ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

সবকিছুর দাম বাড়লেও আয় বাড়ছে না

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই এখন উর্ধ্বমুখি। বিভিন্ন সময় সরকারি সংস্থাগুলোর অভিযানেও নিয়ন্ত্রনে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার। বিশেষ করে গরীবের খাবার সবজির দাম নাগলে আসছে না। সবজি বিক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারী বাজারে বাড়তি দামে কিনতে হয়। এছাড়া রোড খরচ মিলিয়ে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যায়। আর ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে, কিন্তু আয় বাড়ছে না।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রায় সকল পণ্যের দামই চড়া। বিক্রেতারা হাঁকডাক ছাড়ছেন পণ্য ক্রেতাদের উদ্যেশে। বিক্রেতার হাঁকডাকে ক্রেতা এগিয়ে আসলেও বিপত্তি বাঁধছে দরদামে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ধুন্দল কেজি ৪০টাকা, উচ্ছে ৫০, করোলা ৪০, ঝিংগা ৪০ টাকা, ভেন্ডী ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিংগা ৩০ টাকা, পেপে ৪০টাকা, ফুলকপি ছোট ৪০ টাকা পিচ, দেশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০, কাঁচা মরিচ ১২০, চালকুমড়া পিচ ৪০, মুখীকচু ৮০ টাকা, লেবু হালি ৩০ থেকে ৪০, গাজর দেশি ১০০ চায়না ১৬০ টাকা, সব ধরনের বেগুন কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা।
সবজি বিক্রেতা সজল মিয়া বলেন, এখন বর্ষাকাল সব ধরনের সবজির সিজন না। সিজিনাল সবজির দাম কম। কিন্তু এখন যে সবজি সিজিনাল না সেগুলোর দাম বেশি। এখন যেমন পটলের সিজন পটলের দাম কম। তাছাড়া সবজি আমাদের আনতে হচ্ছে বেশি দামে। এরপর আছে অনেক ধরনের খরচ। রোড খরচ, গাড়ি ভাড়া, তারপরে আবার কিছু সবজি নষ্টও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এত খরচ শেষে কেনা দাম পরে যায় অনেক টাকা। এরপর আবার আমাদের লাভ করতে হয়। ক্রেতা হাফিজ শিকদার বলেন, বাজারে দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়ছে। কোন কিছুর দাম কমছেই না। এভাবে চলতে থাকলে এভাবে খুব বেশি দিন খাওয়া লাগবে না। কিছু দিন পরে না খেয়ে থাকতে হবে। সবকিছুর দাম বাড়ছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না। বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া বাজার থেকে সবজি নিয়ে আসতে হয় প্রতিদিন। আজ বৃষ্টির লাইগা কেরানীগঞ্জের বাজারে মাল উঠাইতে পারে নাই। মাল কম থাকায় প্রতি মণে দাম বেড়ে গেছে ১০০ টাকা। কিন্তু কি করবো মাল আনতে গেছি মালতো আনাই লাগবো। ওখান থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে আনছি। এরপর গাড়ি ভাড়া তারপর খাজনা। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ টাকা।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগি প্রতি কেজি ১৫০টাকা, সোনালি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ১ কেজির উপরে প্রতি পিচ ৫২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কই মাছের কেজি ২২০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮২০ টাকা, দেশি চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি, রুই মাছ কেজি আকার ভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, শৈল মাছ ৭০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, সিলং মাছ কেজি ৬০০টাকা, নদীর লিটা মাছ কেজি ৮০০ টাকা, বাইন মাছ ৬৫০, আইর মাছ ৬৫০, , বোয়াল ৫০০, পাঙ্গাস ১৬০, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা কেজি। এছাড়া মায়া মাছ কেজি ৩০০, টেংরা ৫৫০ টাকা, নদীর টাটকেনি কেজি ৩৫০ টাকা, ঈলিশ মাছ কেজি আকার ভেদে ৭০০ টাকা থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৬০ টাকা।
পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে সুখবর দিতে পারছেন না বাণিজ্যমন্ত্রী : দেশে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বৈশ্বিক অবস্থাকে দায় দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, ‘ডলারের দাম কমানোর জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দেশে পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে নতুন কোনো সুখবর নেই।’
গতকাল বুধবার দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ কর্মশালায় রংপুর বিভাগের প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নেন। কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক অবস্থার কারণে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দেশে ডলারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে আমদানীকারকদের পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুর দাম বেড়েছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে। এ বিষয়ে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে অভিযান চলছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশেও তেলের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা এক কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
আমাদের দেশে তেলের লিটার ১৯৮ টাকা হলেও কলকাতায় আজকে ২১৫ টাকা লিটার জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, সাংবাদিকরা শুধু- দেশে তেলের দাম বাড়ছে বলে প্রচার করলে জনগণ সঠিক তথ্য পাবে না। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ভারতে তেলের দাম কত সেটিও প্রচার করতে হবে। আমরা দোয়া করছি যেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধটা শেষ হয়। তাহলে তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঁইঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর ম-ল, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, স্থানীয় সরকার পরিচালক ফজলুল কবির ও রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সবকিছুর দাম বাড়লেও আয় বাড়ছে না

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই এখন উর্ধ্বমুখি। বিভিন্ন সময় সরকারি সংস্থাগুলোর অভিযানেও নিয়ন্ত্রনে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার। বিশেষ করে গরীবের খাবার সবজির দাম নাগলে আসছে না। সবজি বিক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারী বাজারে বাড়তি দামে কিনতে হয়। এছাড়া রোড খরচ মিলিয়ে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যায়। আর ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে, কিন্তু আয় বাড়ছে না।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রায় সকল পণ্যের দামই চড়া। বিক্রেতারা হাঁকডাক ছাড়ছেন পণ্য ক্রেতাদের উদ্যেশে। বিক্রেতার হাঁকডাকে ক্রেতা এগিয়ে আসলেও বিপত্তি বাঁধছে দরদামে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ধুন্দল কেজি ৪০টাকা, উচ্ছে ৫০, করোলা ৪০, ঝিংগা ৪০ টাকা, ভেন্ডী ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিংগা ৩০ টাকা, পেপে ৪০টাকা, ফুলকপি ছোট ৪০ টাকা পিচ, দেশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০, কাঁচা মরিচ ১২০, চালকুমড়া পিচ ৪০, মুখীকচু ৮০ টাকা, লেবু হালি ৩০ থেকে ৪০, গাজর দেশি ১০০ চায়না ১৬০ টাকা, সব ধরনের বেগুন কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা।
সবজি বিক্রেতা সজল মিয়া বলেন, এখন বর্ষাকাল সব ধরনের সবজির সিজন না। সিজিনাল সবজির দাম কম। কিন্তু এখন যে সবজি সিজিনাল না সেগুলোর দাম বেশি। এখন যেমন পটলের সিজন পটলের দাম কম। তাছাড়া সবজি আমাদের আনতে হচ্ছে বেশি দামে। এরপর আছে অনেক ধরনের খরচ। রোড খরচ, গাড়ি ভাড়া, তারপরে আবার কিছু সবজি নষ্টও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এত খরচ শেষে কেনা দাম পরে যায় অনেক টাকা। এরপর আবার আমাদের লাভ করতে হয়। ক্রেতা হাফিজ শিকদার বলেন, বাজারে দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়ছে। কোন কিছুর দাম কমছেই না। এভাবে চলতে থাকলে এভাবে খুব বেশি দিন খাওয়া লাগবে না। কিছু দিন পরে না খেয়ে থাকতে হবে। সবকিছুর দাম বাড়ছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না। বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া বাজার থেকে সবজি নিয়ে আসতে হয় প্রতিদিন। আজ বৃষ্টির লাইগা কেরানীগঞ্জের বাজারে মাল উঠাইতে পারে নাই। মাল কম থাকায় প্রতি মণে দাম বেড়ে গেছে ১০০ টাকা। কিন্তু কি করবো মাল আনতে গেছি মালতো আনাই লাগবো। ওখান থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে আনছি। এরপর গাড়ি ভাড়া তারপর খাজনা। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ টাকা।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগি প্রতি কেজি ১৫০টাকা, সোনালি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ১ কেজির উপরে প্রতি পিচ ৫২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কই মাছের কেজি ২২০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮২০ টাকা, দেশি চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি, রুই মাছ কেজি আকার ভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, শৈল মাছ ৭০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, সিলং মাছ কেজি ৬০০টাকা, নদীর লিটা মাছ কেজি ৮০০ টাকা, বাইন মাছ ৬৫০, আইর মাছ ৬৫০, , বোয়াল ৫০০, পাঙ্গাস ১৬০, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা কেজি। এছাড়া মায়া মাছ কেজি ৩০০, টেংরা ৫৫০ টাকা, নদীর টাটকেনি কেজি ৩৫০ টাকা, ঈলিশ মাছ কেজি আকার ভেদে ৭০০ টাকা থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৬০ টাকা।
পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে সুখবর দিতে পারছেন না বাণিজ্যমন্ত্রী : দেশে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বৈশ্বিক অবস্থাকে দায় দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, ‘ডলারের দাম কমানোর জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দেশে পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে নতুন কোনো সুখবর নেই।’
গতকাল বুধবার দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ কর্মশালায় রংপুর বিভাগের প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নেন। কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক অবস্থার কারণে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দেশে ডলারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে আমদানীকারকদের পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুর দাম বেড়েছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে। এ বিষয়ে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে অভিযান চলছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশেও তেলের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা এক কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
আমাদের দেশে তেলের লিটার ১৯৮ টাকা হলেও কলকাতায় আজকে ২১৫ টাকা লিটার জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, সাংবাদিকরা শুধু- দেশে তেলের দাম বাড়ছে বলে প্রচার করলে জনগণ সঠিক তথ্য পাবে না। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ভারতে তেলের দাম কত সেটিও প্রচার করতে হবে। আমরা দোয়া করছি যেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধটা শেষ হয়। তাহলে তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঁইঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর ম-ল, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, স্থানীয় সরকার পরিচালক ফজলুল কবির ও রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।