ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

সঠিক পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস মাপুন

  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ডায়াবেটিস কোনো রোগ নয়, অথচ একে বলা হয় সব রোগের মা। ডায়াবেটিসের জটিলতাগুলোই আসলে এই রোগের মূল সমস্যা। শরীরে এমন কোনো অঙ্গ নেই, যেখানে ডায়াবেটিস তার ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে না। উন্নত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে ডায়াবেটিসকে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিক রোগী ছাড়াও যাদের নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে, যাদের ওজন বেশি, ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ তেমন করেন না, তারা নিম্নে উল্লিখিত রক্তের পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানতে পারেন।
খালি পেটে বা খাবারের আগে
এ পরীক্ষাটি সকালে নাশতার আগে খালি পেটে করতে হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৬.১ মিলিমল/লিটার বা তার কম।
খাবারের দুই ঘণ্টা পর
এ পরীক্ষাটি নাশতা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর করতে হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০ মিলিমল/লিটার বা তার কম।
যেকোনো সময়
পরীক্ষাটি দিনের যেকোনো সময় করা যেতে পারে। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৫.৫ থেকে ১১.১ মিলিমল/লিটার।
ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (ওজিটিটি)
যাদের খালি পেটে ৬.১-এর বেশি কিন্তু ৭.০ মিলিমল/লিটারের কম কিংবা দিনে যেকোনো সময় ৫.৫-এর বেশি; কিন্তু ১১.১ মিলিমল/লিটারের কম, তাদের এ পরীক্ষাটি করা খুবই জরুরি। কারণ এর মাধ্যমে কারো ডায়াবেটিস আছে কি নেই, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এজন্য রোগীকে প্রথমে খালি পেটে রক্ত দিতে হবে। এরপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে এবং ঠিক দুই ঘণ্টা পর রোগীকে আবার রক্ত দিতে হবে। এই দুই ঘণ্টা রোগী অন্য কোনো খাবার খেতে পারবে না। কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রমের কাজও করতে পারবে না। ধূমপান করা যাবে না।
এ পরীক্ষায় যে রোগীর খালি পেটে ৭.০ মিলিমল/লিটারের চেয়ে বেশি এবং দুই ঘণ্টা পর ১১.১ মিলিমল/লিটারের চেয়ে বেশি হবে, তাকে নিশ্চিত ডায়াবেটিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।
গ্লাইকোলাইলেটেড হিমোগ্লোবিন
এ পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে গত চার মাসের গ্লুকোজের মাত্রার একটা ধারণা পাওয়া যাবে। এ পরীক্ষাটি খালি পেটে অথবা খাওয়ার পর যেকোনো অবস্থায় করা যায়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৭ শতাংশের নিচে থাকা বাঞ্ছনীয়।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনেক বছর পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা

সঠিক পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস মাপুন

আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ডায়াবেটিস কোনো রোগ নয়, অথচ একে বলা হয় সব রোগের মা। ডায়াবেটিসের জটিলতাগুলোই আসলে এই রোগের মূল সমস্যা। শরীরে এমন কোনো অঙ্গ নেই, যেখানে ডায়াবেটিস তার ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে না। উন্নত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে ডায়াবেটিসকে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিক রোগী ছাড়াও যাদের নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে, যাদের ওজন বেশি, ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ তেমন করেন না, তারা নিম্নে উল্লিখিত রক্তের পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানতে পারেন।
খালি পেটে বা খাবারের আগে
এ পরীক্ষাটি সকালে নাশতার আগে খালি পেটে করতে হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৬.১ মিলিমল/লিটার বা তার কম।
খাবারের দুই ঘণ্টা পর
এ পরীক্ষাটি নাশতা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর করতে হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০ মিলিমল/লিটার বা তার কম।
যেকোনো সময়
পরীক্ষাটি দিনের যেকোনো সময় করা যেতে পারে। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৫.৫ থেকে ১১.১ মিলিমল/লিটার।
ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (ওজিটিটি)
যাদের খালি পেটে ৬.১-এর বেশি কিন্তু ৭.০ মিলিমল/লিটারের কম কিংবা দিনে যেকোনো সময় ৫.৫-এর বেশি; কিন্তু ১১.১ মিলিমল/লিটারের কম, তাদের এ পরীক্ষাটি করা খুবই জরুরি। কারণ এর মাধ্যমে কারো ডায়াবেটিস আছে কি নেই, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এজন্য রোগীকে প্রথমে খালি পেটে রক্ত দিতে হবে। এরপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে এবং ঠিক দুই ঘণ্টা পর রোগীকে আবার রক্ত দিতে হবে। এই দুই ঘণ্টা রোগী অন্য কোনো খাবার খেতে পারবে না। কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রমের কাজও করতে পারবে না। ধূমপান করা যাবে না।
এ পরীক্ষায় যে রোগীর খালি পেটে ৭.০ মিলিমল/লিটারের চেয়ে বেশি এবং দুই ঘণ্টা পর ১১.১ মিলিমল/লিটারের চেয়ে বেশি হবে, তাকে নিশ্চিত ডায়াবেটিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।
গ্লাইকোলাইলেটেড হিমোগ্লোবিন
এ পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে গত চার মাসের গ্লুকোজের মাত্রার একটা ধারণা পাওয়া যাবে। এ পরীক্ষাটি খালি পেটে অথবা খাওয়ার পর যেকোনো অবস্থায় করা যায়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৭ শতাংশের নিচে থাকা বাঞ্ছনীয়।