ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংখ্যালঘুদের পালানোর তথ্য সঠিক নয়: দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন

  • আপডেট সময় : ০৯:০২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপতথ্য ছড়ানোর মধ্যে দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু একেবারে ভিন্ন খবর দিচ্ছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তথা বিএসএফ ও সরকারি তথ্যের বরাতে পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারত পালানোর তথ্য সঠিক নয়।
‘নো মার্কড ইনক্রিজ ইন ইন্টারসেপশন অব আনডকুমেন্টেড বাংলাদেশিজ অ্যালং বর্ডার আফটার রেজিম চেইঞ্জ, ডেটা শোজ’ শিরোনামে দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। গত রোববার (১ ডিসেম্বর) পত্রিকাটির ডিজিটাল ভার্সনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দ্য হিন্দু বলছে, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পরবর্তী সময়ে ভারতে প্রবেশ বা ত্যাগ করার সময় আটকে পড়া অনিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে দলে দলে সংখ্যালঘুরা ভারতে ঢোকার তথ্য সঠিক নয়। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যু ঘিরে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করছে ভারতীয় মিডিয়া। তবে সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণের মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে বাজেভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশে অনিরাপদ সংখ্যালঘুরা দলে দলে ভারতে ঢুকছে। দ্য হিন্দু বিএসএফের তথ্যের বরাতে ‘সংখ্যালঘুদের দলে দলে ভারতে ঢোকার তথ্য সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে। পত্রিকাটি বলছে, সীমান্ত পরিস্থিতি ৫ আগস্টের আগে যেমন ছিল, ক্ষমতার পালাবদলের পরও তেমন আছে। বিগত ছয় বছরের সরকারি তথ্যের বরাতে দ্য হিন্দু বলেছে, বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারতে প্রবেশ বা ত্যাগ করার সময় আটকে পড়া অনিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি। বিএসএফের তথ্যের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ এক হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে গত জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত আটক হয়েছিল এক হাজার ১৪৪ জন। অর্থাৎ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় দলে দলে সংখ্যালঘুদের সীমান্তে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব মিলে চলতি বছর অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিন হাজার ৯০৭ জনকে বিএসএফ আটক করে, যাদের মধ্যে দুদেশের নাগরিকই রয়েছেন। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৩ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। আর ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো নথি ছাড়াই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে ৩৮৮ ভারতীয়। অন্যদিকে ২০২৩ সালে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় মোট পাঁচ হাজার ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিন হাজার ১৩৭ জন বাংলাদেশি আর ভারতীয় ১ হাজার ৯৫৮ জন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সংখ্যালঘুদের পালানোর তথ্য সঠিক নয়: দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন

আপডেট সময় : ০৯:০২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপতথ্য ছড়ানোর মধ্যে দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু একেবারে ভিন্ন খবর দিচ্ছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তথা বিএসএফ ও সরকারি তথ্যের বরাতে পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারত পালানোর তথ্য সঠিক নয়।
‘নো মার্কড ইনক্রিজ ইন ইন্টারসেপশন অব আনডকুমেন্টেড বাংলাদেশিজ অ্যালং বর্ডার আফটার রেজিম চেইঞ্জ, ডেটা শোজ’ শিরোনামে দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। গত রোববার (১ ডিসেম্বর) পত্রিকাটির ডিজিটাল ভার্সনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দ্য হিন্দু বলছে, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পরবর্তী সময়ে ভারতে প্রবেশ বা ত্যাগ করার সময় আটকে পড়া অনিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে দলে দলে সংখ্যালঘুরা ভারতে ঢোকার তথ্য সঠিক নয়। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যু ঘিরে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করছে ভারতীয় মিডিয়া। তবে সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণের মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে বাজেভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশে অনিরাপদ সংখ্যালঘুরা দলে দলে ভারতে ঢুকছে। দ্য হিন্দু বিএসএফের তথ্যের বরাতে ‘সংখ্যালঘুদের দলে দলে ভারতে ঢোকার তথ্য সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে। পত্রিকাটি বলছে, সীমান্ত পরিস্থিতি ৫ আগস্টের আগে যেমন ছিল, ক্ষমতার পালাবদলের পরও তেমন আছে। বিগত ছয় বছরের সরকারি তথ্যের বরাতে দ্য হিন্দু বলেছে, বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারতে প্রবেশ বা ত্যাগ করার সময় আটকে পড়া অনিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি। বিএসএফের তথ্যের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ এক হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে গত জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত আটক হয়েছিল এক হাজার ১৪৪ জন। অর্থাৎ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় দলে দলে সংখ্যালঘুদের সীমান্তে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব মিলে চলতি বছর অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিন হাজার ৯০৭ জনকে বিএসএফ আটক করে, যাদের মধ্যে দুদেশের নাগরিকই রয়েছেন। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৩ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। আর ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো নথি ছাড়াই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে ৩৮৮ ভারতীয়। অন্যদিকে ২০২৩ সালে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় মোট পাঁচ হাজার ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিন হাজার ১৩৭ জন বাংলাদেশি আর ভারতীয় ১ হাজার ৯৫৮ জন।