ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সচেতনতায় মেলে সাধারণ কয়েকটি অসুস্থতার সমাধান

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে কম বেশি সবাই যায়। তবে এমন কিছু সমস্যা আছে- যা শুরুতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও সময়ের সঙ্গে এর প্রকোপ বাড়তে পারে। আর সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য চাই জীবনধারার পরিবর্তনের পাশাপাশি সচেতনতা।
চুল পাতলা হওয়া
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ না করা। বেশি পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড পেতে উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন।

মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট: ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নানান রকমের ভিটামিন ও খনিজ-জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ যেমন- বায়োটিন, ভিটামিন বি-সিক্স, বি-টুয়েল্ভ, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, জিংক এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে এসব উপাদানের সামান্য বা সম্পূর্ণ ঘাটতি চুল পড়া সমস্যার জন্য দায়ী। এসব পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হলে তা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

চাপ নিয়ন্ত্রণ করা: দীর্ঘস্থায়ী চাপ, শরীরে স্থায়ী প্রদাহের কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। ঘন শ্বাস প্রশ্বাস, প্রতিদিনের হাঁটাচলা, যোগ ব্যায়াম বা ‘রিলাক্সেশন অ্যাপ’ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

মাথার ত্বক মালিশ করা: জাপানে করা প্রাথমিক একটা গবেষণায় দেখা গেছে, মাথার ত্বকের মালিশ করা মাথায় থাকা চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে। যদিও তা চুলের বৃদ্ধিতে ও দ্রুত চুল গজাতে খুব একটা ভূমিকা রাখে না। তবে এর কার্যকরণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে তা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়।

সহনশীল যন্ত্রপাতির ব্যবহার: চুলে শ্যাম্পু কম ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য যন্ত্রপাতি- ব্রাশ, ড্রায়ার, কোঁকড়া করার সরঞ্জাম যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। এছাড়া যতটা সম্ভব কম শ্যাম্পু ব্যবহার করুন বিশেষ করে শুষ্ক শ্যাম্পু।
উপরের উপায়গুলো কাজ না করলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা ভালো। প্রাথমিকভাবে সাধারণ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন কিংবা চর্মবিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে পারেন।

দুর্গন্ধময় শ্বাস
বেশি করে তরল পান: পানির অভাব বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারণে শুষ্ক মুখের সমস্যা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। কোমল বা মিষ্টি পানীয় নয় বেশি করে সাধারণ পানি পান করতে হবে।
ব্রাশ ও ফ্লস: দরকার হলে টুথপেস্ট ও ব্রাশ সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন। খাওয়ার পরই দাঁত ব্রাশ করুন। আর ফ্লস ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করে নিন। পাশপাশি জিহ্বাও পরিষ্কার করুন।
আলিয়ামযুক্ত খাবার বাদ: পেঁয়াজ বা রসুনে এই উপাদান রয়েছে যা মুখের লালার সঙ্গে অনেক্ষণ মিশে থাকে। তাই এই ধরনের খাবার বাদ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
এরপরও সমস্যা সমাধান না হলে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গ্যাসের কারণে ফোলা ভাব
কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা: যে কোনো ফিজি বা বাবলযুক্ত পানীয় গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। এই বাবল প্রাথমিকভাবে হজম প্রক্রিয়ায় আটকে থেকে ফোলাভাব আনতে পারে।

ধীরে খাওয়া: যখন দ্রুত খাওয়া হয় তখন মুখের ভেতর বাতাস ঢোকে বেশি; যা ফোলাভাবের সৃষ্টি করে।
চুয়িংগাম চিবানো ও স্ট্র দিয়ে পান: এ দুটিই বেশি পরিমাণে বাতাস গিলে ফেলার জন্য দায়ী। তাই এগুলো এড়াতে হবে।
কপিজাতীয় খাবার কম গ্রহণ: বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি- এসব পুষ্টিকর খাবার হলেও পেটে গ্যাস তৈরি করে।
শুঁটিজাত খাবার: দানাদার বা মটরশুঁটি ধরনের খাবার উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ও আঁশের ভালো উৎস। তবে এগুলো কারো কারো ক্ষেত্রে গ্যাসের কারণে ফোলাভাব তৈরি করতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণ করে খেতে হবে পরিমিত।
প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া: এই ধরনের খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। আর লবণ শরীরে পানি ধারণ করে রাখতে পারে বলে ফোলা অনুভূত হয়। তাই প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া কমানোর পাশাপাশি খাওয়ার আগে প্যাকেটের গায়ে লবণের পরিমাণটাও দেখে নিন।
ল্যাক্টোস বা গ্লুটেনর ছাড়া খাবার: অনেকেরই এই ধরনের খাবার পেটে সয় না। দুগ্ধ ও আটা-জাতীয় খাবার অনেকের মধ্যেই ফোলাভাব তৈরি করে। তাই নিজেকেই যাচাই করে নিতে হবে কোন খাবার সমস্যা করছে। দরকার পড়লে দুই ধরনের খাবারই বাদ দিতে হবে।
চিনি ও অ্যালকোহলযুক্ত কম ক্যালোরির খাবার: যদি অল্প ক্যালরিযুক্ত মিষ্টিখাবার বেছে নেন তবে দেখে নিন সেটা ‘সুগার-অ্যালকোহল’ মুক্ত কিনা। কারণ এই মিষ্টি শরীরে ফোলাভাব আনে। এই ধরনের চিনি বোঝার জন্য শেষে ‘ওএল’ যুক্ত নাম খেয়াল করতে হবে। যেমন: সর্বিটোল, মানিটোল এবং ক্সাইলিটোল।
শুষ্ক ত্বক
আর্দ্র থাকা: বেশিরভাগই চাহিদার তুলনায় কম পানি পান করেন। পিপাসা পেলেও অনেক সময় পানি খাওয়া হয় না। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে যাতে ত্বক শুষ্ক না হয়।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো। তা পাওয়া যায় স্যামন বা অন্যান্য চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে। এছাড়া উদ্ভিজ্জ খাবারে মধ্যে আখরোটেও রয়েছে এই উপাদান যা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। এছাড়া ‘সাপ্লিমেন্ট’ হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে।
অল্প ঠাণ্ডা শাওয়ার: শীত মৌসুমে কম গোছল করলেও হয়। ত্বক বেশি শুষ্ক হলে দ্রুত তবে শীতল শাওয়ার নেওয়ার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত ঘাম
ঝাল খাবার বাদ: মরিচের কিছু উপাদান- ক্যাপসাইসিন শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর ঠাণ্ডা করতে ঘাম তৈরি হয়।
খাবার ঠাণ্ডা করে খাওয়া: রান্নার পর পরই গরম গরম খাবার খেতে অনেকেরই পছন্দ। তবে এই টাটকা গরম খাবার শরীরে ঘাম তৈরি করে। তাই কিছুক্ষণ পর অল্প গরম বা সাধারণ তাপমাত্রায় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বাতাস চলাচল করা পোশাক: সুতি বা সিল্ক কাপড় দিয়ে বাতাস চলাচল করতে বাধা পায় না। এই ধরনের কাপড়ের পোশাকে ঘাম হয় কম। সেই সঙ্গে পোশাকের নিচের আলাদা গেঞ্জি পরতে পারেন যা, ঘাম হলেও দেখা যাবেনা বা পোশাক নষ্ট হবে না।
ঘামরোধী প্রসাধনী: ‘ডিওডোরেন্ট’ যেমন দুর্গন্ধ ঢাকতে পারে তেমনি ‘অ্যান্টিপার্সপিরান্ট’ থামাতে পারে ঘামের নিঃসরণ। তাই ঘামরোধী প্রসাধনী ব্যবহার করা যেতে পারে।
এসবে সমস্যা সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে; বিশেষ করে কোনো ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় ঘাম বেশি হলে ডাক্তার সেটি বের করতে পারবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সচেতনতায় মেলে সাধারণ কয়েকটি অসুস্থতার সমাধান

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে কম বেশি সবাই যায়। তবে এমন কিছু সমস্যা আছে- যা শুরুতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও সময়ের সঙ্গে এর প্রকোপ বাড়তে পারে। আর সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য চাই জীবনধারার পরিবর্তনের পাশাপাশি সচেতনতা।
চুল পাতলা হওয়া
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ না করা। বেশি পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড পেতে উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন।

মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট: ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নানান রকমের ভিটামিন ও খনিজ-জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ যেমন- বায়োটিন, ভিটামিন বি-সিক্স, বি-টুয়েল্ভ, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, জিংক এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে এসব উপাদানের সামান্য বা সম্পূর্ণ ঘাটতি চুল পড়া সমস্যার জন্য দায়ী। এসব পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হলে তা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

চাপ নিয়ন্ত্রণ করা: দীর্ঘস্থায়ী চাপ, শরীরে স্থায়ী প্রদাহের কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। ঘন শ্বাস প্রশ্বাস, প্রতিদিনের হাঁটাচলা, যোগ ব্যায়াম বা ‘রিলাক্সেশন অ্যাপ’ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

মাথার ত্বক মালিশ করা: জাপানে করা প্রাথমিক একটা গবেষণায় দেখা গেছে, মাথার ত্বকের মালিশ করা মাথায় থাকা চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে। যদিও তা চুলের বৃদ্ধিতে ও দ্রুত চুল গজাতে খুব একটা ভূমিকা রাখে না। তবে এর কার্যকরণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে তা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়।

সহনশীল যন্ত্রপাতির ব্যবহার: চুলে শ্যাম্পু কম ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য যন্ত্রপাতি- ব্রাশ, ড্রায়ার, কোঁকড়া করার সরঞ্জাম যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। এছাড়া যতটা সম্ভব কম শ্যাম্পু ব্যবহার করুন বিশেষ করে শুষ্ক শ্যাম্পু।
উপরের উপায়গুলো কাজ না করলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা ভালো। প্রাথমিকভাবে সাধারণ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন কিংবা চর্মবিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে পারেন।

দুর্গন্ধময় শ্বাস
বেশি করে তরল পান: পানির অভাব বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারণে শুষ্ক মুখের সমস্যা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। কোমল বা মিষ্টি পানীয় নয় বেশি করে সাধারণ পানি পান করতে হবে।
ব্রাশ ও ফ্লস: দরকার হলে টুথপেস্ট ও ব্রাশ সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন। খাওয়ার পরই দাঁত ব্রাশ করুন। আর ফ্লস ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করে নিন। পাশপাশি জিহ্বাও পরিষ্কার করুন।
আলিয়ামযুক্ত খাবার বাদ: পেঁয়াজ বা রসুনে এই উপাদান রয়েছে যা মুখের লালার সঙ্গে অনেক্ষণ মিশে থাকে। তাই এই ধরনের খাবার বাদ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
এরপরও সমস্যা সমাধান না হলে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গ্যাসের কারণে ফোলা ভাব
কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা: যে কোনো ফিজি বা বাবলযুক্ত পানীয় গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। এই বাবল প্রাথমিকভাবে হজম প্রক্রিয়ায় আটকে থেকে ফোলাভাব আনতে পারে।

ধীরে খাওয়া: যখন দ্রুত খাওয়া হয় তখন মুখের ভেতর বাতাস ঢোকে বেশি; যা ফোলাভাবের সৃষ্টি করে।
চুয়িংগাম চিবানো ও স্ট্র দিয়ে পান: এ দুটিই বেশি পরিমাণে বাতাস গিলে ফেলার জন্য দায়ী। তাই এগুলো এড়াতে হবে।
কপিজাতীয় খাবার কম গ্রহণ: বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি- এসব পুষ্টিকর খাবার হলেও পেটে গ্যাস তৈরি করে।
শুঁটিজাত খাবার: দানাদার বা মটরশুঁটি ধরনের খাবার উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ও আঁশের ভালো উৎস। তবে এগুলো কারো কারো ক্ষেত্রে গ্যাসের কারণে ফোলাভাব তৈরি করতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণ করে খেতে হবে পরিমিত।
প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া: এই ধরনের খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। আর লবণ শরীরে পানি ধারণ করে রাখতে পারে বলে ফোলা অনুভূত হয়। তাই প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া কমানোর পাশাপাশি খাওয়ার আগে প্যাকেটের গায়ে লবণের পরিমাণটাও দেখে নিন।
ল্যাক্টোস বা গ্লুটেনর ছাড়া খাবার: অনেকেরই এই ধরনের খাবার পেটে সয় না। দুগ্ধ ও আটা-জাতীয় খাবার অনেকের মধ্যেই ফোলাভাব তৈরি করে। তাই নিজেকেই যাচাই করে নিতে হবে কোন খাবার সমস্যা করছে। দরকার পড়লে দুই ধরনের খাবারই বাদ দিতে হবে।
চিনি ও অ্যালকোহলযুক্ত কম ক্যালোরির খাবার: যদি অল্প ক্যালরিযুক্ত মিষ্টিখাবার বেছে নেন তবে দেখে নিন সেটা ‘সুগার-অ্যালকোহল’ মুক্ত কিনা। কারণ এই মিষ্টি শরীরে ফোলাভাব আনে। এই ধরনের চিনি বোঝার জন্য শেষে ‘ওএল’ যুক্ত নাম খেয়াল করতে হবে। যেমন: সর্বিটোল, মানিটোল এবং ক্সাইলিটোল।
শুষ্ক ত্বক
আর্দ্র থাকা: বেশিরভাগই চাহিদার তুলনায় কম পানি পান করেন। পিপাসা পেলেও অনেক সময় পানি খাওয়া হয় না। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে যাতে ত্বক শুষ্ক না হয়।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো। তা পাওয়া যায় স্যামন বা অন্যান্য চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে। এছাড়া উদ্ভিজ্জ খাবারে মধ্যে আখরোটেও রয়েছে এই উপাদান যা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। এছাড়া ‘সাপ্লিমেন্ট’ হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে।
অল্প ঠাণ্ডা শাওয়ার: শীত মৌসুমে কম গোছল করলেও হয়। ত্বক বেশি শুষ্ক হলে দ্রুত তবে শীতল শাওয়ার নেওয়ার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত ঘাম
ঝাল খাবার বাদ: মরিচের কিছু উপাদান- ক্যাপসাইসিন শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর ঠাণ্ডা করতে ঘাম তৈরি হয়।
খাবার ঠাণ্ডা করে খাওয়া: রান্নার পর পরই গরম গরম খাবার খেতে অনেকেরই পছন্দ। তবে এই টাটকা গরম খাবার শরীরে ঘাম তৈরি করে। তাই কিছুক্ষণ পর অল্প গরম বা সাধারণ তাপমাত্রায় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বাতাস চলাচল করা পোশাক: সুতি বা সিল্ক কাপড় দিয়ে বাতাস চলাচল করতে বাধা পায় না। এই ধরনের কাপড়ের পোশাকে ঘাম হয় কম। সেই সঙ্গে পোশাকের নিচের আলাদা গেঞ্জি পরতে পারেন যা, ঘাম হলেও দেখা যাবেনা বা পোশাক নষ্ট হবে না।
ঘামরোধী প্রসাধনী: ‘ডিওডোরেন্ট’ যেমন দুর্গন্ধ ঢাকতে পারে তেমনি ‘অ্যান্টিপার্সপিরান্ট’ থামাতে পারে ঘামের নিঃসরণ। তাই ঘামরোধী প্রসাধনী ব্যবহার করা যেতে পারে।
এসবে সমস্যা সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে; বিশেষ করে কোনো ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় ঘাম বেশি হলে ডাক্তার সেটি বের করতে পারবেন।