ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

সংবিধান বাইপাস করে একটি দলকে নির্বাচনে আনা সম্ভব না: আমু

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবিধান বাইপাস করে একটি দলকে নির্বাচনে আনা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, দেশে যাই করতে হবে সংবিধান অনুযায়ী করতে হবে। কোনো একটি দলকে আনুকূল্য দিয়ে সংবিধান বাইপাস করে নির্বাচনে আনতে হবে এমনটি সম্ভব নয়। এমন তো না যে, একটি দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন হবে না। যে সেই দলকে বেশি আনুকূল্য দিতে গিয়ে অন্যান্য দল উঠে যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, আজ যারা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, এগুলো কাদের সৃষ্টি? আপনারা খোঁজ নেন। এই যে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে মালিক শ্রেণি, এরা কারা? এরা বিরোধী শক্তি। কিন্তু সরকারের উচিত এদের কঠোরভাবে দমন করা। তিনি বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা, ভোটের নামে হ্যাঁ-না যেদিন শুরু হলো, সেদিন থেকেই ভোট কারচুপি এবং স্লোগান উঠেছিল ‘এক হুন্ডা, দুই গুন্ডা, এক স্টেনগান, ভোট ঠান্ডা’। তখন একটা হুন্ডায় দুজন স্টেনগান নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট হাইজ্যাক করে হ্যাঁ-না ভোট শুরু হয়েছিল। এর কারণ কী? এর কারণ ছিল এটাই- অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল তাদের।
‘তখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেটা অবৈধভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নয়। এটা যদি সাংবিধানিকভাবে হয় তাহলে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ দল তার ছিল না, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। কিন্তু তার এই অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য দল না থাকার পরেও দুই-তৃতীয়াংশ ভোট নিতে ভোটের কারচুপি সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল। সেই থেকে ১৯৯৬ সালে এরশাদের আমলে ১২ দিন ভোটের ফলাফল আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। এই হচ্ছে এ দেশের ভোটের ইতিহাস। দেশে ভোট ব্যবস্থা উন্নতি করার জন্য যা ব্যবস্থা হয়েছে এসব শেখ হাসিনা করেছেন।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলছেন, ভোট ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে না গিয়ে বাইরে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাদের চেহারাগুলো আয়নায় দেখেই বলতে পারছেন। যারা ১২দিন ভোট কারচুপি করে হাইজ্যাক করেছিল, তারাই আজকে বড় বড় কথা বলে। যারা আজকে গুম হত্যার কথা বলে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামাত জোট যে নারকীয় হত্যাকা- এবং নারী নির্যাতন করেছিল, সেটা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ ছিল না, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের যারা প্রগতিশীল, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সবাইকে এক কথা বলতে হবে, আমি বলছি না যে, সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষে বলতে, কিন্তু এমন কিছু বলা উচিত না যেন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আরও শক্তি জোগাতে পারে। এ দেশ যদি পিছিয়ে থাকে, সমাজতন্ত্র থেকে যদি পিছিয়ে থাকে, তার জন্য তারাই দায়ী। কিন্তু আমি বুঝি না যে, সমাজতান্ত্রিক দলের লোকেরা তাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলে? আমি মনে করি, আজ এ দেশের গণতন্ত্রের ধারা উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা সেটি রক্ষার্থে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করা উচিত। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, ডা. শহীদুল্লাহসহ ১৪ দলের নেতারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংবিধান বাইপাস করে একটি দলকে নির্বাচনে আনা সম্ভব না: আমু

আপডেট সময় : ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবিধান বাইপাস করে একটি দলকে নির্বাচনে আনা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, দেশে যাই করতে হবে সংবিধান অনুযায়ী করতে হবে। কোনো একটি দলকে আনুকূল্য দিয়ে সংবিধান বাইপাস করে নির্বাচনে আনতে হবে এমনটি সম্ভব নয়। এমন তো না যে, একটি দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন হবে না। যে সেই দলকে বেশি আনুকূল্য দিতে গিয়ে অন্যান্য দল উঠে যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, আজ যারা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, এগুলো কাদের সৃষ্টি? আপনারা খোঁজ নেন। এই যে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে মালিক শ্রেণি, এরা কারা? এরা বিরোধী শক্তি। কিন্তু সরকারের উচিত এদের কঠোরভাবে দমন করা। তিনি বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা, ভোটের নামে হ্যাঁ-না যেদিন শুরু হলো, সেদিন থেকেই ভোট কারচুপি এবং স্লোগান উঠেছিল ‘এক হুন্ডা, দুই গুন্ডা, এক স্টেনগান, ভোট ঠান্ডা’। তখন একটা হুন্ডায় দুজন স্টেনগান নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট হাইজ্যাক করে হ্যাঁ-না ভোট শুরু হয়েছিল। এর কারণ কী? এর কারণ ছিল এটাই- অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল তাদের।
‘তখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেটা অবৈধভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নয়। এটা যদি সাংবিধানিকভাবে হয় তাহলে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ দল তার ছিল না, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। কিন্তু তার এই অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য দল না থাকার পরেও দুই-তৃতীয়াংশ ভোট নিতে ভোটের কারচুপি সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল। সেই থেকে ১৯৯৬ সালে এরশাদের আমলে ১২ দিন ভোটের ফলাফল আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। এই হচ্ছে এ দেশের ভোটের ইতিহাস। দেশে ভোট ব্যবস্থা উন্নতি করার জন্য যা ব্যবস্থা হয়েছে এসব শেখ হাসিনা করেছেন।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলছেন, ভোট ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে না গিয়ে বাইরে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাদের চেহারাগুলো আয়নায় দেখেই বলতে পারছেন। যারা ১২দিন ভোট কারচুপি করে হাইজ্যাক করেছিল, তারাই আজকে বড় বড় কথা বলে। যারা আজকে গুম হত্যার কথা বলে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামাত জোট যে নারকীয় হত্যাকা- এবং নারী নির্যাতন করেছিল, সেটা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ ছিল না, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের যারা প্রগতিশীল, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সবাইকে এক কথা বলতে হবে, আমি বলছি না যে, সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষে বলতে, কিন্তু এমন কিছু বলা উচিত না যেন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আরও শক্তি জোগাতে পারে। এ দেশ যদি পিছিয়ে থাকে, সমাজতন্ত্র থেকে যদি পিছিয়ে থাকে, তার জন্য তারাই দায়ী। কিন্তু আমি বুঝি না যে, সমাজতান্ত্রিক দলের লোকেরা তাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলে? আমি মনে করি, আজ এ দেশের গণতন্ত্রের ধারা উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা সেটি রক্ষার্থে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করা উচিত। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, ডা. শহীদুল্লাহসহ ১৪ দলের নেতারা।