নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসুয়া গ্রামে সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ভিটাটি তার স্মৃতি সংরক্ষণে জাদুঘর ঘরে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, সত্যজিৎ রায় ছিলেন বাংলা ও বাঙালির গৌরবের ধন। তিনি কেবল বাংলা চলচ্চিত্রেই নয়, দুনিয়ার সব চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠজনদের একজন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রবিবার ঢাকায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার বৃহত্তর ময়মনসিংহের কীর্তিমান প্রবাদপুরুষ সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহত্তর সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও সৃজনশীল একজন মানুষ। গ্রাফিক্স-ডিজাইনসহ বাংলা টাইপোগ্রাফি বা হরফ মালা সৃষ্টির জন্য তিনি অসাধারণ কাজ করে গেছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অবিলম্বে এই কাজটি সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুস সামাদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সাজ্জাদ, প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সেক্রেটারি রাশেদুল হাসান শেলী অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন।
সত্যজিতের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বাবা সুকুমার রায় দুজনেরই জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অতীতকে সংরক্ষণ করতে না পারলে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত খুঁজে পাব না। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি, তাদের ইতিহাস তুলে ধরতে না পারলে জাতি হিসেবে সামনে যেতে পারব না। অনুষ্ঠানে বক্তারা সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র প্রতিভার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।
সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ভিটায় স্মৃতি জাদুঘর তৈরির আহ্বান
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ