ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

সন্তানের অনলাইন শিক্ষা প্রক্রিয়া উন্নয়নের উপায়

  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মনোযোগ ধরে রাখা : গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা বিনোদনের জন্য দৈনিক সাড়ে সাত ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে থাকে এবং কোভিডকালীন অনলাইনে ক্লাসের জন্য এর মাত্রা আরও বেড়েছে। তাছাড়া, অনলাইন ক্লাসের ক্লান্তি কমাতেও ক্লাসের ফাঁকে বা পরে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সময় ব্যয় করে। তাই, চেষ্টা করতে হবে এই সময় শিশুকে যতটা সম্ভব এগুলো থেকে দূরে রাখা এবং বাইরের শব্দ যেন কোনোভাবে তার মনোযোগের ব্যাঘাত না ঘটায়।
আগে থেকেই রুটিন তৈরি করে রাখা : সন্তান সারাদিনে কী কী করবে তার রুটিন তাকেই তৈরি করতে বলুন। সুপরিকল্পিত রুটিন তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে আরও সহায়তা করবে। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি সে নিজের জন্যও সময় পাবে। রুটিন করা থাকলে অভিভাবকের পক্ষে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হয় এবং শিশুরাও রুটিন মাফিক চলা শিখ
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা : শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য শারীরিক সক্রিয়তার প্রয়োজন। এখনকার শিশুরা অধিকাংশ সময় ডিভাইসের সামনে কাটানোর ফলে শারীরিক সক্রিয়তার পরিমাণ কম। তাই এ বিষয়ে আলাদাভাবে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। অনলাইনে ক্লাস করা, বাড়ির কাজ করা বা সময় মতো অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আলাদাভাবে শরীরচর্চার ওপর মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
সন্তানের শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা : অনলাইন ক্লাস করতে সন্তান কোনো রকমের সমস্যার মুখোমুখি হলে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলুন, যেন বিষয়টা শিশুর কাছে আরও সহজভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়। অনলাইন ক্লাসে যোগাযোগের ঘাটতি থাকার কারণে শিক্ষায় নানান প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের খোলামেলা আলোচনা শিক্ষার মান বাড়াতে সহায়তা করবে।-

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সন্তানের অনলাইন শিক্ষা প্রক্রিয়া উন্নয়নের উপায়

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মনোযোগ ধরে রাখা : গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা বিনোদনের জন্য দৈনিক সাড়ে সাত ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে থাকে এবং কোভিডকালীন অনলাইনে ক্লাসের জন্য এর মাত্রা আরও বেড়েছে। তাছাড়া, অনলাইন ক্লাসের ক্লান্তি কমাতেও ক্লাসের ফাঁকে বা পরে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সময় ব্যয় করে। তাই, চেষ্টা করতে হবে এই সময় শিশুকে যতটা সম্ভব এগুলো থেকে দূরে রাখা এবং বাইরের শব্দ যেন কোনোভাবে তার মনোযোগের ব্যাঘাত না ঘটায়।
আগে থেকেই রুটিন তৈরি করে রাখা : সন্তান সারাদিনে কী কী করবে তার রুটিন তাকেই তৈরি করতে বলুন। সুপরিকল্পিত রুটিন তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে আরও সহায়তা করবে। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি সে নিজের জন্যও সময় পাবে। রুটিন করা থাকলে অভিভাবকের পক্ষে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হয় এবং শিশুরাও রুটিন মাফিক চলা শিখ
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা : শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য শারীরিক সক্রিয়তার প্রয়োজন। এখনকার শিশুরা অধিকাংশ সময় ডিভাইসের সামনে কাটানোর ফলে শারীরিক সক্রিয়তার পরিমাণ কম। তাই এ বিষয়ে আলাদাভাবে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। অনলাইনে ক্লাস করা, বাড়ির কাজ করা বা সময় মতো অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আলাদাভাবে শরীরচর্চার ওপর মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
সন্তানের শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা : অনলাইন ক্লাস করতে সন্তান কোনো রকমের সমস্যার মুখোমুখি হলে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলুন, যেন বিষয়টা শিশুর কাছে আরও সহজভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়। অনলাইন ক্লাসে যোগাযোগের ঘাটতি থাকার কারণে শিক্ষায় নানান প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের খোলামেলা আলোচনা শিক্ষার মান বাড়াতে সহায়তা করবে।-