ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হলে বাধা দেবে বিএনপি

  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

রোববার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়, তাহলে সেই প্রস্তাবে বাধা দেবে বিএনপি।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকেরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে প্রশ্ন করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর আগে বলেছেন সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব হবে। এ বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে কি না? এর জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এটা তো তাদের ব্যাপার, তারা বলবে। আমরাও যদি মনে করি সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায়, ওটা নির্বাচন কমিশন কেন, আমরাও বাধা দেব।’

বৈঠকে ইসির পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আরও ছিলেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নজরুল ইসলাম খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির আরও দুজন সদস্য সেলিমা রহমান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করে বুঝতে পেরেছেন আগামী মে বা জুন মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশন পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে। সে হিসেবে দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব।

কমিশনের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন ছাড়া আর আলোচনার বিষয় থাকে না। তারা (নির্বাচন কমিশন) এই মুহূর্তে কী কার্যক্রম, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে প্রস্তুতি কী, এসব বিষয় মতবিনিময়ে এসেছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী মে মাস, জুন মাসের মধ্যে ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নেই। কারণ, দেশের প্রচলিত সংবিধান আইন হলে, একটা সরকার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন তো ওই আইনে দেশ চলছে না। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ হতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তবে এতটুকু বোঝা গেছে যদি মে মাস বা জুন মাসের মধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি তাদের থাকে, তাহলে খুব দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, এমন বার্তা পেয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগেও বলেছি, এই ঘোষণা তো ওনারা করতে পারেন না। কারণ, এখন সংবিধানের স্বাভাবিক যে নিয়ম, সে অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে না।’

আপনারা কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, না। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের। তারপর শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা নির্বাচন কমিশন করবে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটা আলোচনা আছে। সেখানে এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অতিরিক্ত শুল্ক সব পক্ষের ক্ষতি করবে সতর্কতা জার্মানির

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হলে বাধা দেবে বিএনপি

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়, তাহলে সেই প্রস্তাবে বাধা দেবে বিএনপি।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকেরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে প্রশ্ন করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর আগে বলেছেন সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব হবে। এ বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে কি না? এর জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এটা তো তাদের ব্যাপার, তারা বলবে। আমরাও যদি মনে করি সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায়, ওটা নির্বাচন কমিশন কেন, আমরাও বাধা দেব।’

বৈঠকে ইসির পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আরও ছিলেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নজরুল ইসলাম খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির আরও দুজন সদস্য সেলিমা রহমান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করে বুঝতে পেরেছেন আগামী মে বা জুন মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশন পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে। সে হিসেবে দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব।

কমিশনের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন ছাড়া আর আলোচনার বিষয় থাকে না। তারা (নির্বাচন কমিশন) এই মুহূর্তে কী কার্যক্রম, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে প্রস্তুতি কী, এসব বিষয় মতবিনিময়ে এসেছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী মে মাস, জুন মাসের মধ্যে ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নেই। কারণ, দেশের প্রচলিত সংবিধান আইন হলে, একটা সরকার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন তো ওই আইনে দেশ চলছে না। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ হতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তবে এতটুকু বোঝা গেছে যদি মে মাস বা জুন মাসের মধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি তাদের থাকে, তাহলে খুব দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, এমন বার্তা পেয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগেও বলেছি, এই ঘোষণা তো ওনারা করতে পারেন না। কারণ, এখন সংবিধানের স্বাভাবিক যে নিয়ম, সে অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে না।’

আপনারা কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, না। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের। তারপর শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা নির্বাচন কমিশন করবে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটা আলোচনা আছে। সেখানে এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হবে।