ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫

সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় মাগুরার সেই শিশুটিকে নেওয়া হয়েছে সিএমএইচে

  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটিকে ‘সঙ্কটাপন্ন’ অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে সেখানে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মাগুরার ওই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই মাত্র তারা সেখানে পৌঁছেছে।

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ বলছে চিকিৎসকরা। সিএমএইচে নেওয়ার আগে তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, দুপুরে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটিকে হাসপাতালে দেখতে আসেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুর্শিদ। উপদেষ্টার নির্দেশ ও শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় তিনি বলেন, বাচ্চাটার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। ও গতকাল রাত থেকে ভেন্টিলেশনে আছে, ওর অবস্থা ভালো না।

ধর্ষণের পাশাপাশি তার গলা চেপে ধরা হয়েছিল। আমরা দেখেছি তার গলায় একটা দাগ আছে। এ কারণে চিকিৎসকরা বলছেন, গলা চেপে ধরার কারণে তার শ্বাসকষ্ট হয়েছে। এ কারণে তার সমস্যাগুলো আরো বেশি হচ্ছে।

শিশুটির চিকিৎসায় শনিবার মেডিকেল বোর্ড করা গঠনের কথা জানিয়ে হাসপাতালের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেছেন, ওই বোর্ডে চারটি বিভাগের চিকিৎসকরা আছেন।
আমাদের শিশু বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া পেডিয়াট্রিক সার্জারি, গাইনি এবং অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসকরা আছেন। উনারা আজ মিটিংয়ে বসেছেন।

ঢাকা মেডিকেলের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য মো. ছামিদুর রহমান বলেন, স্ট্যাগুলেশন মানে গলা টিপে ধরার কারণে তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। গলা টিপে ধরার কারণেই তার সমস্যা বেশি হচ্ছে। সার্জিক্যাল সাইট অতটা খারাপ না। তার পেরিনিয়াম (যৌনাঙ্গের একটা অংশ) অত খারাপ না।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

পরিবার বলছে, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য আনা হয় ঢাকায়।

ঢাকার আনার পর তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ)। সেদিন চিকিৎসকদের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মাসুদ বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪: মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে বড় বোন ও বাবাকে দিয়ে শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান। সেই অনুযায়ী বিকাল ৩টার দিকে মামলা রুজু হয়। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তার মা সেখানে আছেন। সকালে শিশুটির বড় বোন ও বাবার মাধ্যমে তার মা থানায় এজাহার পাঠান। সেই অনুযায়ী মামলা রুজু হয়েছে। মামলার চার আসামি আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিল। তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাড়ি শ্রীপুর উপজেলায়। কয়েকদিন আগে তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

শিশুটির সবশেষ অবস্থার কথা জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। পাশবিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। তার গলার আঘাত গুরুতর।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নাঈমের ১৭৬, দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ প্রাইম ব্যাংকের

সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় মাগুরার সেই শিশুটিকে নেওয়া হয়েছে সিএমএইচে

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটিকে ‘সঙ্কটাপন্ন’ অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে সেখানে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মাগুরার ওই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই মাত্র তারা সেখানে পৌঁছেছে।

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ বলছে চিকিৎসকরা। সিএমএইচে নেওয়ার আগে তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, দুপুরে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটিকে হাসপাতালে দেখতে আসেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুর্শিদ। উপদেষ্টার নির্দেশ ও শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় তিনি বলেন, বাচ্চাটার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। ও গতকাল রাত থেকে ভেন্টিলেশনে আছে, ওর অবস্থা ভালো না।

ধর্ষণের পাশাপাশি তার গলা চেপে ধরা হয়েছিল। আমরা দেখেছি তার গলায় একটা দাগ আছে। এ কারণে চিকিৎসকরা বলছেন, গলা চেপে ধরার কারণে তার শ্বাসকষ্ট হয়েছে। এ কারণে তার সমস্যাগুলো আরো বেশি হচ্ছে।

শিশুটির চিকিৎসায় শনিবার মেডিকেল বোর্ড করা গঠনের কথা জানিয়ে হাসপাতালের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেছেন, ওই বোর্ডে চারটি বিভাগের চিকিৎসকরা আছেন।
আমাদের শিশু বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া পেডিয়াট্রিক সার্জারি, গাইনি এবং অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসকরা আছেন। উনারা আজ মিটিংয়ে বসেছেন।

ঢাকা মেডিকেলের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য মো. ছামিদুর রহমান বলেন, স্ট্যাগুলেশন মানে গলা টিপে ধরার কারণে তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। গলা টিপে ধরার কারণেই তার সমস্যা বেশি হচ্ছে। সার্জিক্যাল সাইট অতটা খারাপ না। তার পেরিনিয়াম (যৌনাঙ্গের একটা অংশ) অত খারাপ না।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

পরিবার বলছে, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য আনা হয় ঢাকায়।

ঢাকার আনার পর তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ)। সেদিন চিকিৎসকদের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মাসুদ বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪: মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে বড় বোন ও বাবাকে দিয়ে শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান। সেই অনুযায়ী বিকাল ৩টার দিকে মামলা রুজু হয়। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তার মা সেখানে আছেন। সকালে শিশুটির বড় বোন ও বাবার মাধ্যমে তার মা থানায় এজাহার পাঠান। সেই অনুযায়ী মামলা রুজু হয়েছে। মামলার চার আসামি আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিল। তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাড়ি শ্রীপুর উপজেলায়। কয়েকদিন আগে তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

শিশুটির সবশেষ অবস্থার কথা জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। পাশবিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। তার গলার আঘাত গুরুতর।