নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নৌকা ডুবে দুই শিশুসহ ১৮ জন নিহতের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত ২৬ আগস্ট এ স্থগিতাদেশ দেন। তবে, এ তথ্য গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে আসে।
রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ রায় আমার জন্য কষ্টের। আমরা হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ পেলে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবো। ওইদিন শুনানির সময় আমি আদালতকে জানিয়েছিলাম স্টে না করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিযে দিতে। কিন্তু আদালত আমার আবেদন নাকচ করেছেন। ওই সময় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিলে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে দিলে ভুক্তভোগীরা বিচার পেতেন দ্রুত। এখন সময় লাগবে।
২০১৭ সালের ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে সি-ট্রাক থেকে যাত্রী নামিয়ে ১৫০ গজ দূরে গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার সময় যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে যায়। স্থানীয় মানুষেদের সহায়তায় ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়। সি-ট্রাকে করে কয়েকশ যাত্রী চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে যাচ্ছিলেন। সি-ট্রাক ঘাটে ভিড়তে না পারায় ১৫০ গজ দূরে নোঙর করে নৌকার মাধ্যমে যাত্রীদের পারাপার করা হয়। ওই ঘটনায় দুই শিশুসহ ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে আইন শৃংখলাবাহিনী। এ ঘটনায় সন্দ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ জহরুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট করেন।
গত ৩০ জুন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নৌকা ডুবিতে দুই শিশুসহ ১৮ জন নিহতের ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ করে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল। দুই মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ ব্যর্থ হলে সুদসহ এই টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। বিআইডব্লিউটিসি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ১৮ পরিবারকে এই টাকা প্রদান করার কথা বলা হয়। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অবহেলাকে দায়ী করা হয়। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
সন্দ্বীপে নৌকাডুবিতে ১৮ মৃত্যু: ক্ষতিপূরণের রায় স্থগিত
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ