ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

শোয়েব মালিকের ব্যাটে ঝড়, বড় স্কোর তাড়া করেও জিতলো পেশোয়ার

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ১৯১ রানের বিশাল লক্ষ্য। প্রতিপক্ষের বোলারদের দিকে তাকালে এত বড় স্কোর তাড়া করার ই”ছাটাই দমে যাওয়ার কথা। কিন্তু যে দলে শোয়েব মালিকের মত ব্যাটার আছেন, সেই দল কী সহজে হেরে যেতে পারে! বরং, সব বাধা অতিক্রম করে দুর্দান্ত এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার নজির স্থাপন করেন তারা।
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের করা ১৯০ রানের বিশাল স্কোর শোয়েব মালিকের এক ঝড়ো ইনিংসেই পার হয়ে যায় পেশোয়ার জালমি। ৩২ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেলে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন পেশোয়ারের অধিনায়ক শোয়েব মালিক। ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার টম কোহলার ক্যাডমোর এবং ইয়াসির খান মিলে ৩.৩ ওভারেই গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ২২ রান করে ক্যাডমোর আউট হয়ে যান। ইয়াসির খান করেন ৩০ রান। এরপর ওয়ান ডাউনে নেমে হায়দার আলি করেন ১৯ রান। ৭৭ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর চতুর্থ উইকেট জুটিতেই মূলতঃ শোয়েব মালিক এবং হুসাইন তালাত মিলে জয়ের মূল কাজটি করে ফেলেন। দু’জন মিলে গড়েন ৮১ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় পেশোয়ার। ২৯ বলে ৫২ রান করে আউট হন হুসাইন তালাত। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ৩২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলতে শেয়েব মালিক ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন। শেষ পর্যন্ত ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শোয়েব মালিকের পেশোয়ার জালমি। মোহাম্মদ নওয়াজ ৩ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৪ রান। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে পেশোয়ারের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। এ সময় শোয়েব মালিক ব্যাট করছিলেন ২৮ রান নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান বোলার জেমস ফকনারের ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মালিক। এই ওভারে দুটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি। এরফলে ওই ওভারে যোগ হয় ২২ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র চার রান। নাসিম শাহের শেষ ওভারের প্রথম বল ওয়াইড হলেও দ্বিতীয় বলে রাদারফোর্ডের উইকেট পড়ে যায়। এরপর আর দেরি না করে তৃতীয় বলে ২ রান ও চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন শোয়েব মালিক। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার আহসান আলি এবং উইল স্মিডের বিধ্বংসী ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ৪৬ বলে ৮ বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করেন আহসান আলি। উইল স্মিড ৬২ বলে খেলেন ৯৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শোয়েব মালিকের ব্যাটে ঝড়, বড় স্কোর তাড়া করেও জিতলো পেশোয়ার

আপডেট সময় : ১২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ১৯১ রানের বিশাল লক্ষ্য। প্রতিপক্ষের বোলারদের দিকে তাকালে এত বড় স্কোর তাড়া করার ই”ছাটাই দমে যাওয়ার কথা। কিন্তু যে দলে শোয়েব মালিকের মত ব্যাটার আছেন, সেই দল কী সহজে হেরে যেতে পারে! বরং, সব বাধা অতিক্রম করে দুর্দান্ত এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার নজির স্থাপন করেন তারা।
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের করা ১৯০ রানের বিশাল স্কোর শোয়েব মালিকের এক ঝড়ো ইনিংসেই পার হয়ে যায় পেশোয়ার জালমি। ৩২ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেলে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন পেশোয়ারের অধিনায়ক শোয়েব মালিক। ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার টম কোহলার ক্যাডমোর এবং ইয়াসির খান মিলে ৩.৩ ওভারেই গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ২২ রান করে ক্যাডমোর আউট হয়ে যান। ইয়াসির খান করেন ৩০ রান। এরপর ওয়ান ডাউনে নেমে হায়দার আলি করেন ১৯ রান। ৭৭ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর চতুর্থ উইকেট জুটিতেই মূলতঃ শোয়েব মালিক এবং হুসাইন তালাত মিলে জয়ের মূল কাজটি করে ফেলেন। দু’জন মিলে গড়েন ৮১ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় পেশোয়ার। ২৯ বলে ৫২ রান করে আউট হন হুসাইন তালাত। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ৩২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলতে শেয়েব মালিক ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন। শেষ পর্যন্ত ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শোয়েব মালিকের পেশোয়ার জালমি। মোহাম্মদ নওয়াজ ৩ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৪ রান। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে পেশোয়ারের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। এ সময় শোয়েব মালিক ব্যাট করছিলেন ২৮ রান নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান বোলার জেমস ফকনারের ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মালিক। এই ওভারে দুটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি। এরফলে ওই ওভারে যোগ হয় ২২ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র চার রান। নাসিম শাহের শেষ ওভারের প্রথম বল ওয়াইড হলেও দ্বিতীয় বলে রাদারফোর্ডের উইকেট পড়ে যায়। এরপর আর দেরি না করে তৃতীয় বলে ২ রান ও চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন শোয়েব মালিক। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার আহসান আলি এবং উইল স্মিডের বিধ্বংসী ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ৪৬ বলে ৮ বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করেন আহসান আলি। উইল স্মিড ৬২ বলে খেলেন ৯৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি।