ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরি করুন মাত্র ৫ মিনিটে

  • আপডেট সময় : ০১:১২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক: দিনের শুরুতে পেট ভরে ও পুষ্টিকর খাবার না খেলে সারাদিন শক্তি ধরে রাখা কঠিন। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সকালে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার করার পরামর্শ দেন। সকালের নাস্তায় এমন খাবার বেছে নিতে হবে, যেন সারাদিন পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়, আবার অতিরিক্ত শর্করা বা স্নেহজাতীয় উপকরণও না থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরিও করতে হবে অল্প সময়ে।

অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এমন কয়েকটি নাস্তার রেসিপি-

কলা ও ওটসের স্মুদি

সাদা পাউরুটি খাওয়ার বদলে কলা-ওটস স্মুদি খান। কলা-ওটস স্মুদি বানাতে ১টি কলা, ১ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ ওটস ও ১ চা চামচ মধু নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এই কলা-ওটস স্মুদি। যা খেলে সারা দিনের কাজের জন্য অনেক শক্তি পাওয়া যায়।

এগ স্ক্র্যাম্বল স্যান্ডউইচ

দুটি ডিম ফাটিয়ে নিন। এতে লবণ ও গোলমরিচ দিন। এবার প্যানে ১ চা চামচ মাখন দিয়ে স্ক্র্যাম্বল করে নিন। এবার পাউরুটির উপর স্ক্র্যাম্বল দিয়ে আরেকটা পাউরুটি চাপা দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করুন। পাউরুটিটা অল্প মাখনে সেঁকে নিলেই স্যান্ডউইচ তৈরি। এটিও তৈরি করতে কম সময়ে লাগে কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর।

পিনাট বাটার টোস্ট

সাদা পাউরুটি নয়, বাদামি পাউরুটি খেতে পারেন। সঙ্গে খেতে পারেন পিনাট বাটার। পিনাট বাটার টোস্ট বানানোর জন্য ২ পিস বাদামি পাউরুটি হালকা মাখনে ভেজে নিন। এরপর ভাজা পাউরুটিতে ২ চা চামচ পিনাট বাটার মেখে তার উপর কলার টুকরো সাজিয়ে দিন। এভাবেই খুব সহজে তৈরি হয়ে যাবে পিনাট বাটার টোস্ট। এই খাবারে খেলে শরীরের আমিষের চাহিদা মিটবে, আর স্নেহজাতীয় উপাদান ভালো পাওয়া যাবে।

ফল ও টকদই

একটি আপেল ও একটি শসা কুচি করে কেটে নিন। এবার আধা কাপ টকদই নিয়ে কেটে রাখা আপেল, শসা, এক চা চামচ মধু ও অল্প পরিমাণে বাদাম নিয়ে মিশিয়ে নিন। এই খাবারে প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজমের জন্য উপকারী। এছাড়া সকালে নাস্তা হিসেবে খেলে সহজে ক্ষুধাও পাবে না।

ওটসের খিচুড়ি

সারাদিনের শক্তি পেতে ওটসের খিচুড়ি খেতে পারেন। প্রথমে ওটস হালকা ভেজে নিন। এরপর প্যানে ১ চামচ মাখন দিয়ে তাতে বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম কুচি (সব মিলিয়ে ১ কাপ) ও অল্প হলুদ দিয়ে ভেজে নিন। ভাজা হলে ওটস, পরিমাণ মতো লবণ ও পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিলেই হয়ে যাবে ওটসের খিচুড়ি। এই খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই সকালের খাবারে রাখতে পারেন এক বাটি ওটসের খিচুড়ি।

সূত্র: ওয়েবএমডি, হেলথ লাইন , দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গ্রিন লুট ও অন্যান্য

এসি/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরি করুন মাত্র ৫ মিনিটে

আপডেট সময় : ০১:১২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: দিনের শুরুতে পেট ভরে ও পুষ্টিকর খাবার না খেলে সারাদিন শক্তি ধরে রাখা কঠিন। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সকালে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার করার পরামর্শ দেন। সকালের নাস্তায় এমন খাবার বেছে নিতে হবে, যেন সারাদিন পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়, আবার অতিরিক্ত শর্করা বা স্নেহজাতীয় উপকরণও না থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরিও করতে হবে অল্প সময়ে।

অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এমন কয়েকটি নাস্তার রেসিপি-

কলা ও ওটসের স্মুদি

সাদা পাউরুটি খাওয়ার বদলে কলা-ওটস স্মুদি খান। কলা-ওটস স্মুদি বানাতে ১টি কলা, ১ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ ওটস ও ১ চা চামচ মধু নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এই কলা-ওটস স্মুদি। যা খেলে সারা দিনের কাজের জন্য অনেক শক্তি পাওয়া যায়।

এগ স্ক্র্যাম্বল স্যান্ডউইচ

দুটি ডিম ফাটিয়ে নিন। এতে লবণ ও গোলমরিচ দিন। এবার প্যানে ১ চা চামচ মাখন দিয়ে স্ক্র্যাম্বল করে নিন। এবার পাউরুটির উপর স্ক্র্যাম্বল দিয়ে আরেকটা পাউরুটি চাপা দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করুন। পাউরুটিটা অল্প মাখনে সেঁকে নিলেই স্যান্ডউইচ তৈরি। এটিও তৈরি করতে কম সময়ে লাগে কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর।

পিনাট বাটার টোস্ট

সাদা পাউরুটি নয়, বাদামি পাউরুটি খেতে পারেন। সঙ্গে খেতে পারেন পিনাট বাটার। পিনাট বাটার টোস্ট বানানোর জন্য ২ পিস বাদামি পাউরুটি হালকা মাখনে ভেজে নিন। এরপর ভাজা পাউরুটিতে ২ চা চামচ পিনাট বাটার মেখে তার উপর কলার টুকরো সাজিয়ে দিন। এভাবেই খুব সহজে তৈরি হয়ে যাবে পিনাট বাটার টোস্ট। এই খাবারে খেলে শরীরের আমিষের চাহিদা মিটবে, আর স্নেহজাতীয় উপাদান ভালো পাওয়া যাবে।

ফল ও টকদই

একটি আপেল ও একটি শসা কুচি করে কেটে নিন। এবার আধা কাপ টকদই নিয়ে কেটে রাখা আপেল, শসা, এক চা চামচ মধু ও অল্প পরিমাণে বাদাম নিয়ে মিশিয়ে নিন। এই খাবারে প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজমের জন্য উপকারী। এছাড়া সকালে নাস্তা হিসেবে খেলে সহজে ক্ষুধাও পাবে না।

ওটসের খিচুড়ি

সারাদিনের শক্তি পেতে ওটসের খিচুড়ি খেতে পারেন। প্রথমে ওটস হালকা ভেজে নিন। এরপর প্যানে ১ চামচ মাখন দিয়ে তাতে বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম কুচি (সব মিলিয়ে ১ কাপ) ও অল্প হলুদ দিয়ে ভেজে নিন। ভাজা হলে ওটস, পরিমাণ মতো লবণ ও পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিলেই হয়ে যাবে ওটসের খিচুড়ি। এই খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই সকালের খাবারে রাখতে পারেন এক বাটি ওটসের খিচুড়ি।

সূত্র: ওয়েবএমডি, হেলথ লাইন , দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গ্রিন লুট ও অন্যান্য

এসি/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫