ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ গ্রিডে বানর, দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যুৎ লাইনের তারে একটি বানর। ছবি: দ্য আইরিশ টাইমস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ গ্রিডে এক বানরের অনুপ্রবেশে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে সাড়ে এগারোটার দিকে শুরু হওয়া এই গোলযোগ প্রায় তিন ঘণ্টা পরও পুরো সমাধান হয়নি। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জায়াকোডি সাংবাদিকদের বলেছেন, দক্ষিণ কলম্বোর এক শহরতলির একটি গ্রিডে এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। একটি বানর গ্রিড ট্রান্সফর্মারের সংস্পর্শে এলে পুরো ব্যবস্থাই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।

কিছু স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহ পুনরায় চালু হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কতক্ষণ লাগবে, তা নিশ্চিত নয়। মন্ত্রী বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রকৌশলীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বানরটির অবস্থা নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীলঙ্কা গভীর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০২২ সালের গ্রীষ্মে কয়েক মাসব্যাপী দীর্ঘ বিদ্যুৎ বিভ্রাট সহ্য করেছিল। জ্বালানি সংকটের কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দিনে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে বাধ্য হয়।

২০২২ সালের এপ্রিলে বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সক্ষমতা হারিয়ে দেশটি ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। এই নজিরবিহীন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করতে হয়। তার উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেইল আউট নিশ্চিত করেন।

গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন দিশানায়েকে। তিনি পূর্বসূরির কঠোর ব্যয়সংকোচন নীতি বজায় রাখার ঘোষণা দেন এবং আইএমএফের চার বছরের বেইল আউট প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। তার প্রশাসন গত বছর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঋণ পুনর্গঠনের চুক্তি সম্পন্ন করে। এতে দ্বিপাক্ষিক ও বেসরকারি ঋণদাতাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে দেউলিয়া রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে শ্রীলঙ্কা।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ গ্রিডে বানর, দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ গ্রিডে এক বানরের অনুপ্রবেশে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে সাড়ে এগারোটার দিকে শুরু হওয়া এই গোলযোগ প্রায় তিন ঘণ্টা পরও পুরো সমাধান হয়নি। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জায়াকোডি সাংবাদিকদের বলেছেন, দক্ষিণ কলম্বোর এক শহরতলির একটি গ্রিডে এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। একটি বানর গ্রিড ট্রান্সফর্মারের সংস্পর্শে এলে পুরো ব্যবস্থাই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।

কিছু স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহ পুনরায় চালু হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কতক্ষণ লাগবে, তা নিশ্চিত নয়। মন্ত্রী বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রকৌশলীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বানরটির অবস্থা নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীলঙ্কা গভীর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০২২ সালের গ্রীষ্মে কয়েক মাসব্যাপী দীর্ঘ বিদ্যুৎ বিভ্রাট সহ্য করেছিল। জ্বালানি সংকটের কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দিনে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে বাধ্য হয়।

২০২২ সালের এপ্রিলে বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সক্ষমতা হারিয়ে দেশটি ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। এই নজিরবিহীন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করতে হয়। তার উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেইল আউট নিশ্চিত করেন।

গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন দিশানায়েকে। তিনি পূর্বসূরির কঠোর ব্যয়সংকোচন নীতি বজায় রাখার ঘোষণা দেন এবং আইএমএফের চার বছরের বেইল আউট প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। তার প্রশাসন গত বছর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঋণ পুনর্গঠনের চুক্তি সম্পন্ন করে। এতে দ্বিপাক্ষিক ও বেসরকারি ঋণদাতাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে দেউলিয়া রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে শ্রীলঙ্কা।