নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার পালানোর প্রথম বর্ষপূর্তিতে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান বলেন-‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রনেতা, আলেম-ওলামা ও জনগণের আস্থাভাজন রাজনীতিবিদদের দূরদর্শী কৌশল ও কর্মপরিকল্পনাসহ এই গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো আত্মঘাতী ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে এই বিজয় কোনো দুষ্টচক্রের দ্বারা বেহাত না হয়ে যায়’।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ইসলামবিদ্বেষী ও গণহত্যাকারী স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনে আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। সমগ্র বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে আমরা আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। স্মরণ করছি এই মুক্তিসংগ্রামের শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগ কবুল করে আল্লাহ আমাদের অভূতপূর্ব বিজয় দান করেছেন। সব প্রশংসা আল্লাহর।
তারা বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এই বিজয়কে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে। এমন একটি ন্যায়ভিত্তিক সংবিধান ও সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে করে এই বাংলাদেশের মাটিতে আর কখনো কোনো ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।
এই দুই নেতা বলেন, এই বিজয় সবার। শুধু সংখ্যাগুরুই নয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও এই বিজয়ের সুফল ভোগ করবে ইনশাআল্লাহ। সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে। নাস্তিকতা ও মুক্তমনা চর্চার নামে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। সংখ্যালঘুদের রাজনীতির বলির পাঁঠা বানানো যাবে না। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ ফ্যাসিবাদের সহযোগী ও ইসলামবিরোধী সেক্যুলারগোষ্ঠীর দীর্ঘ দেড় দশকের অব্যাহত নিপীড়ন থেকেও মুক্তি পেল এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়। এখন থেকে পুরোদমে ইসলামী পরিচয় ও সংস্কৃতি ধারণ করে জাতীয়ভাবে আমাদের আরও বাধাহীন আত্মপ্রকাশ ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন একটি বিভেদমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে নিছক ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কাউকে গুম-খুন, জেল-জুলুম ও পুলিশি নির্যাতন করা হবে না। গণহত্যার বিচারের পাশাপাশি ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের দালালদেরও বিচার করা হবে।
এসি/