ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

সনি হত্যার ২০ বছর: দ-প্রাপ্ত পলাতকদের গ্রেপ্তারের দাবি

  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই দশক আগে ছাত্রদলের সংঘর্ষের মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনির নিহত হওয়ার ঘটনায় যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার সকালে বুয়েটের সাবেকুন নাহার সনি হলের সামনে সনি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান। পুস্পস্তবক অর্পণের সময় সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা সনির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। এ সময় সনি হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত পলাতক ছাত্রদল নেতা মুকি, টগরসহ সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকরের দাবি জানানো হয়।
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সনি।
বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বিচারে নি¤œ আদালতে মুকি, টগর ও নুরুল ইসলাম সাগরের মৃত্যুদ-ের রায় হয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাই কোর্ট তাদের মৃত্যুদ-াদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেয় হাই কোর্ট। মুকি পরে পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সাগরও পলাতক রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন টগর।
সনি হত্যার দিনটিকে প্রতিবছর বুয়েটে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এ ছাড়া সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
সনি হত্যার বিচার এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন থেকে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্রী হলটি সনির নামে করার দাবি জানিয়েছিলেন। পরে গত বছরের নভেম্বরে ওই হলের নাম সাবেকুন নাহার সনি হল করা হয়। সনির স্মৃতিকে ধরে রাখতে ছাত্রী হলের নাম সনি হল রাখায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মানববন্ধন থেকে ধন্যবাদ জানান বুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মনিরুজ্জামান মনির, শফিউল আলম ডলার, অমিত কুমার চক্রবর্তী, রনক আহসান, তন্ময় আহমেদ, আবু হাসান মাসুদ, আবু সাইদ কনক, জয় প্রকাশসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সনি হত্যার ২০ বছর: দ-প্রাপ্ত পলাতকদের গ্রেপ্তারের দাবি

আপডেট সময় : ০২:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই দশক আগে ছাত্রদলের সংঘর্ষের মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনির নিহত হওয়ার ঘটনায় যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার সকালে বুয়েটের সাবেকুন নাহার সনি হলের সামনে সনি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান। পুস্পস্তবক অর্পণের সময় সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা সনির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। এ সময় সনি হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত পলাতক ছাত্রদল নেতা মুকি, টগরসহ সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকরের দাবি জানানো হয়।
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সনি।
বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বিচারে নি¤œ আদালতে মুকি, টগর ও নুরুল ইসলাম সাগরের মৃত্যুদ-ের রায় হয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাই কোর্ট তাদের মৃত্যুদ-াদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেয় হাই কোর্ট। মুকি পরে পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সাগরও পলাতক রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন টগর।
সনি হত্যার দিনটিকে প্রতিবছর বুয়েটে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এ ছাড়া সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
সনি হত্যার বিচার এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন থেকে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্রী হলটি সনির নামে করার দাবি জানিয়েছিলেন। পরে গত বছরের নভেম্বরে ওই হলের নাম সাবেকুন নাহার সনি হল করা হয়। সনির স্মৃতিকে ধরে রাখতে ছাত্রী হলের নাম সনি হল রাখায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মানববন্ধন থেকে ধন্যবাদ জানান বুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মনিরুজ্জামান মনির, শফিউল আলম ডলার, অমিত কুমার চক্রবর্তী, রনক আহসান, তন্ময় আহমেদ, আবু হাসান মাসুদ, আবু সাইদ কনক, জয় প্রকাশসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।