ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ষাটের পরে জীবন-যাপনে যেসব পরিবর্তন আনা উচিত

  • আপডেট সময় : ০৯:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীর চর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম ও সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চললে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘দি মেজোথিলিওমা সেন্টার’য়ের সেবিকা, পুষ্টিবিদশন মার্কেইজি ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে সূক্ষ্ম উপায়ে পরিবর্তিত হয়। ৬০ বছর বয়সের পরে, ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের ইঙ্গিত দেয় এমন লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। হজম বা বিপাকের পরিবর্তনগুলো অন্ত্র বা পেটে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।”
অঙ্গ, এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা কমা, আলৎঝাইমার’স’য়ের মতো অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণ যা চিকিৎসা ছাড়া ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। অন্যান্য সংকেতগুলির মধ্যে রয়েছে- শ্রবণশক্তি বা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, ওজনে পরিবর্তন, দুর্বল ক্ষত নিরাময় এবং ঘুমের মান কমা।
“এই সমস্যাগুলো কখনই বার্ধক্যের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত না। বরং এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত”, বলেন মার্কেইজি।
বার্ধক্যেরসঙ্গে বিষণ্নতা স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া যাবে না : মার্কেইজি বিভিন্ন গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, “যে সুখের গতি ইংরেজি অক্ষর ইউ’য়ে মতো, মধ্য বয়সে তা ডুবে যায় এবং বয়স ৫০য়ের কাছাকাছি এলে তা আবার বাড়ে।”
যাদের বয়স ত্রিশ তাদের তুলনায় ৬০-এর কাছাকাছি থাকা প্রায়৩৩ শতাংশ মানুষ ‘খুবই সুখী’ থাকেন বলে জানা যায়। বার্ধক্যে উদ্বেগ বা হতাশা দেখা দিলে তাকে অবহেলা না করেচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত বলে মনে করেন মার্কেইজি।
শরীরচর্চা বাদ দেওয়া যাবে না : বয়স ষাটের পরে শরীরে নানান ব্যথা, পেশি ও সংযোগস্থলে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দেয়। ফলে বাড়ে শরীরচর্চায় অনীহা বাড়ে। তবুও কিছু শরীরচর্চা এই সময় হৃদরোগ, বিপাক ও জ্ঞানীয় দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। হাঁটাহাঁটি, পাঁচ থেকে দশ পাউন্ডের মতো ওজন তোলা ইত্যাদি নিয়মিত করলে সুস্থ থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’সুপারিশ করে যে, বয়স ৬৫ বা তার বেশি হলে সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটা, মাঝারি তীব্রতারব্যায়াম, বা ৭৫ মিনিট জোরালো প্রশিক্ষণ করা উপকারী। দ্রুত হাঁটা, ওজন তোলা, সাইকেল চালানো, যোগ ব্যায়াম মাঝারি তীব্রতার, হাইকিং জগিং, দৌড়ানো জোরালো ক্রিয়াকলাপের অন্তর্গত।
নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ষাটের পরে সুস্থ থাকা যায়। ব্যায়াম নিয়ে কোনো দ্বিধা থাকলে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা উপকারী।
ত্বকের পরিবর্তনকে অবহেলা করা যাবে না : মার্কেইজি’র মতে, “বয়স ষাট পেরুনোর পর থেকেই ত্বকে নানা সমস্যা, সংক্রমণ, ক্ষয়, ত্বকের ক্যানসার ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের এপিডার্মিস ও ডার্মিস স্তর পাতলা হতে থাকে এবং সুরক্ষার স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সঠিক পরিচর্যা করা না হলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
ঘুম বাদ দেওয়া যাবে না : মার্কেইজি মনে করিয়ে দেন যে, “ঘুম শিশু ও কিশোরদের মতো বয়স্কদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক কমপক্ষে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। বয়স্কদের ঘুম সৃষ্টিকারী হরমোন মেলাটোনিন কম উৎপাদিত হয় তাই দিনে ছোট ঘুম ‘ন্যাপ’বাদ দেওয়া উচিত। এতে রাতে ঘুমে ব্যাঘাত হবে না। ঘুম বা বিশ্রামে ত্রুটি দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন।”
টিকা নিতে ভুলবেন না : “বয়স ষাটের পরে ‘টি’ কোষের উৎপাদন ধীর হতে থাকে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। বয়স্কদের সংক্রমণ যেমন- ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া দেখা দেয় এবং তা সেরে উঠতে সময় বেশি লাগে। মার্কেইজি পরামর্শ দেন, “বিশেষভাবে তৈরি করা টিকা বয়স্কদের এমন রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তাই বয়স্কদের প্রয়োজনীয় টিকা নিতে ভুললে চলবে না।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ষাটের পরে জীবন-যাপনে যেসব পরিবর্তন আনা উচিত

আপডেট সময় : ০৯:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীর চর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম ও সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চললে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘দি মেজোথিলিওমা সেন্টার’য়ের সেবিকা, পুষ্টিবিদশন মার্কেইজি ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে সূক্ষ্ম উপায়ে পরিবর্তিত হয়। ৬০ বছর বয়সের পরে, ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের ইঙ্গিত দেয় এমন লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। হজম বা বিপাকের পরিবর্তনগুলো অন্ত্র বা পেটে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।”
অঙ্গ, এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা কমা, আলৎঝাইমার’স’য়ের মতো অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণ যা চিকিৎসা ছাড়া ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। অন্যান্য সংকেতগুলির মধ্যে রয়েছে- শ্রবণশক্তি বা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, ওজনে পরিবর্তন, দুর্বল ক্ষত নিরাময় এবং ঘুমের মান কমা।
“এই সমস্যাগুলো কখনই বার্ধক্যের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত না। বরং এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত”, বলেন মার্কেইজি।
বার্ধক্যেরসঙ্গে বিষণ্নতা স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া যাবে না : মার্কেইজি বিভিন্ন গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, “যে সুখের গতি ইংরেজি অক্ষর ইউ’য়ে মতো, মধ্য বয়সে তা ডুবে যায় এবং বয়স ৫০য়ের কাছাকাছি এলে তা আবার বাড়ে।”
যাদের বয়স ত্রিশ তাদের তুলনায় ৬০-এর কাছাকাছি থাকা প্রায়৩৩ শতাংশ মানুষ ‘খুবই সুখী’ থাকেন বলে জানা যায়। বার্ধক্যে উদ্বেগ বা হতাশা দেখা দিলে তাকে অবহেলা না করেচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত বলে মনে করেন মার্কেইজি।
শরীরচর্চা বাদ দেওয়া যাবে না : বয়স ষাটের পরে শরীরে নানান ব্যথা, পেশি ও সংযোগস্থলে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দেয়। ফলে বাড়ে শরীরচর্চায় অনীহা বাড়ে। তবুও কিছু শরীরচর্চা এই সময় হৃদরোগ, বিপাক ও জ্ঞানীয় দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। হাঁটাহাঁটি, পাঁচ থেকে দশ পাউন্ডের মতো ওজন তোলা ইত্যাদি নিয়মিত করলে সুস্থ থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’সুপারিশ করে যে, বয়স ৬৫ বা তার বেশি হলে সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটা, মাঝারি তীব্রতারব্যায়াম, বা ৭৫ মিনিট জোরালো প্রশিক্ষণ করা উপকারী। দ্রুত হাঁটা, ওজন তোলা, সাইকেল চালানো, যোগ ব্যায়াম মাঝারি তীব্রতার, হাইকিং জগিং, দৌড়ানো জোরালো ক্রিয়াকলাপের অন্তর্গত।
নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ষাটের পরে সুস্থ থাকা যায়। ব্যায়াম নিয়ে কোনো দ্বিধা থাকলে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা উপকারী।
ত্বকের পরিবর্তনকে অবহেলা করা যাবে না : মার্কেইজি’র মতে, “বয়স ষাট পেরুনোর পর থেকেই ত্বকে নানা সমস্যা, সংক্রমণ, ক্ষয়, ত্বকের ক্যানসার ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের এপিডার্মিস ও ডার্মিস স্তর পাতলা হতে থাকে এবং সুরক্ষার স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সঠিক পরিচর্যা করা না হলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
ঘুম বাদ দেওয়া যাবে না : মার্কেইজি মনে করিয়ে দেন যে, “ঘুম শিশু ও কিশোরদের মতো বয়স্কদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক কমপক্ষে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। বয়স্কদের ঘুম সৃষ্টিকারী হরমোন মেলাটোনিন কম উৎপাদিত হয় তাই দিনে ছোট ঘুম ‘ন্যাপ’বাদ দেওয়া উচিত। এতে রাতে ঘুমে ব্যাঘাত হবে না। ঘুম বা বিশ্রামে ত্রুটি দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন।”
টিকা নিতে ভুলবেন না : “বয়স ষাটের পরে ‘টি’ কোষের উৎপাদন ধীর হতে থাকে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। বয়স্কদের সংক্রমণ যেমন- ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া দেখা দেয় এবং তা সেরে উঠতে সময় বেশি লাগে। মার্কেইজি পরামর্শ দেন, “বিশেষভাবে তৈরি করা টিকা বয়স্কদের এমন রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তাই বয়স্কদের প্রয়োজনীয় টিকা নিতে ভুললে চলবে না।”