ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামের প্রধান সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, আটঘর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে খোয়াড় গ্রাম। যে গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের কয়েক গ্রামের কৃষিপণ্য এ সড়ক দিয়েই আশেপাশের হাট-বাজারে আনা-নেওয়া করা হয়। এছাড়া জমির ফসলও কৃষকরা এ সড়ক দিয়েই বাড়িতে আনেন। কিন্তু হঠাৎ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে পিচঢালা এ প্রধান সড়কটি ধসে যোগাযোগ সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে খোয়াড় গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গোয়ালপাড়া, খাগইড়, গোবিন্দপুর, সেনহাঁটি, গৌড়দিয়া, সিংহপ্রতাপ, বালিয়া, গট্টি, ভাবুকদিয়া ও ঠেনঠেনিয়া গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তির সীমা নেই যেন তাদের। দেখা যায়, গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজার থেকে আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রাম হয়ে গৌড়দিয়া বাজারে গিয়ে মিশেছে পিচঢালা এ প্রধান সড়ক। এ সড়কের খোয়াড় গ্রামের মধ্যবর্তী ছালাম মেম্বার ও আরশাদ মাতুব্বরের বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় এ সড়কটি ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে সড়কটির পিচসহ মাটি ধসে পাশের ডোবায় গিয়ে মিশেছে। তৈরি হয়েছে বিশাল আকারের গর্ত। ধীরে ধীরে আশেপাশের বাড়ি-ঘরও ভেঙে ডোবায় মিশে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও সড়কটির একই গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর ও ছাত্তার মাতুব্বরের বাড়ির সামনেও ধস শুরু হয়েছে। এব্যাপারে খোয়াড় গ্রামের সামচেল ফকির, ওমর আলী, জব্বার মাতুব্বর ও মোজাফ্ফার মাতুব্বর বলেন, আমাদের চলাচলের প্রধান সড়কটি কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। পার্শ্ববর্তী ১১ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষও এ ভোগান্তির শিকার। আমরা দ্রুত এ সড়কের মেরামত দাবি করছি। সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ধসে যাওয়া ওই সড়কের ছবি দেখেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিবো।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় : ০১:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামের প্রধান সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, আটঘর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে খোয়াড় গ্রাম। যে গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের কয়েক গ্রামের কৃষিপণ্য এ সড়ক দিয়েই আশেপাশের হাট-বাজারে আনা-নেওয়া করা হয়। এছাড়া জমির ফসলও কৃষকরা এ সড়ক দিয়েই বাড়িতে আনেন। কিন্তু হঠাৎ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে পিচঢালা এ প্রধান সড়কটি ধসে যোগাযোগ সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে খোয়াড় গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গোয়ালপাড়া, খাগইড়, গোবিন্দপুর, সেনহাঁটি, গৌড়দিয়া, সিংহপ্রতাপ, বালিয়া, গট্টি, ভাবুকদিয়া ও ঠেনঠেনিয়া গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তির সীমা নেই যেন তাদের। দেখা যায়, গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজার থেকে আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রাম হয়ে গৌড়দিয়া বাজারে গিয়ে মিশেছে পিচঢালা এ প্রধান সড়ক। এ সড়কের খোয়াড় গ্রামের মধ্যবর্তী ছালাম মেম্বার ও আরশাদ মাতুব্বরের বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় এ সড়কটি ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে সড়কটির পিচসহ মাটি ধসে পাশের ডোবায় গিয়ে মিশেছে। তৈরি হয়েছে বিশাল আকারের গর্ত। ধীরে ধীরে আশেপাশের বাড়ি-ঘরও ভেঙে ডোবায় মিশে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও সড়কটির একই গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর ও ছাত্তার মাতুব্বরের বাড়ির সামনেও ধস শুরু হয়েছে। এব্যাপারে খোয়াড় গ্রামের সামচেল ফকির, ওমর আলী, জব্বার মাতুব্বর ও মোজাফ্ফার মাতুব্বর বলেন, আমাদের চলাচলের প্রধান সড়কটি কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। পার্শ্ববর্তী ১১ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষও এ ভোগান্তির শিকার। আমরা দ্রুত এ সড়কের মেরামত দাবি করছি। সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ধসে যাওয়া ওই সড়কের ছবি দেখেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিবো।