ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সচিবালয়ে ঈদের আমেজ, উপস্থিতি কম

  • আপডেট সময় : ১০:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পাঁচদিন ছুটির পর রোববার খুলেছে সরকারি অফিস। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। প্রথম কর্মদিবসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা সচিবালয়ে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। বেলা ১১টার আগেই সচিবালয়ে প্রবেশ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নিজ দপ্তরে ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাকে। উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোলাকুলিও করেন প্রতিমন্ত্রী। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট, সর্বত্রই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। কেউ কেউ একে অপরকে জড়িয়ে কোলাকুলি করছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সিঁড়ি ও ফ্লোরগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছেন। গত ২৯ জুন সারাদেশে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজতা উদযাপিত হয়েছে। এই ঈদ উপলক্ষে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছুটি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকার একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেয়, ২৭ জুন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি মেলে চারদিন। সরকারি ছুটি শেষে ১ জুলাই পড়ে শনিবার। ফলে আরও একদিন ছুটি মেলে সরকারি চাকরিজীবীদের। এতে টানা পাঁচদিন ছুটি পান তারা। দূর-দূরান্তে গ্রামের বাড়ি ঈদ উদযাপন করতে যাওয়ায় কেউ কেউ রোববার অফিসে যোগ দেননি। তারা আরও দু’একদিন ছুটি নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ গ্রাম থেকে ব্যাগ নিয়ে সোজা অফিসে চলে এসেছেন।
সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে উপস্থিতি কম। কোনো কোনো ফ্লোরে নিরাপত্তাকর্মীদের ও দেখা যায়নি। কোনো কোনো কক্ষে চেয়ার টেবিল ফাঁকা। যারাও এসেছেন কাজে-কর্মে ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূলত পারস্পরিক খোঁজ-খবর ও শুভেচ্ছা বিনিময়েই ব্যস্ত ছিলেন। বিভিন্ন ভবনের লিফটগুলোর সামনে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। গাড়ি রাখার স্থানগুলোতেও গাড়ির সংখ্যা কম দেখা গেছে। সকাল ১০টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে গাড়ি রাখার স্থানে কয়েকজনকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। এদের একজন বলেন, আমরা মুসলমান। ঈদ চলে গেছে তাতে কি। ঈদের পর প্রথম দেখা তাই কোলাকুলি করছি। কোলাকুলি করলে একজনের সঙ্গে আর একজনের হৃদ্রতা বাড়ে। স্থানীয় সরকার বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিত বেশ কম। একজন পিয়নকে করিডরে একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আজ উপস্থিতি অনেক কম। অর্ধেকের মতো এসেছে। অনেক ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। তারা আজ অফিসে আসেননি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েও উপস্থিত বেশ কম দেখা যায়। অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের পর প্রথম কার্যদিবস। অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। তারা আজ আসেননি। আমার ধারণা আজ ৫০ শতাংশের মতো কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত আছেন। সব মন্ত্রণালয়েই একই অবস্থা। এই সপ্তাহটি উপস্থিতি কমই থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ে, কৃষি মন্ত্রণালয়েও কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মী বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের অর্ধেকের মতো কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছুটিতে আছেন। আজ যেসব স্যারেরা এসেছে, তারা অফিসে এসে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সচিবালয়ে ঈদের আমেজ, উপস্থিতি কম

আপডেট সময় : ১০:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

মহানগর প্রতিবেদন : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পাঁচদিন ছুটির পর রোববার খুলেছে সরকারি অফিস। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। প্রথম কর্মদিবসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা সচিবালয়ে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। বেলা ১১টার আগেই সচিবালয়ে প্রবেশ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নিজ দপ্তরে ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাকে। উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোলাকুলিও করেন প্রতিমন্ত্রী। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট, সর্বত্রই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। কেউ কেউ একে অপরকে জড়িয়ে কোলাকুলি করছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সিঁড়ি ও ফ্লোরগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছেন। গত ২৯ জুন সারাদেশে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজতা উদযাপিত হয়েছে। এই ঈদ উপলক্ষে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছুটি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকার একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেয়, ২৭ জুন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি মেলে চারদিন। সরকারি ছুটি শেষে ১ জুলাই পড়ে শনিবার। ফলে আরও একদিন ছুটি মেলে সরকারি চাকরিজীবীদের। এতে টানা পাঁচদিন ছুটি পান তারা। দূর-দূরান্তে গ্রামের বাড়ি ঈদ উদযাপন করতে যাওয়ায় কেউ কেউ রোববার অফিসে যোগ দেননি। তারা আরও দু’একদিন ছুটি নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ গ্রাম থেকে ব্যাগ নিয়ে সোজা অফিসে চলে এসেছেন।
সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে উপস্থিতি কম। কোনো কোনো ফ্লোরে নিরাপত্তাকর্মীদের ও দেখা যায়নি। কোনো কোনো কক্ষে চেয়ার টেবিল ফাঁকা। যারাও এসেছেন কাজে-কর্মে ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূলত পারস্পরিক খোঁজ-খবর ও শুভেচ্ছা বিনিময়েই ব্যস্ত ছিলেন। বিভিন্ন ভবনের লিফটগুলোর সামনে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। গাড়ি রাখার স্থানগুলোতেও গাড়ির সংখ্যা কম দেখা গেছে। সকাল ১০টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে গাড়ি রাখার স্থানে কয়েকজনকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। এদের একজন বলেন, আমরা মুসলমান। ঈদ চলে গেছে তাতে কি। ঈদের পর প্রথম দেখা তাই কোলাকুলি করছি। কোলাকুলি করলে একজনের সঙ্গে আর একজনের হৃদ্রতা বাড়ে। স্থানীয় সরকার বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিত বেশ কম। একজন পিয়নকে করিডরে একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আজ উপস্থিতি অনেক কম। অর্ধেকের মতো এসেছে। অনেক ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। তারা আজ অফিসে আসেননি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েও উপস্থিত বেশ কম দেখা যায়। অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের পর প্রথম কার্যদিবস। অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। তারা আজ আসেননি। আমার ধারণা আজ ৫০ শতাংশের মতো কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত আছেন। সব মন্ত্রণালয়েই একই অবস্থা। এই সপ্তাহটি উপস্থিতি কমই থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ে, কৃষি মন্ত্রণালয়েও কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মী বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের অর্ধেকের মতো কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছুটিতে আছেন। আজ যেসব স্যারেরা এসেছে, তারা অফিসে এসে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।