনে করছেন কৃষি সচিব। বাজারে এখন প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। শীতের সবজি হলেও সদ্য বিদায়ী শীত মওসুম জুড়ে ২০ টাকার নিচে নামেনি এ দুটো সবজির দাম। একইভাবে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা, শালগম, শিম, লাউ, টমেটোসহ মওসুমের প্রধান সবজিগুলো। দাম বৃদ্ধির পেছনে মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা আবিষ্কার করলেও তাদের দমন করার কোনো উদ্যোগের কথা জানাতে পারেননি সায়েদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে। আমরা একটা গবেষণাও করছি ..। কেন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা আমরা নির্ণয় করতে চাই। তবে আমরা এ পর্যন্ত যে তথ্যগুলো পেয়ে আসছি তা হচ্ছে সব সময় মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ থাকে মধ্যস্বত্বভোগী।”
খাদ্য-শস্য ও কৃষিপণ্যের জোগান অব্যাহত রাখতে ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেশ কয়েকটি পুরোনো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি বিপণন কেন্দ্র অন্যতম।
এসব প্রতিষ্ঠান থাকার পরেও সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে কেন নতুন করে গবেষণা করতে হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কৃষি সচিব বলেন, “বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি মধ্যস্বত্বভোগী এখানে একটা ভূমিকা রাখছে। এই মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম কমাতে আমরা কাজ করছি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে। আমরা এখন দেখতে চাচ্ছি কোন পর্যায়ে কত দাম হওয়া উচিত।
“একেক সময় একেক পরিস্থিতির কারণে সবজির দাম বাড়ে। এবছর ডিসেম্বর মাসে জোয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। তবে গবেষণা শেষে আমরা সুনির্দিষ্টকারণগুলো জানতে পারব।”
জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। এই তালিকায় চীন প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়। কৃষিখাত থেকে জিডিপির ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ আসে। দেশে এখন চাষাবাদ হয় ১০০ প্রজাতির সবজি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১২ বছরে দেশে সবজির উৎপাদন প্রায় সাতগুণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার টন সবজি উৎপাদন হয়েছিল। এর আগের বছর ৯ লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টন সবজি।
আজ ঢাকায় বসছে সবজি মেলা : রাজধানীর ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সোমবার শুরু হচ্ছে তিন দিনের জাতীয় সবজি মেলা।
রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবছর জাতীয় সবজি মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নিরাপদ সবজি চাষ, স্বাস্থ্য পুষ্টি বারো মাস’। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সোমবার বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন। ষষ্ঠবারের মত এ মেলার আয়োজন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এবারের মেলায় ৫২টি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকছে। ২ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মহামারীর কারণে গতবছর সবজি মেলা হয়নি। তার আগের বছর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্চমবারের মতো এ মেলার আয়োজন হয়েছিল। সেবার অংশ নিয়েছিল ৬৫টি স্টল ও তিনটি প্যাভিলিয়ন। তিন দিনের মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৩০ লাখ টাকার সবজি।