ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

সংসদে ৫০ আসনের দাবি হিন্দু মহাজোটের

  • আপডেট সময় : ০২:৫১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা জানান সংগঠনের নেতারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনসহ নানা কারণে হিন্দু সম্প্রদায় দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। অথচ সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংসদ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। কেননা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কোনও সংসদ সদস্য সংসদে নেই। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল ও ৭২ এর সংবিধান ফেরতের দাবিতে গড়ে ওঠা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবি পূরণ না হওয়া স্বত্বেও বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ভোল পাল্টিয়ে সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন নামে দুটি দাবি নিয়ে এসে হিন্দু সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। পরিষদটি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্যার সমাধান নয়, বরং তারা হিন্দু সমস্যাকে জিইয়ে রেখে নিজেদের সুবিধা আদায় করতে চায়। তারা বলেন, ১৯০৯ সালে অবিভক্ত ভারতে মুসলিম সম্প্রদায় পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা দাবি করেছিল। তাদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃটিশ সরকার ১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইনে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু ছিল। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে ৭২টি আসন নির্ধারিত ছিল। যার মধ্যে হিন্দুদের আসন ছিল ৬৯ টি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এক পক্ষ সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থা তুলে নেন। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় সবসময়ই আওয়ামী সরকারকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। আগামী নির্বাচনের আগে যদি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিল উত্থাপন করা না হয়, তাহলে দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবে। হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, দফতর সম্পাদক কল্যাণ মন্ডল প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংসদে ৫০ আসনের দাবি হিন্দু মহাজোটের

আপডেট সময় : ০২:৫১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা জানান সংগঠনের নেতারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনসহ নানা কারণে হিন্দু সম্প্রদায় দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। অথচ সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংসদ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। কেননা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কোনও সংসদ সদস্য সংসদে নেই। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল ও ৭২ এর সংবিধান ফেরতের দাবিতে গড়ে ওঠা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবি পূরণ না হওয়া স্বত্বেও বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ভোল পাল্টিয়ে সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন নামে দুটি দাবি নিয়ে এসে হিন্দু সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। পরিষদটি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্যার সমাধান নয়, বরং তারা হিন্দু সমস্যাকে জিইয়ে রেখে নিজেদের সুবিধা আদায় করতে চায়। তারা বলেন, ১৯০৯ সালে অবিভক্ত ভারতে মুসলিম সম্প্রদায় পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা দাবি করেছিল। তাদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃটিশ সরকার ১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইনে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু ছিল। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে ৭২টি আসন নির্ধারিত ছিল। যার মধ্যে হিন্দুদের আসন ছিল ৬৯ টি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এক পক্ষ সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থা তুলে নেন। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় সবসময়ই আওয়ামী সরকারকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। আগামী নির্বাচনের আগে যদি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিল উত্থাপন করা না হয়, তাহলে দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবে। হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, দফতর সম্পাদক কল্যাণ মন্ডল প্রমুখ।