ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো দুঃখজনক: তারেক রহমান

  • আপডেট সময় : ০৯:২২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেল শনিবার ১২ দলীয় জোটের ইফতারে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর মত একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেছেন, দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি, একটি হচ্ছে।

শনিবার (২২ মার্চ) ১২ দলীয় জোটের ইফতার আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমন মন্তব্য করেন।

সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে এ আলোচনা সভায় তিনি মতভিন্নতা থাকলেও যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মতভিন্নতা থাকবে, আমরা বসব, আলোচনা করব। এমন কিছু আমরা বলব না, এমন কিছু করা থেকে আমরা বিরত থাকার চেষ্টা করব যাতে করে কোনোভাবেই স্বৈরাচার বা তার প্রেত্মাতারা আবার এদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসতে পারে। এটি হোক আমাদের প্রত্যাশা।

রাজধানীর মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেল এই ইফতারে ১২ দলীয় জোটের নেতারা অংশ নেন।

আন্দোলনে সহকর্মী-আপনজনদের হারানোর কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন যে ঐক্য নিয়ে আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম সেই ঐক্যকে আমরা ধরে রাখি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আগামী দিনে এই ঐক্যকে বজায় রেখে, এই ঐক্যকে ধরে রেখে এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গণতন্ত্রকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে আমরা সকলে মিলে আলোচনার মাধ্যমে সকলে মিলে বাস্তবায়ন করব।

সংস্কার-নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো দুঃখজনক: আড়াই বছর আগে পরিবর্তনের লক্ষ্যে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টিও ইফতারের আগে আলোচনা সভায় তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি, একটি পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে। সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। এখানে আপনারা সবাই রাজনীতিবিদ। গণতন্ত্র বলতে একজন সাধারণ মানুষ কী বোঝেন? সাধারণ মানুষের কাছে এক কথায় নির্বাচন, নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার যে ব্যবস্থা সেটিকে গণতন্ত্র বলি আমরা।

কেউ কেউ বলছেন যে সংস্কার শেষ হবে তারপরে নির্বাচন হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যেটা শেষ হয়ে যায় সেটা তো সংস্কার হতে পারে না। সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গাফলতিগুলো আছে সেই ত্রুটিগুলোকে আমরা সংস্কার করব, পরিবর্তন করব এবং সময়ের সাথে আরও যখন সামনে এগিয়ে আরও ভালো ব্যবস্থা করব। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করব। দেশের মানুষের জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে সেটিকে আমরা পরিবর্তন করব, উন্নত করব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটি এগিয়ে যাওয়ার পর আরও ভালো করার চেষ্টা করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নমত আছে, আদর্শ সবার এক নয়। কিছু কিছু ভিন্নতা আছে। কিন্তু একটি জায়গা আমরা সকলে এক-তা হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ ও গণতন্ত্র।
এখানে কিন্তু কোনো বিভেদ নেই। বেসিক বিষয়টিতে আমরা সকলে একত্রিত।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও মুখপাত্র জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় বিএনপির সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আখতার হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী নাহিদ বক্তব্য রাখেন।

ইফতারে বিএনপির জয়নুল আবদিন ফারুক, মাহাদি আমিন ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান ও রাশেদ প্রধান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সারজিস আলম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেনাবাহিনী জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে: সেনাপ্রধান

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো দুঃখজনক: তারেক রহমান

আপডেট সময় : ০৯:২২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর মত একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেছেন, দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি, একটি হচ্ছে।

শনিবার (২২ মার্চ) ১২ দলীয় জোটের ইফতার আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমন মন্তব্য করেন।

সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে এ আলোচনা সভায় তিনি মতভিন্নতা থাকলেও যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মতভিন্নতা থাকবে, আমরা বসব, আলোচনা করব। এমন কিছু আমরা বলব না, এমন কিছু করা থেকে আমরা বিরত থাকার চেষ্টা করব যাতে করে কোনোভাবেই স্বৈরাচার বা তার প্রেত্মাতারা আবার এদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসতে পারে। এটি হোক আমাদের প্রত্যাশা।

রাজধানীর মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেল এই ইফতারে ১২ দলীয় জোটের নেতারা অংশ নেন।

আন্দোলনে সহকর্মী-আপনজনদের হারানোর কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন যে ঐক্য নিয়ে আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম সেই ঐক্যকে আমরা ধরে রাখি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আগামী দিনে এই ঐক্যকে বজায় রেখে, এই ঐক্যকে ধরে রেখে এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গণতন্ত্রকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে আমরা সকলে মিলে আলোচনার মাধ্যমে সকলে মিলে বাস্তবায়ন করব।

সংস্কার-নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো দুঃখজনক: আড়াই বছর আগে পরিবর্তনের লক্ষ্যে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টিও ইফতারের আগে আলোচনা সভায় তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি, একটি পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে। সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। এখানে আপনারা সবাই রাজনীতিবিদ। গণতন্ত্র বলতে একজন সাধারণ মানুষ কী বোঝেন? সাধারণ মানুষের কাছে এক কথায় নির্বাচন, নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার যে ব্যবস্থা সেটিকে গণতন্ত্র বলি আমরা।

কেউ কেউ বলছেন যে সংস্কার শেষ হবে তারপরে নির্বাচন হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যেটা শেষ হয়ে যায় সেটা তো সংস্কার হতে পারে না। সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গাফলতিগুলো আছে সেই ত্রুটিগুলোকে আমরা সংস্কার করব, পরিবর্তন করব এবং সময়ের সাথে আরও যখন সামনে এগিয়ে আরও ভালো ব্যবস্থা করব। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করব। দেশের মানুষের জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে সেটিকে আমরা পরিবর্তন করব, উন্নত করব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটি এগিয়ে যাওয়ার পর আরও ভালো করার চেষ্টা করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নমত আছে, আদর্শ সবার এক নয়। কিছু কিছু ভিন্নতা আছে। কিন্তু একটি জায়গা আমরা সকলে এক-তা হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ ও গণতন্ত্র।
এখানে কিন্তু কোনো বিভেদ নেই। বেসিক বিষয়টিতে আমরা সকলে একত্রিত।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও মুখপাত্র জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় বিএনপির সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আখতার হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী নাহিদ বক্তব্য রাখেন।

ইফতারে বিএনপির জয়নুল আবদিন ফারুক, মাহাদি আমিন ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান ও রাশেদ প্রধান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সারজিস আলম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন।