ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন ইউএনও

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

শেরপুর সংবাদদাতা: শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দাবি আদায়ের আন্দোলনে যখন শিক্ষকরা, তখন বাইরে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা। এমন সময় বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন ইউএনও। এসময় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরন নবী উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, শেরপুর জেলার ৭৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বুধবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবারও এই কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

এছাড়া ১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করা, শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বকেয়া আদায় এবং আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের অগ্রিম বেতন সুবিধা বহাল রাখা। বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে দাবি আদায়ের নামে শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও।

শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় শিশুরা মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে। শিক্ষকরা এতদিন দাবি জানানোর সময় পাননি। আমাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি করে কিসের আন্দোলন? সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের এই আন্দোলন।

আরেক অভিবাবক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিশুদের জিম্মি করে শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারকে কঠোর হতে হবে, বাচ্চাদের ক্ষতি হবে, আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো তা হয় না। এসব শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষকদের অবিলম্বে পরীক্ষায় ফেরার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে কর্মবিরতি বা শাটডাউন অব্যাহত থাকলে সরকারি চাকরি আইন, আচরণবিধি ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।

এসি/আপ্র/০৪/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন ইউএনও

আপডেট সময় : ০২:০৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শেরপুর সংবাদদাতা: শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দাবি আদায়ের আন্দোলনে যখন শিক্ষকরা, তখন বাইরে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা। এমন সময় বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন ইউএনও। এসময় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরন নবী উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, শেরপুর জেলার ৭৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বুধবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবারও এই কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

এছাড়া ১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করা, শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বকেয়া আদায় এবং আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের অগ্রিম বেতন সুবিধা বহাল রাখা। বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে দাবি আদায়ের নামে শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও।

শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় শিশুরা মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে। শিক্ষকরা এতদিন দাবি জানানোর সময় পাননি। আমাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি করে কিসের আন্দোলন? সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের এই আন্দোলন।

আরেক অভিবাবক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিশুদের জিম্মি করে শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারকে কঠোর হতে হবে, বাচ্চাদের ক্ষতি হবে, আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো তা হয় না। এসব শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষকদের অবিলম্বে পরীক্ষায় ফেরার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে কর্মবিরতি বা শাটডাউন অব্যাহত থাকলে সরকারি চাকরি আইন, আচরণবিধি ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।

এসি/আপ্র/০৪/১২/২০২৫