ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

সচিব-পিএস-দালাল সেজে কোটি টাকা হাতিয়েছেন তারা

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সচিব ও সচিবের পিএস সেজে প্রতারণা করত একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন আইটি সচিব পরিচয় দিতেন। অন্য দুইজনের মধ্যে একজন পরিচয় দিতেন সংসদ সচিবালয়ে আইটি সচিবের পিএ ও আপরজন নিজেকে জমির দালাল বলতেন।
এরপর জমি বেচা-কেনার ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ‘সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম’।
গ্রেফতাররা হলেন—চক্রের প্রধান মো. ইদ্রিস খান, মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মো. শহিদুল ইসলাম ও জাহিদ শিকদার। গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের লিডার মো. শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে এ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির সঙ্গে চক্রটি প্রতারণা করে আসছিল। সাধারণত এই চক্রটিকে বলা হয়- রয়েল চিট এজেন্সি বা আরসিটি। চক্রের প্রধান ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। অন্য দুইজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, প্রতারকরা প্রথমে জমি বেচা-কেনার জন্য টার্গেট ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলতেন- সচিব স্যার জমি কিনতে চান। উনার কাছে টাকা কোনো বিষয় না। সচিব স্যার তো এতকিছু জানেন না, এক কোটি টাকার জমি। আপনি ২০ লাখ টাকার বায়না করেন। এই পুরো টাকাটা আপনি লাভ করতে পারবেন। তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম আরও বলেন, ‘এভাবে তারা একটা প্রতারণার কৌশল তৈরি করে। এমনভাবে কৌশল তৈরি করে যাতে লোভে পড়ে মানুষ তাদের টাকা দিয়ে দেয়। এই রকম শতাধিক ঘটনা তারা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের প্রতারণার কৌশলটা জমি বেচা-কেনা, রবি টাওয়ার নির্মাণ।’
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘মাদারীরপুরের কালকিনি থানা একটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আমাদের কাছে গ্রেফতার হওয়া শাহাবুদ্দিনের আপন বড় ভাই। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। আমারা তাকে গোয়েন্দা পুলিশে একাধিকবার গ্রেফতার করেছি। তিনি এই প্রতারক চক্রটিকে চালায়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার একাধিক থানায় মামলা রয়েছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সচিব-পিএস-দালাল সেজে কোটি টাকা হাতিয়েছেন তারা

আপডেট সময় : ০১:৩২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সচিব ও সচিবের পিএস সেজে প্রতারণা করত একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন আইটি সচিব পরিচয় দিতেন। অন্য দুইজনের মধ্যে একজন পরিচয় দিতেন সংসদ সচিবালয়ে আইটি সচিবের পিএ ও আপরজন নিজেকে জমির দালাল বলতেন।
এরপর জমি বেচা-কেনার ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ‘সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম’।
গ্রেফতাররা হলেন—চক্রের প্রধান মো. ইদ্রিস খান, মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মো. শহিদুল ইসলাম ও জাহিদ শিকদার। গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের লিডার মো. শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে এ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির সঙ্গে চক্রটি প্রতারণা করে আসছিল। সাধারণত এই চক্রটিকে বলা হয়- রয়েল চিট এজেন্সি বা আরসিটি। চক্রের প্রধান ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। অন্য দুইজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, প্রতারকরা প্রথমে জমি বেচা-কেনার জন্য টার্গেট ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলতেন- সচিব স্যার জমি কিনতে চান। উনার কাছে টাকা কোনো বিষয় না। সচিব স্যার তো এতকিছু জানেন না, এক কোটি টাকার জমি। আপনি ২০ লাখ টাকার বায়না করেন। এই পুরো টাকাটা আপনি লাভ করতে পারবেন। তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম আরও বলেন, ‘এভাবে তারা একটা প্রতারণার কৌশল তৈরি করে। এমনভাবে কৌশল তৈরি করে যাতে লোভে পড়ে মানুষ তাদের টাকা দিয়ে দেয়। এই রকম শতাধিক ঘটনা তারা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের প্রতারণার কৌশলটা জমি বেচা-কেনা, রবি টাওয়ার নির্মাণ।’
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘মাদারীরপুরের কালকিনি থানা একটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আমাদের কাছে গ্রেফতার হওয়া শাহাবুদ্দিনের আপন বড় ভাই। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। আমারা তাকে গোয়েন্দা পুলিশে একাধিকবার গ্রেফতার করেছি। তিনি এই প্রতারক চক্রটিকে চালায়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার একাধিক থানায় মামলা রয়েছে।’