ক্রীড়া ডেস্ক : ক্রিকেট ইতিহাসে তার চেয়ে জোরে বোলিং কেউ করেনি। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির আগুনের গোলা ছুড়েছিলেন শোয়েব আখতার। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে আয়োজিত ওই ম্যাচে শোয়েবের ভয়ংকর গতির বলটি সামলান ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান নিক নাইট। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। এরমধ্যে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে, রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের রেকর্ড আর কি কেউ ভাঙতে পারবে না? অন্তত পাঁচজন পেসার আছেন, যাদের মাঝে এই সম্ভাবনা আছে।
মিচেল স্টার্ক : অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁ-হাতি পেসার বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বোলারের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থে একটা টেস্ট ম্যাচ খেলছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে কিউই ব্যাটসম্যান রস টেলরকে বল করার জন্য এগিয়ে আসেন স্টার্ক। ওয়াকা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই ম্যাচে সেদিন স্টার্ক ঘণ্টায় ১৬০.৪ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেছিলেন। তাই শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙার লড়াইয়ে মিচেল স্টার্কই এগিয়ে থাকবেন।
মার্ক উড : এই তালিকায় খুব বেশি পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার মার্ক উড। ২০১৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ লন্ডনের লর্ডস স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলসকে তিনি ঘণ্টায় ১৫৪.০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। তবে উডের আবার চোট আঘাতের যথেষ্ট সমস্যা আছে। আশা করা যায়, তিনি একদিন না একদিন ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম বলটা করতে পারবেন।
জোফরা আর্চার : জন্ম বার্বাডোজে, কিন্তু ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন জোফরা আর্চার। ২০১৯ সালে লন্ডনের লর্ডস স্টেডিয়ামে অ্যাসেজ সিরিজের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সিরিজেরই একটা টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে আর্চার ঘণ্টায় ১৫৪.৬ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেছিলেন। বলটি স্মিথের হেলমেটে আঘাত করে এবং তিনি মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন। এ কথা চোখ বন্ধ করে বলা যায় যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল যদি তাকে বুঝেশুনে ব্যবহার করে, তাহলে একদিন না একদিন তিনি শোয়েব আখতারের রেকর্ড অবশ্যই ভেঙে দিতে পারবেন।
এনরিখ নর্টিয়ে : দক্ষিণ আফ্রিকার উঠতি এই ক্রিকেট প্রতিভা বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের যে অন্যতম দ্রুততম বোলার, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ২০২০ সালে আইপিএল মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তিনি খেলেছিলেন। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে একটা ম্যাচে জস বাটলারকে ঘণ্টায় ১৫৬.২ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেন। নর্টিয়ে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি দ্রুততম বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ডটি ভাঙতে চান।
কাগিসো রাবাদা : দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন কাগিসো রাবাদা। তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার এখনও পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত বলা যেতেই পারে। ২০১৯ সালের আইপিএল মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন রাবাদা। দিল্লিতে ফিরোজ শাহ কোটলায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের আন্দ্রে রাসেলকে ১৫৪.২ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। তার মধ্যে অসাধারণ ফাস্ট বোলিংয়ের দক্ষতা আছে। কাগিসো রাবাদা শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙার ক্ষেত্রে বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন।
শোয়েবের গতির রেকর্ড ভাঙতে পারেন যে পাঁচ পেসার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ