ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে

  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : গণবিক্ষোভে টালমাটাল শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক রনিল বিক্রমাসিংহে। বিজয়ী হয়ে প্রথম বক্তব্যে তিনি বলেছেন, সংকটে জর্জর শ্রীলঙ্কার বিভক্তির অবসান হয়েছে। খবর এএফপি ও আল-জাজিরার।
গতকাল বুধবার পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসা বিক্রমাসিংহে। ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে তিনি ১৩৪ ভোট পেয়েছেন। অবশ্য দুই এমপি ভোটাভুটিতে অংশ নেননি
পার্লামেন্টে দেওয়া বিজয়ী ভাষণে বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো বিভক্তি নেই।’ তবে নতুন প্রেসিডেন্ট বিভক্তি অবসানের কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। আল-জাজিরাকে বিক্ষোভকারীদের নেতা মেলানি গুনাথিলাকে বলেছেন, ‘আমরা বর্তমানে আমাদের কৌশল ও পুনরায় সংগঠিত হওয়া নিয়ে আলোচনা করছি। রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত গোতাগোগামায় (বিক্ষোভস্থল) নিশ্চিতভাবে আমাদের সংগ্রাম এবং অবস্থান কর্মসূচি আমরা চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভালো করেই জানি, গোতাবায়া আর রনিল বিক্রমাসিংহে একই লোক নন। তিনি (বিক্রমাসিংহে) আরও ধূর্ত লোক। সম্প্রতি তিনি জরুরি অবস্থা জারি করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তিনি গোতাগোগামায় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি না, এসবে মানুষ আর ভয় পাবে।’
গুনাথিলাকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার এমন নেতা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, যিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের চেয়ে দেশের জনগণের বিষয়ে যতœবান হবেন।’
গত সপ্তাহে গণরোষের মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালালে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেতে হয় লঙ্কান এমপিদের। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষেদের সরকার উৎখাতে রাজপথে নামেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে গদি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা দুই ভাই গোতাবায়া ও মাহিন্দা রাজাপক্ষে। রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে রাজাপক্ষেদের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজাপক্ষেদের দল শ্রীলঙ্কান পদুজানা পেরামুনা তাঁকে সমর্থন দেয়। ফলে নতুন প্রেসিডেন্ট পেলেও দেশটির পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে

আপডেট সময় : ১১:৩০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : গণবিক্ষোভে টালমাটাল শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক রনিল বিক্রমাসিংহে। বিজয়ী হয়ে প্রথম বক্তব্যে তিনি বলেছেন, সংকটে জর্জর শ্রীলঙ্কার বিভক্তির অবসান হয়েছে। খবর এএফপি ও আল-জাজিরার।
গতকাল বুধবার পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসা বিক্রমাসিংহে। ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে তিনি ১৩৪ ভোট পেয়েছেন। অবশ্য দুই এমপি ভোটাভুটিতে অংশ নেননি
পার্লামেন্টে দেওয়া বিজয়ী ভাষণে বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো বিভক্তি নেই।’ তবে নতুন প্রেসিডেন্ট বিভক্তি অবসানের কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। আল-জাজিরাকে বিক্ষোভকারীদের নেতা মেলানি গুনাথিলাকে বলেছেন, ‘আমরা বর্তমানে আমাদের কৌশল ও পুনরায় সংগঠিত হওয়া নিয়ে আলোচনা করছি। রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত গোতাগোগামায় (বিক্ষোভস্থল) নিশ্চিতভাবে আমাদের সংগ্রাম এবং অবস্থান কর্মসূচি আমরা চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভালো করেই জানি, গোতাবায়া আর রনিল বিক্রমাসিংহে একই লোক নন। তিনি (বিক্রমাসিংহে) আরও ধূর্ত লোক। সম্প্রতি তিনি জরুরি অবস্থা জারি করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তিনি গোতাগোগামায় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি না, এসবে মানুষ আর ভয় পাবে।’
গুনাথিলাকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার এমন নেতা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, যিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের চেয়ে দেশের জনগণের বিষয়ে যতœবান হবেন।’
গত সপ্তাহে গণরোষের মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালালে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেতে হয় লঙ্কান এমপিদের। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষেদের সরকার উৎখাতে রাজপথে নামেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে গদি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা দুই ভাই গোতাবায়া ও মাহিন্দা রাজাপক্ষে। রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে রাজাপক্ষেদের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজাপক্ষেদের দল শ্রীলঙ্কান পদুজানা পেরামুনা তাঁকে সমর্থন দেয়। ফলে নতুন প্রেসিডেন্ট পেলেও দেশটির পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে মনে হচ্ছে না।