ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

সবকিছু ছাপিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। রাজধানী ছেড়ে আপন শহরে ফিরছে মানুষ। করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শেষে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা সহজ করতে সবকিছু স্বাভাবিক করে দিয়েছে সরকার। গত ১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে যাত্রাপথে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মাঝে একদিন বাকি থাকলেও আগে থেকেই যেন ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। বাস, রিকশা, সিএনজি সবকিছুতেই দিতে হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া। লকডাউন না থাকলেও নানান অজুহাতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে। সদরঘাট থেকে বরিশালগামী সব লঞ্চই স্বাভাবিক সময়ের মতোই ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই লঞ্চে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও বেশিরভাগ লঞ্চই আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় পর ছেড়েছে। কেবিন ভাড়া আগের মতো থাকলেও ডেকের যাত্রীদের আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।
আগে যেখানে ডেকে বা লঞ্চের অন্য কোথাও বসে যাওয়ার জন্য দুইশো টাকা দিতে হতো সেখানে এখন দিতে হচ্ছে চারশ টাকা। সরকারি নির্দেশনায় কেবিন ছাড়া অন্যসব জায়গায় দূরত্ব বজায় রেখে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেক যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও তেমন কিছু চোখে পড়েনি। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ঢালাও বিছানা আর গাদাগাদি করেই লোকজনকে লঞ্চে অবস্থান করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। এমনকি বেশিরভাগ মানুষকেই মাস্ক ছাড়াই এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। লঞ্চে ওঠার সময়ই জীবাণুমুক্তকরণ গেট থাকার পরও বেশির ভাগ মানুষই তা অনুসরণ না করে সরাসরি লঞ্চে উঠছেন।
সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য নানা বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না তারা। বাড়ির ফেরার তাড়ায় যেন সব ভুলে যাচ্ছেন। অথচ একটু সচেতনতাই আমাদের নিরাপদ রাখতে পারে। মাস্ক পরা, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বারবার হাত পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে যেমন নিজে সুস্থ থাকা সম্ভব তেমনই তা অন্যদেরও নিরাপদ রাখবে। এদিকে ঢাকা থেকে বরিশালেও ফেরার পর আরও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রিপ দেয়ার তাড়ায় ছিল সব লঞ্চ। অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলায় রাত ৩টার মধ্যেই বরিশালে পৌঁছে যায় বেশিরভাগ লঞ্চ। এমন অসময়ে ঘাটে নামিয়ে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। রিকশা, অটোরিকশা কিছুই সহজে পাওয়া যায়নি। তবে ক্লান্তি, ভোগান্তি, করোনা ভয় কিছুই যেন আপন শহর আর প্রিয় মানুষগুলোকে কাছে পাওয়ার আনন্দের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
স্বাস্থ্যবিধি ট্রেনে মোটামুটি, বাসে অর্ধেক, লঞ্চে নেই : পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছেন কর্মজীবী মানুষ। নগরবাসীর স্রোত গিয়ে থাকছে টার্মিনালগুলোতে। এর মধ্যে ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মোটামুটি মানা হলেও বাসে তার অর্ধেক দেখা গেছে। আর লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নেই বললেই চলে। ফলে লঞ্চ ও বাসের যাত্রীরা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ঘরমুখো হচ্ছেন। নগরীর টার্মিনালগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। এ জন্য যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে।
সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনই অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গন্তব্যে ছুটছে। স্টেশনের প্রবেশপথেও যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগানো হচ্ছে, মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা। আন্তঃনগরের কোনও ট্রেনেই টিকিট ছাড়া যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বেসরকারিভাবে চলাচলরত কমিউটার ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি আসনেরও টিকিটি বিক্রি করা হচ্ছে। এই ট্রেনগুলো সব স্টেশনে থামার কারণে অতিরিক্ত যাত্রী জোর করে ট্রেনগুলোতে উঠে যান বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।
সায়েদাবাদ, গাবতলি ও মহাখালী টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে বড়বড় কোম্পানিগুলোর এসি বাসগুলোতে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করা হলেও অধিকাংশ বাসই তা মানছে না। সব আসনে যাত্রী নিয়ে তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অপরদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। স্বাস্থ্যবিধির কোনও তোয়াক্কাই নেই এই টার্মিনালে। প্রতিটি পল্টুনেই অতিরিক্ত যাত্রী। লঞ্চগুলোর ডেকের পাশাপাশি সিঁড়ি, বিভিন্ন কেবিনের সামনের গলি ও ছাদেও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো যাত্রা করলেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
বাসে দ্বিগুন ভাড়া, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি : ঈদযাত্রায় রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। যাত্রীর চাপ থাকায় দিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া পাশের সিট খালি না রেখেই সব আসনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে বেশ কিছু বাস কোম্পানিকে। গতকাল সোমবার রাজধানীর সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে মিললো এচিত্র। করেনাকালিন স্বাস্থ্যবিধি অধিকাংশই মানছেন না। বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক নেই। এদিকে ভাড়াও দ্বিগুণ-তিনগুণ আদায় করা হচ্ছে বলে দেখা গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

সবকিছু ছাপিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। রাজধানী ছেড়ে আপন শহরে ফিরছে মানুষ। করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শেষে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা সহজ করতে সবকিছু স্বাভাবিক করে দিয়েছে সরকার। গত ১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে যাত্রাপথে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মাঝে একদিন বাকি থাকলেও আগে থেকেই যেন ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। বাস, রিকশা, সিএনজি সবকিছুতেই দিতে হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া। লকডাউন না থাকলেও নানান অজুহাতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে। সদরঘাট থেকে বরিশালগামী সব লঞ্চই স্বাভাবিক সময়ের মতোই ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই লঞ্চে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও বেশিরভাগ লঞ্চই আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় পর ছেড়েছে। কেবিন ভাড়া আগের মতো থাকলেও ডেকের যাত্রীদের আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।
আগে যেখানে ডেকে বা লঞ্চের অন্য কোথাও বসে যাওয়ার জন্য দুইশো টাকা দিতে হতো সেখানে এখন দিতে হচ্ছে চারশ টাকা। সরকারি নির্দেশনায় কেবিন ছাড়া অন্যসব জায়গায় দূরত্ব বজায় রেখে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেক যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও তেমন কিছু চোখে পড়েনি। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ঢালাও বিছানা আর গাদাগাদি করেই লোকজনকে লঞ্চে অবস্থান করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। এমনকি বেশিরভাগ মানুষকেই মাস্ক ছাড়াই এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। লঞ্চে ওঠার সময়ই জীবাণুমুক্তকরণ গেট থাকার পরও বেশির ভাগ মানুষই তা অনুসরণ না করে সরাসরি লঞ্চে উঠছেন।
সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য নানা বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না তারা। বাড়ির ফেরার তাড়ায় যেন সব ভুলে যাচ্ছেন। অথচ একটু সচেতনতাই আমাদের নিরাপদ রাখতে পারে। মাস্ক পরা, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বারবার হাত পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে যেমন নিজে সুস্থ থাকা সম্ভব তেমনই তা অন্যদেরও নিরাপদ রাখবে। এদিকে ঢাকা থেকে বরিশালেও ফেরার পর আরও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রিপ দেয়ার তাড়ায় ছিল সব লঞ্চ। অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলায় রাত ৩টার মধ্যেই বরিশালে পৌঁছে যায় বেশিরভাগ লঞ্চ। এমন অসময়ে ঘাটে নামিয়ে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। রিকশা, অটোরিকশা কিছুই সহজে পাওয়া যায়নি। তবে ক্লান্তি, ভোগান্তি, করোনা ভয় কিছুই যেন আপন শহর আর প্রিয় মানুষগুলোকে কাছে পাওয়ার আনন্দের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
স্বাস্থ্যবিধি ট্রেনে মোটামুটি, বাসে অর্ধেক, লঞ্চে নেই : পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছেন কর্মজীবী মানুষ। নগরবাসীর স্রোত গিয়ে থাকছে টার্মিনালগুলোতে। এর মধ্যে ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মোটামুটি মানা হলেও বাসে তার অর্ধেক দেখা গেছে। আর লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নেই বললেই চলে। ফলে লঞ্চ ও বাসের যাত্রীরা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ঘরমুখো হচ্ছেন। নগরীর টার্মিনালগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। এ জন্য যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে।
সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনই অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গন্তব্যে ছুটছে। স্টেশনের প্রবেশপথেও যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগানো হচ্ছে, মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা। আন্তঃনগরের কোনও ট্রেনেই টিকিট ছাড়া যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বেসরকারিভাবে চলাচলরত কমিউটার ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি আসনেরও টিকিটি বিক্রি করা হচ্ছে। এই ট্রেনগুলো সব স্টেশনে থামার কারণে অতিরিক্ত যাত্রী জোর করে ট্রেনগুলোতে উঠে যান বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।
সায়েদাবাদ, গাবতলি ও মহাখালী টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে বড়বড় কোম্পানিগুলোর এসি বাসগুলোতে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করা হলেও অধিকাংশ বাসই তা মানছে না। সব আসনে যাত্রী নিয়ে তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অপরদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। স্বাস্থ্যবিধির কোনও তোয়াক্কাই নেই এই টার্মিনালে। প্রতিটি পল্টুনেই অতিরিক্ত যাত্রী। লঞ্চগুলোর ডেকের পাশাপাশি সিঁড়ি, বিভিন্ন কেবিনের সামনের গলি ও ছাদেও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো যাত্রা করলেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
বাসে দ্বিগুন ভাড়া, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি : ঈদযাত্রায় রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। যাত্রীর চাপ থাকায় দিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া পাশের সিট খালি না রেখেই সব আসনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে বেশ কিছু বাস কোম্পানিকে। গতকাল সোমবার রাজধানীর সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে মিললো এচিত্র। করেনাকালিন স্বাস্থ্যবিধি অধিকাংশই মানছেন না। বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক নেই। এদিকে ভাড়াও দ্বিগুণ-তিনগুণ আদায় করা হচ্ছে বলে দেখা গেছে।