ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

সংসার চালাতে সঞ্চয় খরচ করছেন জার্মানরা

  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউরোপের বাকি দেশগুলোর মতো জার্মানিতেও হু হু করে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তুলনামূলক নি¤œআয়ের মানুষদের। স্থানীয় অর্থনীতি বিষয়ক এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন বলছে, জার্মানির অধিকাংশ মানুষই জীবনযাপনের খরচ জোগাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। যা মজুরি বা বেতন পান তা দিয়ে সংসার চলছে না আর। খবর ডয়েচে ভেলের।
মিউনিখভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইফো ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি এমনভাবে বেড়েছে, প্রয়োজনীয় জিনিপত্র কিনতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। নিয়মিত আয়ে খরচ সংকুলান হচ্ছে না। তাই জমানো টাকায় হাত দিতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে ইফো ইনস্টিটিউটের এই প্রতিবেদন। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা দলের প্রধান টিমো ভলমার্শহয়জার বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালে জার্মানিতে অনেকেরই সংসার খরচ কমেছিল। বেশ বড় একটা সময়, বিশেষ করে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত তারা ভালো অংকের টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। ওই সময় জার্মানদের মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় সাত হাজার কোটি ইউরো, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে পরিস্থিতি এতটাই বদলে গেছে যে, ২০২২ সালের শুরুর দিকেই অবস্থা হয়ে যায় সঙ্গীন। ইফো ইনস্টিটিউটের অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রধানের কথায়, ২০২২ সালের প্রথম চার মাসে জার্মানদের সঞ্চয় দ্রুত শেষ হতে থাকে। জার্মানির মানুষ নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে এখনো হিমশিম খাচ্ছেন জানিয়ে ভলমার্শহয়জার বলেন, বছরের দ্বিতীয়াংশেও অবস্থা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়েনি। ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে জার্মান সরকারের সাম্প্রতিক সমঝোতা অনুযায়ী বেতন যে হারে বাড়ানোর কথা, তাও সেভাবে বাড়েনি। হান্স ব্যোকলার ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ বলছে, সমঝোতার পরে জার্মানিতে বেতন বাড়ানো হয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। অথচ অগ্নিমূল্যের বাজারে জার্মানদের ব্যয় বেড়েছে অন্তত ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতির বড় ধরনের উন্নতি হবে, এমন সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

সংসার চালাতে সঞ্চয় খরচ করছেন জার্মানরা

আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউরোপের বাকি দেশগুলোর মতো জার্মানিতেও হু হু করে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তুলনামূলক নি¤œআয়ের মানুষদের। স্থানীয় অর্থনীতি বিষয়ক এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন বলছে, জার্মানির অধিকাংশ মানুষই জীবনযাপনের খরচ জোগাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। যা মজুরি বা বেতন পান তা দিয়ে সংসার চলছে না আর। খবর ডয়েচে ভেলের।
মিউনিখভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইফো ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি এমনভাবে বেড়েছে, প্রয়োজনীয় জিনিপত্র কিনতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। নিয়মিত আয়ে খরচ সংকুলান হচ্ছে না। তাই জমানো টাকায় হাত দিতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে ইফো ইনস্টিটিউটের এই প্রতিবেদন। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা দলের প্রধান টিমো ভলমার্শহয়জার বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালে জার্মানিতে অনেকেরই সংসার খরচ কমেছিল। বেশ বড় একটা সময়, বিশেষ করে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত তারা ভালো অংকের টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। ওই সময় জার্মানদের মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় সাত হাজার কোটি ইউরো, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে পরিস্থিতি এতটাই বদলে গেছে যে, ২০২২ সালের শুরুর দিকেই অবস্থা হয়ে যায় সঙ্গীন। ইফো ইনস্টিটিউটের অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রধানের কথায়, ২০২২ সালের প্রথম চার মাসে জার্মানদের সঞ্চয় দ্রুত শেষ হতে থাকে। জার্মানির মানুষ নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে এখনো হিমশিম খাচ্ছেন জানিয়ে ভলমার্শহয়জার বলেন, বছরের দ্বিতীয়াংশেও অবস্থা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়েনি। ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে জার্মান সরকারের সাম্প্রতিক সমঝোতা অনুযায়ী বেতন যে হারে বাড়ানোর কথা, তাও সেভাবে বাড়েনি। হান্স ব্যোকলার ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ বলছে, সমঝোতার পরে জার্মানিতে বেতন বাড়ানো হয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। অথচ অগ্নিমূল্যের বাজারে জার্মানদের ব্যয় বেড়েছে অন্তত ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতির বড় ধরনের উন্নতি হবে, এমন সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।