২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এমন অনেক স্মৃতিই মনে করতে পারবেন যে শুধু ‘না’ শব্দটি সঠিক সময়ে বলতে না পারার কারণে অনেক ভোগান্তি হয়েছে। চলতি বছরে যাতে ওই একই ঘটনা না ঘটে এ জন্য কয়েকটি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে। তা হলোÑ
‘না’ বলতে পারা কাইন্ড অফ আর্ট: কাউন্সিলর ও সাইকো থেরাপিস্ট, মনোবিজ্ঞানী ফরিদা আক্তার বলেন, আমরা মনে করি কেউ আমাদের কোন কিছু করতে বললে যদি সেটিতে ‘না’ বলি তাহলে তো খুব ভালো প্র্যাকটিস নয়। আমাদের দেশে শিশুদের ছোটকাল থেকে শেখানো হয়, আমরা যা বলব সেটি মেনে নিতে হবে, ম-বাবার কথা মানতে হয়, শুনতে হয়। আমাদের শুধু বাড়িতে নয় স্কুলের শিক্ষকরা বলেন যে, শিক্ষকের কথা মেনে চলতে হবে। আমি যেটা বলব সেটিই ঠিক আমার ওপর কোনো প্রশ্ন করা যাবে না বা না বলা যাবে না। কিন্তু কখনো কখনো ‘না’ বলাটা অনেক জরুরি হয়ে পড়ে। সঠিক সময়ে ‘না’ বলতে পারা ছোটবেলা থেকেই শিখতে হয়। ‘না’ বলতে পারা এক ধরনের কাইন্ড অফ আর্ট।
বসকে প্রয়োজনে ‘না’ বলা: মনোবিজ্ঞানী ফরিদা আক্তার বলেন, ধরুন আপনি একটি অফিসে চাকরি করেন। আপনি অনেক ভাল কাজ করেন কিন্তু আপনার বস আপনার ঘাড়ের ওপর একটার পর একটা কাজ চাপিয়ে দেন। আপনি ‘না’ বলতে পারছেন না। তাই আপনার কাজের বোঝা বাড়ছে এবং আপনার বন্ধু বান্ধব বা চারপাশের মানুষটা কিন্তু ফ্রিলি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনি কতটুকু কাজ করতে পারবেন, কতটুকু কাজের সামর্থ্য আছে, আপনার লিমিট আছে সেই কথাটা প্রকাশ করার সামর্থ্য আপনার নেই এবং এই মানুষদেরকে সবাই এক্সপ্লয়েড করে। আপনার বস কিন্তু জানেন যে আপনাকে অনেক বেশি কাজ দেওয়া হচ্ছে এবং আপনার সাথের কলিগরা ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছেন কিন্তু আপনার বস জানেন যে আপনি ‘না’ বলতে জানেন না। তাই আপনার ওপরে অতিরিক্ত কাজের চাপ বার বার আসবে। অফিসের অতিরিক্ত চাপ এড়াতে সঠিক সময়ে ‘না’ বলার দক্ষতা অর্জন করুন।