নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) বসেন সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনের পঞ্চম তলায়, একজন উপ-পরিচালক (ডিডি) বসেন একই ভবনের নিচতলায়। আর ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা বসেন ৬ নম্বর ভবনের ২১ তলায়। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পেরুলেও এখনো স্থায়ী ঠিকানা মেলেনি ফাউন্ডেশনের।
স্থায়ী কার্যালয়ই শুধু নয়, ফাউন্ডেশনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা (মহাপরিচালক এবং উপ-পরিচালক) রয়েছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে। জনবল ১৮ জন থাকার কথা থাকলেও আছে ১২ জন। যারা আছেন তারাও বেশিরভাগ সময় ঠিকঠাক অফিস করেন না। ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়েও কোনো অফিস হয়নি এখনো। এছাড়া লাভে থাকা বেশিরভাগ কোম্পানি লভ্যাংশ দিচ্ছে না ফাউন্ডেশনের তহবিলে। যারা দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ারও উদ্যোগ নেই।
একটি সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই নানা সমস্যা-সংকটে জর্জরিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন। এর ফলে বিপুল সংখ্যক অসহায় শ্রমিকের কল্যাণে প্রতিষ্ঠানটি যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করেন শ্রমিক নেতারা।
২০০৬ সালে ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬’ প্রণয়নের পর ওই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর ঘোষণা করে সরকার। ২০১৩ সালে আইনে সংশোধন আনা হয়। ২০১০ সালে আইনটির বিধিমালা করার পাঁচ বছর পর ২০১৫ সালে এ বিধিমালা সংশোধন হয়। দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে এ আইনের অধীনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
আইন অনুযায়ী, কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনাজনিত কারণে দৈহিক ও মানসিকভাবে স্থায়ী অক্ষম হলে, একই কারণে মারা গেলে, মৃতদেহের পরিবহন ও সৎকার, দুরারোগ্য চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মহিলা শ্রমিকের মাতৃত্ব কল্যাণ, বিশেষ দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ আর্থিক প্রণোদনা, শ্রমিকদের জীবন বিমার জন্য যৌথ বিমা ব্যবস্থার প্রবর্তন করাসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অনুদান ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে দেওয়া হয়।
স্থায়ী অফিস না থাকায় ২০১৭ সালের মাঝামাঝির দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভবনের পেছনে টিনশেডে বসতেন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টিসশেড ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু হলে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ২১ তলার একটি অংশে স্থান হয় ফাউন্ডেশনের। তখন স্বল্প জায়গায় গাদাগাদি করে বসতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। জায়গা ছিল না আবেদন রাখারও।
প্রতিষ্ঠার পর ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক পদে ১০ জন দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন অস্থায়ী ভিত্তিতে। ফাউন্ডেশনের বর্তমান দুই শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে। বর্তমান মহাপরিচালক জেবুন্নেসা করিমের মূল পদ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব।
অন্যদিকে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আহমেদ আলীর মূল পদ মন্ত্রণালয়ের আদালত অধিশাখার উপসচিব। মূল কাজের বাইরে তারা ফাউন্ডেশনে সেভাবে সময় দিতে পারেন না বলে জানা গেছে।
ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, অর্গানোগ্রাম (জনবল কাঠামোর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ) অনুযায়ী ১৮ জন জনবল থাকার কথা। রয়েছে মাত্র ১২ জন। এরমধ্যে দুজন অতিরিক্ত দায়িত্বে। যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন, তারাও নিয়মিত অফিস করেন না। অনুপস্থিতির জন্য সম্প্রতি কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের শাখা কার্যালয় স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম শ্রম পরিদপ্তর, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এতদিনেও মাঠ পর্যায়ে ফাউন্ডেশনের অফিস করার কোনো উদ্যোগ নেই।
বিভিন্ন খাতের শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, ফাউন্ডেশনের অফিস সচিবালয়ের ভেতরে হওয়ায় শ্রমিকরা এখানে অনায়াসে আসতে পারেন না। প্রচার-প্রচারণা না থাকায় বেশিরভাগ শ্রমিক ফাউন্ডেশন সম্পর্কে জানেনই না।
শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় বলে অনেক সময় আবেদনের হদিস থাকে না। সহায়তা পেতে এ আবেদন প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। আবেদন করার পর এর পেছনে লেগে না থাকলে বা তদবির না করলে সহজে সহায়তা পাওয়া যায় না, এমন তথ্য দিচ্ছেন শ্রমিক নেতারা। তদবির করতে না পারা শ্রমিকদের ২০১৬ সালের আবেদন এখনো ফাইলবন্দি পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সহায়তার জন্য নেতা ও কর্মকর্তাদের সুপারিশ থাকে। এজন্য সুপারিশের আবেদনগুলোর আগে সাড়া আসে, আর যাদের তদবির করার কেউ নেই, তাদের আবেদনগুলো দিনের পর দিন পড়েই থাকে। ২০১৬ সালে করা এমন অনেক আবেদন এখনো পড়ে আছে। কারণ সেসব আবেদনকারীর পক্ষে কোনো সুপারিশ নেই।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফাউন্ডেশনের কাজ টাকা-পয়সা নিয়ে। এতে ঝামেলাও আছে। নগদ টাকা-পয়সার বিষয় থাকায় নানা ধরনের উপদ্রপ রয়েছে। সে ঝামেলা কেউ নিতে চায় না। এখানে অফিস নেই, বসার জায়গা নেই, ফলে কেউ এখানে আসতে-থাকতে উৎসাহিত হয় না। যারাই আসেন, শেষ পর্যন্ত থাকেন না- এটি ফাউন্ডেশনের বড় এক সমস্যা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল হচ্ছে শিল্পপতিদের লভ্যাংশের টাকা। এটা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হবে। কিন্তু এটির কার্যালয় যদি সচিবালয়ের ভেতরে থাকে, তাহলে শ্রমিকরা কীভাবে নিজেদের ডকুমেন্ট জমা দেয়ার জন্য সেখানে যাবে। সহায়তা পেতে প্রথম বাধাই হচ্ছে এটা। জেলা পর্যায়ে কাগজটা (আবেদনপত্র) জমা দেয়ার পর, জেলা ঘুরে সে কাগজ ফাউন্ডেশনের হাতে আসতে আসতে হারিয়ে যায়। আমরা বারবার বলে আসছি, কার্যালয়টা যেন শ্রম ভবনে নিয়ে আসা হয়, যেন ওপেন (উন্মুক্ত) জায়গায় আনা হয়।
তিনি বলেন, সহায়তার জন্য আবেদনের যে ফরম, সেটিও অনেক জটিল। সেখানে নানা ধরনের ডকুমেন্ট দিতে হয়, এ কারণে অনেক সময় শ্রমিকরা এত ঝামেলা সয়ে আবেদন করতেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এজন্য আমরা ফাউন্ডেশনকে বলছি, শ্রমিকদের পরিচয়পত্র করে দিতে। আইডি কার্ড থাকলে সহজেই যেকোনো শ্রমিককে শনাক্ত করা যাবে। তখন আবেদন ফরম পূরণের এসব জটিলতাও নিরসন হবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও শ্রমিকদের সে ধরনের কোনো আইডি কার্ড দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশেন তহবিল থেকে সহায়তা নেওয়া খুবই ঝামেলার কাজ। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর লেগে থাকতে হয়, না হলে তা বছরের পর বছর পড়ে থাকে। এটার অফিস সচিবালয়ের ভেতরে হওয়ায় শ্রমিকরা নিজেদের কথাগুলো নিয়ে যখন-তখন সেখানে যেতে পারেন না। আর কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মিটিংও সহজে হয় না। এতে সহযোগিতা পেতে অনেক দেরি হয়। এখন নামেমাত্র কিছু শ্রমিক সহায়তা পায়, বেশিরভাগ অসহায় শ্রমিকই সহায়তা-বঞ্চিত। তিনি বলেন, আমরা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে মোটেই তৃপ্ত নই। সংস্থাটি যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। আমরা বলে আসছি, অফিসটা সচিবালয়ের বাইরে দেয়া হোক। এতে শ্রমিকরা সহজেই সেখানে গিয়ে আবেদনটা করতে পারবে এবং যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে সেখানে যেতে পারবে। কিন্তু সচিবালয়ের ভেতরে একজন শ্রমিক চাইলেই যেকোনো সময় যেতে পারেন না। এ জটিলতার আশু সমাধান দরকার।
তহবিলে লভ্যাংশ না দিলেও ব্যবস্থা নেই : শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে সাধারণত শিল্প মালিকরাই শ্রমিক-স্বার্থে লভ্যাংশের অর্থ জমা রাখে। ২০০৮ সালে এ তহবিল গঠন করা হলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ দিচ্ছে না। দেশে হাজার হাজার লাভজনক শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকলেও এ পর্যন্ত মাত্র ২১০টি প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশনের তহবিলে লভ্যাংশ জমা দিয়েছে। যারা আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ নেই বলেও জানা গেছে।
আইন অনুযায়ী, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের এক বছরের লভ্যাংশের শূন্য দশমিক পাঁচ (আধা) শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। এক বছরের লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশের মধ্যে চার শতাংশ অর্থ নিজ কোম্পানির শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করতে হয়। এক শতাংশের অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে, বাকি অর্ধেক (শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ) শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণে ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা দিতে হয়। তবে পোশাক কারখানাগুলোকে এ তহবিলের বাইরে রাখা হয়েছে। শ্রম আইনের অধীনে করা বিধিমালায় পোশাক কারখানাগুলোর জন্য রাখা হয়েছে পৃথক আলাদা বিধান।
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইনে অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত লভ্যাংশ তহবিলে জমা দিতে হয়। কোনো কোম্পানির অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল পরিচালনায় গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড এ সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ জমা দিতে ব্যর্থ হলে, তার বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ড যদি অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হতে থাকে, তবে ব্যর্থতার প্রথম তারিখ হতে প্রত্যেক দিনের জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ২০০১ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ৮১৮টি। গত ১৬ বছরে এ সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই আরও বেড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা করিমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কিছু জানার থাকলে মন্ত্রণালয়ের পিআরওর (জনসংযোগ কর্মকর্তা) সঙ্গে কথা বলেন। আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে ফাউন্ডেশনে আছি, আমার তো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও আছে। আমি কথা বলতে পারবো না।
ফাউন্ডেশনের নানা সমস্যার বিষয়ে কথা হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে। ফাউন্ডেশনের স্থায়ী অফিস নেই, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেন- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তারা যে যেখানেই বসুক, অফিস তো সচিবালয়ের ভেতরেই।
ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও উপ-পরিচালক ‘অতিরিক্ত হিসেবে’ দায়িত্ব পালন করছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, আমরা স্থায়ী মহাপরিচালক ও উপ-পরিচালক নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত দিয়েছি। অনেক আগে এ আবেদন করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কার্যালয় সচিবালয়ের বাইরে থাকলে এবং মাঠ পর্যায়ে ফাউন্ডেশনের কার্যালয় থাকলে শ্রমিকেরা তাদের যেকোনো আবেদন সহজে করতে পারবেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটা আপনি ভালো জানেন, আমি জানি না। সরকারের যতটুকু সাধ্য আছে, সেটুকু দিয়ে শ্রমিকদের জন্য কাজ করছে। আপাতত এভাবেই চলবে।
লাভে থাকা অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশনের তহবিলে লভ্যাংশ দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেই- বিষয়টি নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাকা দিক আর না দিক, আমাদের যে টাকা আছে আল্লাহর রহমতে, এ পর্যন্ত যত টাকা শ্রমিকদের সহায়তা দিয়ে আসছি…আমরা তো লভ্যাংশের টাকাই শেষ করতে পারি না। লভ্যাংশ দেওয়ার তাগিদ দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত মালিকদের চিঠি দিচ্ছি। অনেকের কাছে আমরা আয়কর রিটার্নও দেখতে চেয়েছি। আমাদের এখানে নামেমাত্র দিচ্ছে কি না, সেটাও দেখছি। আমরা বলেছি, যারা চেক দিতে আসবেন, আয়কর রিটার্ন নিয়ে আসবেন।
সংকটে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ