ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজও ইংল্যান্ডের

  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : চমৎকার বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন স্যাম কারান। মিডল অর্ডারে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা দুই ব্যাটসম্যানকে থামালেন ডেভিড উইলি। তাদের দারুণ বোলিংয়ে মাঝারি লক্ষ্য পাওয়া ইংল্যান্ড জিতল সহজেই। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এক ম্যাচ হাতে রেখে জিতে নিল ওয়ানডে সিরিজও। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে জিতেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। জেসন রয়, জো রুট ও মর্গ্যানের ফিফটিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা পেরিয়ে যায় ৪২ বল বাকি থাকতে। প্রথম ম্যাচ জিতে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে চূড়ায় উঠেছিল ইংল্যান্ড। আরও ১০ পয়েন্ট পেয়ে তারা মজবুত করল শীর্ষস্থান। আরেকটি হারে তলানিতেই থেকে গেল শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের জয়ের মূল কারিগর স্যাম কারান ৪৮ রানে নেন ৫ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার পেলেন এই স্বাদ। ওয়ানডেতে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারে আগের সেরা বোলিং ছিল ৩৫ রানে ৩ উইকেট। তার নতুন বলের সঙ্গী আরেক বাঁহাতি পেসার উইলির প্রাপ্তি ৪টি, ৬৪ রানে। এই সংস্করণে বোলিং ইনিংস শুরু করে বাঁহাতি পেসারদের যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট এটি (৯)। ২০১৯ বিশ্বকাপে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দুই বাঁহাতি পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ ৫টি ও মিচেল স্টার্ক নিয়েছিলেন ৪টি। ২১ রানে ৪ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা আড়াইশর কাছাকাছি যেতে পারে মূলত ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও দাসুন শানাকার ব্যাটে। ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ধনাঞ্জয়া, শানাকা ৩ রানের জন্য পাননি ফিফটি। আর কেউ যেতে পারেনি ত্রিশ পর্যন্ত। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটি উইকেট হারাতে পারত ইনিংসের তৃতীয় বলেই। পাথুম নিসানকাকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি বল ব্যাটে লাগায়।
পরের ওভারে স্যাম কারান চার বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন কুসল পেরেরা ও আভিশকা ফার্নান্দোকে। দুজনই এলবিডব্লিউ। ঊরুর মাংসপেশির চোটে প্রাথমিকভাবে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন আভিশকা। অপ্রত্যাশিতভাবে ফেরেন তিনি। স্যাম কারান আঘাত হানেন তার পরের ওভারেও। দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে বোল্ড করে দেন নিসানকাকে। উইলির শর্ট বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন চারিথ আসালঙ্কা। সাত ওভারের মধ্যে চার ব্যাটসম্যানকে হারানো দলকে পথ দেখান চোট কাটিয়ে ফেরা ধনাঞ্জয়া। প্রথমে ভানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। ৪৯ বলে ২৬ রান করে স্যাম কারানের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরেন হাসারাঙ্গা। এরপর শানাকার সঙ্গে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ (৭৮) জুটির পথে ধনাঞ্জয়া ফিফটি পূরণ করেন ৫৮ বলে। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু উইলির শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন ৯১ রানে। ঠিক ৯১ বলেই ১৩ চারে সাজানো তার ইনিংসটি। দলের স্কোর দুইশ পার করে বিদায় নেন শানাকা। ৬৭ বলে ২ চার ও একটি ছক্কায় করেন ৪৭ রান। এরপর লেজের ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় ২৪১ পর্যন্ত যেতে পারে সফরকারীরা। চামিকা করুনারতেœকে ফিরিয়ে স্যাম কারান পূর্ণ করেন ৫ উইকেট।
রান তাড়ায় রয় ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে দুই ওপেনার তোলেন ৬৫ রান। লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গাকে কাট করার চেষ্টায় বেয়ারস্টো বোল্ড হলে ভাঙে ৭৬ রানের জুটি। ৩৬ বলে ৩ চার ও একটি ছক্কায় তিনি করেন ২৯ রান। ওয়ানডে সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রয় ফিফটি তুলে নেন ৪৭ বলে। এরপর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ধনাঞ্জয়ার দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন ৬০ রানে। তার ৫২ বলের ইনিংস গড়া ১০টি চারে। তৃতীয় উইকেটে ১৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাকি কাজটা সহজেই সারেন মর্গ্যান ও রুট। পরপর দুই ম্যাচেই অপরাজিত ফিফটিতে দলের জয় নিয়ে ফেরেন রুট। প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানের পর এবার করেন ৬৮। ৮৭ বলে ৫ চারে সাজানো তার ইনিংস। প্রথমটিতে দুই অঙ্কে যেতে ব্যর্থ মর্গ্যান এবার ৮৩ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রানে। সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়া শ্রীলঙ্কার সামনে এবার ওয়ানডেতে এই তেতো স্বাদ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। আগামী রোববার ব্রিস্টলে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া অংশীদারিত্ব আরো গভীর করার অঙ্গীকার

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজও ইংল্যান্ডের

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : চমৎকার বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন স্যাম কারান। মিডল অর্ডারে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা দুই ব্যাটসম্যানকে থামালেন ডেভিড উইলি। তাদের দারুণ বোলিংয়ে মাঝারি লক্ষ্য পাওয়া ইংল্যান্ড জিতল সহজেই। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এক ম্যাচ হাতে রেখে জিতে নিল ওয়ানডে সিরিজও। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে জিতেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। জেসন রয়, জো রুট ও মর্গ্যানের ফিফটিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা পেরিয়ে যায় ৪২ বল বাকি থাকতে। প্রথম ম্যাচ জিতে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে চূড়ায় উঠেছিল ইংল্যান্ড। আরও ১০ পয়েন্ট পেয়ে তারা মজবুত করল শীর্ষস্থান। আরেকটি হারে তলানিতেই থেকে গেল শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের জয়ের মূল কারিগর স্যাম কারান ৪৮ রানে নেন ৫ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার পেলেন এই স্বাদ। ওয়ানডেতে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারে আগের সেরা বোলিং ছিল ৩৫ রানে ৩ উইকেট। তার নতুন বলের সঙ্গী আরেক বাঁহাতি পেসার উইলির প্রাপ্তি ৪টি, ৬৪ রানে। এই সংস্করণে বোলিং ইনিংস শুরু করে বাঁহাতি পেসারদের যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট এটি (৯)। ২০১৯ বিশ্বকাপে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দুই বাঁহাতি পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ ৫টি ও মিচেল স্টার্ক নিয়েছিলেন ৪টি। ২১ রানে ৪ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা আড়াইশর কাছাকাছি যেতে পারে মূলত ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও দাসুন শানাকার ব্যাটে। ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ধনাঞ্জয়া, শানাকা ৩ রানের জন্য পাননি ফিফটি। আর কেউ যেতে পারেনি ত্রিশ পর্যন্ত। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটি উইকেট হারাতে পারত ইনিংসের তৃতীয় বলেই। পাথুম নিসানকাকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি বল ব্যাটে লাগায়।
পরের ওভারে স্যাম কারান চার বলের মধ্যে ফিরিয়ে দেন কুসল পেরেরা ও আভিশকা ফার্নান্দোকে। দুজনই এলবিডব্লিউ। ঊরুর মাংসপেশির চোটে প্রাথমিকভাবে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন আভিশকা। অপ্রত্যাশিতভাবে ফেরেন তিনি। স্যাম কারান আঘাত হানেন তার পরের ওভারেও। দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে বোল্ড করে দেন নিসানকাকে। উইলির শর্ট বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন চারিথ আসালঙ্কা। সাত ওভারের মধ্যে চার ব্যাটসম্যানকে হারানো দলকে পথ দেখান চোট কাটিয়ে ফেরা ধনাঞ্জয়া। প্রথমে ভানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। ৪৯ বলে ২৬ রান করে স্যাম কারানের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরেন হাসারাঙ্গা। এরপর শানাকার সঙ্গে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ (৭৮) জুটির পথে ধনাঞ্জয়া ফিফটি পূরণ করেন ৫৮ বলে। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু উইলির শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন ৯১ রানে। ঠিক ৯১ বলেই ১৩ চারে সাজানো তার ইনিংসটি। দলের স্কোর দুইশ পার করে বিদায় নেন শানাকা। ৬৭ বলে ২ চার ও একটি ছক্কায় করেন ৪৭ রান। এরপর লেজের ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় ২৪১ পর্যন্ত যেতে পারে সফরকারীরা। চামিকা করুনারতেœকে ফিরিয়ে স্যাম কারান পূর্ণ করেন ৫ উইকেট।
রান তাড়ায় রয় ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে দুই ওপেনার তোলেন ৬৫ রান। লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গাকে কাট করার চেষ্টায় বেয়ারস্টো বোল্ড হলে ভাঙে ৭৬ রানের জুটি। ৩৬ বলে ৩ চার ও একটি ছক্কায় তিনি করেন ২৯ রান। ওয়ানডে সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রয় ফিফটি তুলে নেন ৪৭ বলে। এরপর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ধনাঞ্জয়ার দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন ৬০ রানে। তার ৫২ বলের ইনিংস গড়া ১০টি চারে। তৃতীয় উইকেটে ১৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাকি কাজটা সহজেই সারেন মর্গ্যান ও রুট। পরপর দুই ম্যাচেই অপরাজিত ফিফটিতে দলের জয় নিয়ে ফেরেন রুট। প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানের পর এবার করেন ৬৮। ৮৭ বলে ৫ চারে সাজানো তার ইনিংস। প্রথমটিতে দুই অঙ্কে যেতে ব্যর্থ মর্গ্যান এবার ৮৩ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রানে। সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়া শ্রীলঙ্কার সামনে এবার ওয়ানডেতে এই তেতো স্বাদ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। আগামী রোববার ব্রিস্টলে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।