ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

শৈশবের একুশে ফেব্রুয়ারি

  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

মুনতাসির তাসরিপ : শৈশবে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের দিনগুলো খুবই চমৎকার ছিল। যখন আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তখন আমার স্কুলে শহীদ মিনার ছিলনা। কিন্তু স্কুলে মিনার নেই বলে তো আর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন থেমে থাকবে না! কলা গাছ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম সবাই। একুশে ফেব্রুয়ারি আসার আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত আমাদের প্রস্তুতি। কাগজের জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হতো আঙিনা। সূর্য উঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে যেতাম। ফুল সংগ্রহ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতাম। আমাদের বাড়ির পেছনের বাগান থেকে লাউ গাছের ফুল এবং সামনের পুকুর পাড় থেকে জবা ফুল নিয়ে চলে যেতাম স্কুলে। কলা গাছ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পুরো বাজারজুড়ে খালি পায়ে হতো প্রভাত ফেরি। শুধু যে স্কুলের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতাম তা নয়, পাড়ার বড় ভাইরাও তৈরি করতেন শহীদ মিনার। নিজের সক্ষমতার মধ্য থেকে সাজ সজ্জার কোনো ঘাটতি থাকত না। কিন্তু এখন প্রায়ই নজরে আসে আমরা অনেকেই শহীদদের অবমাননা করে ফেলছি। জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে পড়ি! কেউ কেউ তো ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাসটাও জানি না। আবার ভিনদেশি নানা গান বাজানো হয় শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে!
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহীদ দিবসের মর্যাদা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে এবং শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। জাতির এই সম্মান নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এই অর্জন যে আমাদের অস্তিত্বের জানান দেয়। প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী। সৌজন্যে: বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শৈশবের একুশে ফেব্রুয়ারি

আপডেট সময় : ১০:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মুনতাসির তাসরিপ : শৈশবে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের দিনগুলো খুবই চমৎকার ছিল। যখন আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তখন আমার স্কুলে শহীদ মিনার ছিলনা। কিন্তু স্কুলে মিনার নেই বলে তো আর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন থেমে থাকবে না! কলা গাছ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম সবাই। একুশে ফেব্রুয়ারি আসার আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত আমাদের প্রস্তুতি। কাগজের জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হতো আঙিনা। সূর্য উঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে যেতাম। ফুল সংগ্রহ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতাম। আমাদের বাড়ির পেছনের বাগান থেকে লাউ গাছের ফুল এবং সামনের পুকুর পাড় থেকে জবা ফুল নিয়ে চলে যেতাম স্কুলে। কলা গাছ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পুরো বাজারজুড়ে খালি পায়ে হতো প্রভাত ফেরি। শুধু যে স্কুলের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতাম তা নয়, পাড়ার বড় ভাইরাও তৈরি করতেন শহীদ মিনার। নিজের সক্ষমতার মধ্য থেকে সাজ সজ্জার কোনো ঘাটতি থাকত না। কিন্তু এখন প্রায়ই নজরে আসে আমরা অনেকেই শহীদদের অবমাননা করে ফেলছি। জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে পড়ি! কেউ কেউ তো ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাসটাও জানি না। আবার ভিনদেশি নানা গান বাজানো হয় শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে!
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহীদ দিবসের মর্যাদা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে এবং শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। জাতির এই সম্মান নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এই অর্জন যে আমাদের অস্তিত্বের জানান দেয়। প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী। সৌজন্যে: বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।