ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

সংকটে ঢালিউড : ৮ মাসে মুক্তি পেয়েছে মাত্র ৮টি সিনেমা

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তন হয় ১৮৯৮ সালে। বাংলাদেশে আবদুল জব্বার খান ‘মুখ ও মুখোশ’ দিয়ে ১৯৫৫ সালে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু করেন। তবে এ দেশে চলচ্চিত্রের বিপ্লব ঘটে ষাটের দশকে। ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত সময়কে বলা হয় চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ।
এরপর সিনেমাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখানে ক্রমশই পতনের সুর বেজেছে। একে একে বন্ধ হয়েছে সিনেমা হল। কমেছে সিনেমার সংখ্যা ও মান। এর কারণ অনেক।
নানা সংকটের মুখে ঢালিউড আজ মৃতপ্রায়। জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় প্রাণ যেটুকু আছে সেটা বলা চলে অতীত সাফল্য আর সোনালি ইতিহাসের ঝলক। অনেক সুপারস্টারের মৃত্যু, সিনেমা থেকে সরে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে শিল্পী ও ইমেজ সংকট। অনেক গুণী নির্মাতারও শূন্যতা নেমে এসেছে এখানে। পেশাদার প্রযোজকের অভাব তো স্পষ্ট।
সিনেমা হল নিয়ে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাও দায়ী সিনেমা শিল্পের এই ধসের জন্য। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সমিতিগুলো উদাসীনতাও কম দায়ী নয়। এসব সংকট নিয়েও নতুন শতাব্দীতে ডিজিটাল স্পর্শে খানিকটা জেড়ে ওঠার চেষ্টা করছিল ঢালিউড। সেখানে ‘দানব’ হয়ে দেখা দিলো প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা।
২০২০ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়। তখন থেকেই চরম আকারে ভোগান্তিতে পড়ে গেল ঢাকাই সিনেমা। কয়েক দফায় লকডাউনে বন্ধ থেকে সিনেমা হল। বন্ধ থেকেছে শুটিং, ডাবিং, এডিটিং। এসব কারণে প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক সিনেমা শিল্পে। কমে গেছে সিনেমার নির্মাণ ও মুক্তি।
সর্বশেষ লকডাউন ১১ আগস্ট তুলে দেয়ার পর সিনেমা হল চালু হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে দর্শক যাচ্ছেন না। আর দর্শক খরার ভয়ে মুক্তি পাচ্ছে না নতুন কোনো সিনেমা। তাই মাথায় হাত হল মালিকদের। সিনেমার অভাবে হতাশা ঝেঁকে ধরেছে সিনেমার শিল্পী-কলাকুশলীদেরও। বিশেষ করে যারা দিনে এনে দিনে খান সেসব চলচ্চিত্রকর্মীরা রয়েছেন জীবন-জীবীকা নিয়ে চরম সংকটে।
গেল বছরে করোনা আবির্ভাব হলেও কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে সংখ্যাটা তারও কম। বছরের অষ্টম মাস চলছে। অথচ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ৮টি সিনেমার বেশি নাম পাওয়া গেল না মুক্তির তালিকায়।
এ বছরে মুক্তি পেয়েছে অনন্য মামুনের ‘কসাই’, রায়হান রাফির ‘জানোয়ার’, শিহাব শাহীনের ‘যদি কিন্তু তবুও’, হাবিবুর রহমানের ‘আলাতচক্র’, তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’, সেলিম খানের ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’, কামার আহমাদ সাইমনের ‘নীল মুকুট’, এফ আই মানিক পরিচালিত ‘সৌভাগ্য’।
এদিকে মুক্তির জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘হাওয়া’, ‘জিন’, ‘পরাণ’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘দিন : দ্য ডে’, ‘পাপ-পূণ্য’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংকটে ঢালিউড : ৮ মাসে মুক্তি পেয়েছে মাত্র ৮টি সিনেমা

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১

বিনোদন প্রতিবেদক : উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তন হয় ১৮৯৮ সালে। বাংলাদেশে আবদুল জব্বার খান ‘মুখ ও মুখোশ’ দিয়ে ১৯৫৫ সালে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু করেন। তবে এ দেশে চলচ্চিত্রের বিপ্লব ঘটে ষাটের দশকে। ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত সময়কে বলা হয় চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ।
এরপর সিনেমাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখানে ক্রমশই পতনের সুর বেজেছে। একে একে বন্ধ হয়েছে সিনেমা হল। কমেছে সিনেমার সংখ্যা ও মান। এর কারণ অনেক।
নানা সংকটের মুখে ঢালিউড আজ মৃতপ্রায়। জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় প্রাণ যেটুকু আছে সেটা বলা চলে অতীত সাফল্য আর সোনালি ইতিহাসের ঝলক। অনেক সুপারস্টারের মৃত্যু, সিনেমা থেকে সরে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে শিল্পী ও ইমেজ সংকট। অনেক গুণী নির্মাতারও শূন্যতা নেমে এসেছে এখানে। পেশাদার প্রযোজকের অভাব তো স্পষ্ট।
সিনেমা হল নিয়ে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাও দায়ী সিনেমা শিল্পের এই ধসের জন্য। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সমিতিগুলো উদাসীনতাও কম দায়ী নয়। এসব সংকট নিয়েও নতুন শতাব্দীতে ডিজিটাল স্পর্শে খানিকটা জেড়ে ওঠার চেষ্টা করছিল ঢালিউড। সেখানে ‘দানব’ হয়ে দেখা দিলো প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা।
২০২০ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়। তখন থেকেই চরম আকারে ভোগান্তিতে পড়ে গেল ঢাকাই সিনেমা। কয়েক দফায় লকডাউনে বন্ধ থেকে সিনেমা হল। বন্ধ থেকেছে শুটিং, ডাবিং, এডিটিং। এসব কারণে প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক সিনেমা শিল্পে। কমে গেছে সিনেমার নির্মাণ ও মুক্তি।
সর্বশেষ লকডাউন ১১ আগস্ট তুলে দেয়ার পর সিনেমা হল চালু হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে দর্শক যাচ্ছেন না। আর দর্শক খরার ভয়ে মুক্তি পাচ্ছে না নতুন কোনো সিনেমা। তাই মাথায় হাত হল মালিকদের। সিনেমার অভাবে হতাশা ঝেঁকে ধরেছে সিনেমার শিল্পী-কলাকুশলীদেরও। বিশেষ করে যারা দিনে এনে দিনে খান সেসব চলচ্চিত্রকর্মীরা রয়েছেন জীবন-জীবীকা নিয়ে চরম সংকটে।
গেল বছরে করোনা আবির্ভাব হলেও কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে সংখ্যাটা তারও কম। বছরের অষ্টম মাস চলছে। অথচ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ৮টি সিনেমার বেশি নাম পাওয়া গেল না মুক্তির তালিকায়।
এ বছরে মুক্তি পেয়েছে অনন্য মামুনের ‘কসাই’, রায়হান রাফির ‘জানোয়ার’, শিহাব শাহীনের ‘যদি কিন্তু তবুও’, হাবিবুর রহমানের ‘আলাতচক্র’, তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’, সেলিম খানের ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’, কামার আহমাদ সাইমনের ‘নীল মুকুট’, এফ আই মানিক পরিচালিত ‘সৌভাগ্য’।
এদিকে মুক্তির জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘হাওয়া’, ‘জিন’, ‘পরাণ’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘দিন : দ্য ডে’, ‘পাপ-পূণ্য’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমা।