নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন বছর আগে ঢাকার শাহ আলী থানা এলাকা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের দায়ে এক কিশোরকে ১০ বছর সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন গতকাল মঙ্গলবার ওই কিশোরের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। দ-িত কিশোরের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রেজাউল করিম জানান, সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাবাসের পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হলে পরের বছরের ৪ জানুয়ারি শাহ আলী থানায় মামলা করেন তার বাবা। যে কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বয়স তখন ১৫ বছর ছিল বলে আদালতের পেশকার মোকলেচুর রহমান জানান। মামলার এজাহারে বলা হয়, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে মেয়েটিকে বিরক্ত করত সেই কিশোর। মেয়েটি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আসামি তাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। মেয়েটি তখন তার পরিবারকে জানায়। পরে তা কিশোরের মাকে অবহিত করা হলেও তারা বিষয়টি আমলে নেননি। অপহরণের দিন মেয়েটির মা পোশাক কারখানায় ছিলেন। সেদিন সন্ধ্যায় তার বাবা নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে ওই কিশোর তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ৩০ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয়। পরে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয় সেই কিশোরের। আসামির বয়ম ১৫ বছর হলে এ মামলার বিচার কেন শিশু আদালতে হল না জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তখন তার বয়স ১৫ হলেও এখন তো সে আর শিশু নেই।”
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণের দায়ে কিশোরের ১০ বছর সাজা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ