নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রকল্প পরিচালকের সই নকল করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৪৪ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী (ক্যাশ) মো. আনিসুর রহমানসহ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আনিসুর রহমান ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এম জাহান ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. মহসীন আলী ও গ্রীন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মাহফুজ হুদা সৈকত।
গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ২১ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৫১২ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়। অন্যদিকে একইভাবে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প থেকে প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষরে তৈরি করা ভূয়া বিল হিসাব দাখিল করে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ২১ কোটি ৮৪ লাখ ২৪ হাজার ৯০৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এই দুই প্রকল্পের এসব অর্থ এই তিন ব্যক্তি জালিয়াতির মাধ্যমে বিল প্রস্তুত করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারকে জমা দিয়ে উত্তোলন মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
গতকাল রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুদক কর্মকর্তা এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বাদী ওই কর্মকর্তাকে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গোপালগঞ্জস্থ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ২১ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৫১২ টাকা ও সিরাজগঞ্জস্থ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী ২১ কোটি ৮৪ লাখ ২৪ হাজার ৯০৩ টাকাসহ মোট ৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪১২ টাকা সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দন্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/ ৮৬৭ / ৪৯১/ ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
সই নকল করে ৪৪ কোটি টাকা লোপাট করেছে স্বাস্থ্যের কর্মচারী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ