ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সঠিক অস্ত্র পেলে যুদ্ধে ইউক্রেনই জিতবে : যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ১২:১৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, ইউক্রেনকে যদি সঠিক অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করা যায়, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনই জয়ী হবে। কিয়েভ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আজ সোমবার এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ গতকাল রোববার কিয়েভ গেছেন অস্টিন। খবর রয়টার্সের। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর তিন মাসের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে কিয়েভ সফর করছেন অস্টিন ও ব্লিঙ্কেন। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন লাখো মানুষ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লয়েড অস্টিন ও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে সমবেত সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেতার প্রথম ধাপ হলো বিশ্বাস করা যে আমি জিতব। আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিতব, তারা (ইউক্রেন) যদি সঠিক অস্ত্র ও সমর্থন পায় তাহলে তারাও জিতবে।’ অস্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে যাবে ও ভবিষ্যতে আরও আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে। অস্টিন আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, রাশিয়া এতটাই দুর্বল হয়ে যাবে যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে তারা যা করেছে, সেটা যেন আর করতে না পারে তারা।’ কয়েক মাস ধরে জেলেনস্কি কামান, যুদ্ধবিমানসহ ভারী অস্ত্রের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। আরও অস্ত্র পেলে তাঁর সেনারা যুদ্ধের গতি বদলে দিতে পারবে বলে যুক্তি দিচ্ছেন তিনি। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত ৩২৮ কোটি ডলারের নিরাপত্তা বা সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলা শুরুর পর ইউরোপের অনেক নেতা কিয়েভ সফর করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাঁরা। কিন্তু ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠানো যুক্তরাষ্ট্র এত দিন কিয়েভে কোনো শীর্ষ কর্মকর্তাকে পাঠায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সঠিক অস্ত্র পেলে যুদ্ধে ইউক্রেনই জিতবে : যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১২:১৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, ইউক্রেনকে যদি সঠিক অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করা যায়, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনই জয়ী হবে। কিয়েভ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আজ সোমবার এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ গতকাল রোববার কিয়েভ গেছেন অস্টিন। খবর রয়টার্সের। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর তিন মাসের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে কিয়েভ সফর করছেন অস্টিন ও ব্লিঙ্কেন। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন লাখো মানুষ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লয়েড অস্টিন ও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে সমবেত সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেতার প্রথম ধাপ হলো বিশ্বাস করা যে আমি জিতব। আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিতব, তারা (ইউক্রেন) যদি সঠিক অস্ত্র ও সমর্থন পায় তাহলে তারাও জিতবে।’ অস্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে যাবে ও ভবিষ্যতে আরও আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে। অস্টিন আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, রাশিয়া এতটাই দুর্বল হয়ে যাবে যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে তারা যা করেছে, সেটা যেন আর করতে না পারে তারা।’ কয়েক মাস ধরে জেলেনস্কি কামান, যুদ্ধবিমানসহ ভারী অস্ত্রের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। আরও অস্ত্র পেলে তাঁর সেনারা যুদ্ধের গতি বদলে দিতে পারবে বলে যুক্তি দিচ্ছেন তিনি। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত ৩২৮ কোটি ডলারের নিরাপত্তা বা সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলা শুরুর পর ইউরোপের অনেক নেতা কিয়েভ সফর করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাঁরা। কিন্তু ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠানো যুক্তরাষ্ট্র এত দিন কিয়েভে কোনো শীর্ষ কর্মকর্তাকে পাঠায়নি।