ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সংস্কৃতিতে দৃশ্যযোগ্য পরিবর্তন চান ফারুকী

  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: সংস্কৃতি অঙ্গনে পরিবর্তন আনতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, সেসব বিষয়ে এসময় কথা বলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “এখানে লুকানোর কিছু নেই যে, আমরা সবাই জানি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি অবহেলিত মন্ত্রণালয়। এখানে বাজেট কম থাকে। কিন্তু আমার এডভান্টেজ হচ্ছে, আমি একটা ব্রিলিয়ান্ট টিম পাচ্ছি। বাংলা একাডেমিতে আছেন মোহাম্মদ আজম, হি ইজ ব্রান্ড! আমি তার কাজ সম্পর্কে জানি। নজরুল ইনস্টিটিউটে আছেন শিবলী ভাই (লতিফুল ইসলাম শিবলী)। তিনি আমাদের ছোটবেলার হিরো ছিলেন। তার গান ছিলো সবার প্রিয়। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমিতে আমরা পেয়েছি সৈয়দ জামিল আহমেদকে। আমি সব সময় বলি যে, বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চার ইতিহাসে জামিল আহমেদ এক পাল্লায়, বাকি সবাই এক পাল্লায়! বাকিরা ছোট বোধ করবেন না, কারণ জামিল আহমেদ আসলেই অনেক বড়। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে আছেন আফসানা আপা, তিনিও গ্রেট রাইটার! সুতরাং, আমার শক্তির জায়গাটা হচ্ছে- এমন একটি গ্রেট টিম আমার সঙ্গে আছে।” সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ফারুকী এসময় বলেন, প্রথমে আমি আমার মন্ত্রণালয়ের সবার সাথে বসে রিয়েল সিচুয়েশনটা জানতে চাইবো যে, ফান্ডিংয়ের অবস্থাটা কী। এই ফান্ডিংয়ের মধ্যে কী পরিমাণ অর্থ খরচ হয় বেতনে, আর কী পরিমাণ খরচ হয় উন্নয়ন প্রকল্পে, কী পরিমাণ প্রশিক্ষণে- এগুলো জানার চেষ্টা করবো। এরপর মন্ত্রণালয়ের অধিনে যে একাডেমিগুলো হেড করছেন, তাদের নিয়ে বসবো। সেই মিটিংগুলোতে আমি চেষ্টা করবো, গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্টেকহোল্ডারদের রাখতে। সবার কাছে প্ল্যান চাইবো। বলবো, আপনারা আমাদের প্ল্যান দিন। তিন মাসে দৃশ্যযোগ্য কী পরিবর্তন আনতে পারি আমরা! এরপর আরেকটা প্ল্যান দিবো, আগামি এক বছরে কী দৃশ্যযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারি আমরা! কী কী প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। যে পরিবর্তনগুলো আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনে একটা বড় প্রভাব ফেলবে! এসময় এক বছর মেয়াদী প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়ে ফারুকী আরো বলেন, “এক বছর মেয়াদী যে পরিকল্পনাগুলো আমরা করবো, সেখানে আমাদের স্বপ্ন থাকবে অনেক। ফলে আমরা দেখবো, কিছু বাজেটে কুলাচ্ছে, কিছু কুলাচ্ছে না। আমি প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে বলেছি এখানে যোগ দেয়ার আগেই। এই পরিকল্পনাগুলো উনার কাছে পেশ করবো, করার পর যদি উনি মনে করেন যে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজন আছে- তাহলে নিশ্চয় সেগুলো বাস্তবায়ন করাও সম্ভব। উনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, আমি উনাকে বিশ্বাস করি, হি ইজ অ্যা ড্রিমার। তিনি বলেছেন, পরিকল্পনা দেখার পর উনি আমার সাথে বসবেন; এবং উনার সিদ্ধান্তগুলো আমাকে জানাবেন। আমার বিশ্বাস, আমরা উনার কাছ থেকে পুরোপুরি সাপোর্ট পাবো। ” কথা প্রসঙ্গে সিনেমা নিয়েও কথা বলেন সংস্কৃতির নতুন এই উপদেষ্টা। ফারুকী বলেন, “নতুন বাংলাদেশের যে ন্যারেটিভ আমরা নির্মাণ করতে চাই, সেটা ফিল্ম ছাড়া সম্ভব নয়। যদিও ফিল্ম না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থায় আছে। কিন্তু আমি মনে করি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ফিল্মের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ ফিল্ম হচ্ছে কালচারাল ন্যারেটিভ নির্মাণের অন্যতম টুলস।” অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শপথ নেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়া প্রসঙ্গে ফারুকী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, ‘আমি কখনোই কোনো পদ কিংবা কোনো চেয়ারে বসব, এটা ভাবি নাই। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা টেম্পটিং, না বলাটা মুশকিল।’
সেসময় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এর নির্মাতা আরো বলেন, “আমি আশা করি, যে কয়দিন কাজ করব, কিছু পরিবর্তন হয়তো ঘটাতে পারব। যদি ঘটাতে পারি, মনে করব যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, সেটা সফল হবে। আমি যদি কাজের মধ্যে কোনো ভুল করি, সবার প্রতি আমার একই বক্তব্য, ফিল ফ্রি। ধরিয়ে দেবেন, এটা ভুল হচ্ছে। আমি সেটিকে সাদরে গ্রহণ করব।” রবিবার বিকেল থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো, বর্তমান সরকারে নতুন তিন উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন; এরমধ্যে আছেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সন্ধ্যা হতেই সেই গুঞ্জন সত্য হলো। এরইমধ্যে অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমা নির্মাতা ফারুকী। চলচ্চিত্র, নাটকের বহু সহকর্মী ফারুকীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। পঁচিশ বছরের বেশী সময় ধরে নির্মাণের সাথে আছেন ফারুকী। চড়ুইভাতি, আয়েশা, ৪২০, ব্যাচেলর, মেড ইন বাংলাদেশ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, টেলিভিশন, ডুব, শনিবার বিকেলসহ বহু জনপ্রিয় টিভি ফিকশন, চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন ফারুকী। গড়ে তুলেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ছবিয়াল’।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

সংস্কৃতিতে দৃশ্যযোগ্য পরিবর্তন চান ফারুকী

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: সংস্কৃতি অঙ্গনে পরিবর্তন আনতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, সেসব বিষয়ে এসময় কথা বলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “এখানে লুকানোর কিছু নেই যে, আমরা সবাই জানি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি অবহেলিত মন্ত্রণালয়। এখানে বাজেট কম থাকে। কিন্তু আমার এডভান্টেজ হচ্ছে, আমি একটা ব্রিলিয়ান্ট টিম পাচ্ছি। বাংলা একাডেমিতে আছেন মোহাম্মদ আজম, হি ইজ ব্রান্ড! আমি তার কাজ সম্পর্কে জানি। নজরুল ইনস্টিটিউটে আছেন শিবলী ভাই (লতিফুল ইসলাম শিবলী)। তিনি আমাদের ছোটবেলার হিরো ছিলেন। তার গান ছিলো সবার প্রিয়। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমিতে আমরা পেয়েছি সৈয়দ জামিল আহমেদকে। আমি সব সময় বলি যে, বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চার ইতিহাসে জামিল আহমেদ এক পাল্লায়, বাকি সবাই এক পাল্লায়! বাকিরা ছোট বোধ করবেন না, কারণ জামিল আহমেদ আসলেই অনেক বড়। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে আছেন আফসানা আপা, তিনিও গ্রেট রাইটার! সুতরাং, আমার শক্তির জায়গাটা হচ্ছে- এমন একটি গ্রেট টিম আমার সঙ্গে আছে।” সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ফারুকী এসময় বলেন, প্রথমে আমি আমার মন্ত্রণালয়ের সবার সাথে বসে রিয়েল সিচুয়েশনটা জানতে চাইবো যে, ফান্ডিংয়ের অবস্থাটা কী। এই ফান্ডিংয়ের মধ্যে কী পরিমাণ অর্থ খরচ হয় বেতনে, আর কী পরিমাণ খরচ হয় উন্নয়ন প্রকল্পে, কী পরিমাণ প্রশিক্ষণে- এগুলো জানার চেষ্টা করবো। এরপর মন্ত্রণালয়ের অধিনে যে একাডেমিগুলো হেড করছেন, তাদের নিয়ে বসবো। সেই মিটিংগুলোতে আমি চেষ্টা করবো, গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্টেকহোল্ডারদের রাখতে। সবার কাছে প্ল্যান চাইবো। বলবো, আপনারা আমাদের প্ল্যান দিন। তিন মাসে দৃশ্যযোগ্য কী পরিবর্তন আনতে পারি আমরা! এরপর আরেকটা প্ল্যান দিবো, আগামি এক বছরে কী দৃশ্যযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারি আমরা! কী কী প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। যে পরিবর্তনগুলো আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনে একটা বড় প্রভাব ফেলবে! এসময় এক বছর মেয়াদী প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়ে ফারুকী আরো বলেন, “এক বছর মেয়াদী যে পরিকল্পনাগুলো আমরা করবো, সেখানে আমাদের স্বপ্ন থাকবে অনেক। ফলে আমরা দেখবো, কিছু বাজেটে কুলাচ্ছে, কিছু কুলাচ্ছে না। আমি প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে বলেছি এখানে যোগ দেয়ার আগেই। এই পরিকল্পনাগুলো উনার কাছে পেশ করবো, করার পর যদি উনি মনে করেন যে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজন আছে- তাহলে নিশ্চয় সেগুলো বাস্তবায়ন করাও সম্ভব। উনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, আমি উনাকে বিশ্বাস করি, হি ইজ অ্যা ড্রিমার। তিনি বলেছেন, পরিকল্পনা দেখার পর উনি আমার সাথে বসবেন; এবং উনার সিদ্ধান্তগুলো আমাকে জানাবেন। আমার বিশ্বাস, আমরা উনার কাছ থেকে পুরোপুরি সাপোর্ট পাবো। ” কথা প্রসঙ্গে সিনেমা নিয়েও কথা বলেন সংস্কৃতির নতুন এই উপদেষ্টা। ফারুকী বলেন, “নতুন বাংলাদেশের যে ন্যারেটিভ আমরা নির্মাণ করতে চাই, সেটা ফিল্ম ছাড়া সম্ভব নয়। যদিও ফিল্ম না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থায় আছে। কিন্তু আমি মনে করি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ফিল্মের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ ফিল্ম হচ্ছে কালচারাল ন্যারেটিভ নির্মাণের অন্যতম টুলস।” অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শপথ নেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়া প্রসঙ্গে ফারুকী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, ‘আমি কখনোই কোনো পদ কিংবা কোনো চেয়ারে বসব, এটা ভাবি নাই। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা টেম্পটিং, না বলাটা মুশকিল।’
সেসময় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এর নির্মাতা আরো বলেন, “আমি আশা করি, যে কয়দিন কাজ করব, কিছু পরিবর্তন হয়তো ঘটাতে পারব। যদি ঘটাতে পারি, মনে করব যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, সেটা সফল হবে। আমি যদি কাজের মধ্যে কোনো ভুল করি, সবার প্রতি আমার একই বক্তব্য, ফিল ফ্রি। ধরিয়ে দেবেন, এটা ভুল হচ্ছে। আমি সেটিকে সাদরে গ্রহণ করব।” রবিবার বিকেল থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো, বর্তমান সরকারে নতুন তিন উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন; এরমধ্যে আছেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সন্ধ্যা হতেই সেই গুঞ্জন সত্য হলো। এরইমধ্যে অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমা নির্মাতা ফারুকী। চলচ্চিত্র, নাটকের বহু সহকর্মী ফারুকীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। পঁচিশ বছরের বেশী সময় ধরে নির্মাণের সাথে আছেন ফারুকী। চড়ুইভাতি, আয়েশা, ৪২০, ব্যাচেলর, মেড ইন বাংলাদেশ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, টেলিভিশন, ডুব, শনিবার বিকেলসহ বহু জনপ্রিয় টিভি ফিকশন, চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন ফারুকী। গড়ে তুলেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ছবিয়াল’।