ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

সবচেয়ে বড় ‘হাঁ’ করে বিশ্ব রেকর্ড করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী

  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই মারি পার্ল জালমার রবিনসন বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর চোয়াল জোড়া ঠিক অন্যদের মতো নয়, খানিকটা আলাদা। এ কারণে তিনি অস্বাভাবিক বড় ‘হাঁ’ করতে পারেন। তিনি হাঁ করলে কেউ কেউ ভয়ও পেয়ে যেত বলে জানান তিনি।

রবিনসন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের কেটিকানের বাসিন্দা। এই নারীই এখন সবচেয়ে বড় হাঁ করতে পারার বিশ্ব রেকর্ডের মালিক। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যানুযায়ী, রবিনসন যখন হাঁ করেন, তাঁর ওপরের মাড়ি থেকে নিচের মাড়ির মাঝখানের ব্যবধান দাঁড়ায় ২ দশমিক ৯৮ ইঞ্চি।

এই নারী বলেন, এমন কোনো রেকর্ড যে হতে পারে, তা তিনি আগে জানতেন না। একদিন তিনি একটি ভিডিও দেখতে পান। ভিডিওটি সবচেয়ে বড় হাঁ করতে পারার রেকর্ডের আগের মালিক সামান্থা রামসডেলের। ২০২১ সালে রামসডেল ওই রেকর্ড গড়েছিলেন ২ দশমিক ৫৬ ইঞ্চি বড় হাঁ করে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে রবিনসন বলেন, ‘কয়েকবার ভিডিওটি দেখেই আমার মনে হয়, আরে, এটা তো বেশ মজার। আমিও তো এসব জিনিস আমার মুখের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলতে পারি। কেমন হবে, যদি আমি তাঁকে হারিয়ে দিই?’

যে কথা, সেই কাজ। রবিনসন তাঁর দাঁতের চিকিৎসকের কাছে ছোটেন। দাঁতের চিকিৎসক মেপে দেখেন, রবিনসন হাঁ করলে তাঁর মুখের মাঝখানের ব্যবধান হয় ২ দশমিক ৯৮ ইঞ্চি।

কেটিকান ডেইলি নিউজকে রবিনসন বলেন, ‘আমি সব সময় জানতাম যে আমার মুখ অনেক বড়। আমি প্রচুর কথা বলি এবং বাস্তবে আমার একটি বড় মুখ আছে, কিন্তু এটা নিয়ে আমরা কখনো কিছু ভাবিনি। এটা নিয়ে সব সময় মজা করেছি।’

কিন্তু বড় হওয়ার পর রবিনসন মানুষের সামনে নিজের মুখ খুব একটা খুলতেন না। তিনি বলেন, ‘যখন আমি হাঁ করতাম, লোকজন কেমন ভয় পেয়ে যেত। ওগুলো গা শিরশির করে ওঠা চোয়াল!’

রবিনসন বলেন, সবচেয়ে বড় হাঁ মুখের রেকর্ড গড়া তাঁর জন্য সান্ত্বনা পুরস্কারের মতো। ২০১৩ সালে এই নারী বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়েলিংটন বুট রেসে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় তিনি ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। রবিনসন বলেন, ‘এখন আমি বাকিদের সঙ্গে যোগ দিতে পারব এবং শহরের আরো অনেক লোকের সঙ্গে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খেতাব অর্জন করতে পারব।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সবচেয়ে বড় ‘হাঁ’ করে বিশ্ব রেকর্ড করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী

আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই মারি পার্ল জালমার রবিনসন বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর চোয়াল জোড়া ঠিক অন্যদের মতো নয়, খানিকটা আলাদা। এ কারণে তিনি অস্বাভাবিক বড় ‘হাঁ’ করতে পারেন। তিনি হাঁ করলে কেউ কেউ ভয়ও পেয়ে যেত বলে জানান তিনি।

রবিনসন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের কেটিকানের বাসিন্দা। এই নারীই এখন সবচেয়ে বড় হাঁ করতে পারার বিশ্ব রেকর্ডের মালিক। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যানুযায়ী, রবিনসন যখন হাঁ করেন, তাঁর ওপরের মাড়ি থেকে নিচের মাড়ির মাঝখানের ব্যবধান দাঁড়ায় ২ দশমিক ৯৮ ইঞ্চি।

এই নারী বলেন, এমন কোনো রেকর্ড যে হতে পারে, তা তিনি আগে জানতেন না। একদিন তিনি একটি ভিডিও দেখতে পান। ভিডিওটি সবচেয়ে বড় হাঁ করতে পারার রেকর্ডের আগের মালিক সামান্থা রামসডেলের। ২০২১ সালে রামসডেল ওই রেকর্ড গড়েছিলেন ২ দশমিক ৫৬ ইঞ্চি বড় হাঁ করে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে রবিনসন বলেন, ‘কয়েকবার ভিডিওটি দেখেই আমার মনে হয়, আরে, এটা তো বেশ মজার। আমিও তো এসব জিনিস আমার মুখের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলতে পারি। কেমন হবে, যদি আমি তাঁকে হারিয়ে দিই?’

যে কথা, সেই কাজ। রবিনসন তাঁর দাঁতের চিকিৎসকের কাছে ছোটেন। দাঁতের চিকিৎসক মেপে দেখেন, রবিনসন হাঁ করলে তাঁর মুখের মাঝখানের ব্যবধান হয় ২ দশমিক ৯৮ ইঞ্চি।

কেটিকান ডেইলি নিউজকে রবিনসন বলেন, ‘আমি সব সময় জানতাম যে আমার মুখ অনেক বড়। আমি প্রচুর কথা বলি এবং বাস্তবে আমার একটি বড় মুখ আছে, কিন্তু এটা নিয়ে আমরা কখনো কিছু ভাবিনি। এটা নিয়ে সব সময় মজা করেছি।’

কিন্তু বড় হওয়ার পর রবিনসন মানুষের সামনে নিজের মুখ খুব একটা খুলতেন না। তিনি বলেন, ‘যখন আমি হাঁ করতাম, লোকজন কেমন ভয় পেয়ে যেত। ওগুলো গা শিরশির করে ওঠা চোয়াল!’

রবিনসন বলেন, সবচেয়ে বড় হাঁ মুখের রেকর্ড গড়া তাঁর জন্য সান্ত্বনা পুরস্কারের মতো। ২০১৩ সালে এই নারী বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়েলিংটন বুট রেসে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় তিনি ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। রবিনসন বলেন, ‘এখন আমি বাকিদের সঙ্গে যোগ দিতে পারব এবং শহরের আরো অনেক লোকের সঙ্গে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খেতাব অর্জন করতে পারব।’