ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

শেয়ার বাজারে আসতে পারবে যোগ্য স্টার্টআপ কোম্পানি: বিএসইসি চেয়ারম্যান

  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, স্ট্যার্টআপদের সফলতা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। অবশ্যই আমরা স্টার্টআপ কোম্পানিকে অর্থায়নে সাহায্য করব। তবে যোগ্যরাই এটি পাবে। অযোগ্যদের সুযোগ দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করব না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসই ভবনে ক্যাপিটাল মার্কেট অফ বাংলাদেশ প্রস্পেক্ট অ্যান্ড অপারচুনিটিস ফর টেক স্ট্যার্টআপ অ্যান্ড গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিজ শীর্ষক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভালো ভালো স্ট্যার্টআপ কোম্পানি আসছে। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম সুন্দর সুন্দর আইডিয়া নিয়ে আসুক। স্টার্টআপ কোম্পানির মুনাফা করতে সময় লাগে। লোকসানে থাকলেও ছাড় বা সুযোগ দিয়ে (ওয়েভার) শেয়ারবাজারে আসতে দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে আইন পরিবর্তন করে সব লোকসানি স্টার্টআপ কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনা যাবে না। তাহলে যেসব কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে ফন্দিফিকির করে, তারা সুযোগ নেবে। তিনি বলেন, ব্যাংক গ্রাহকদের কাছ থেকে মরগেজ নিয়ে ঋণ দেয়। অন্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে অনেক সাবধান হতে হয়। এছাড়া মরগেজ নিতে হয়। কিন্তু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো নতুন জেনারেশন গঠন করে। যাদের স্টার্টআপ কোম্পানি চালানোর জ্ঞান থাকলেও সেভাবে সম্পদ থাকে না। এ জাতীয় কোম্পানিকে কমিশন সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেন, স্টার্টআপ কোম্পানিকে সহযোগিতা করলে যদি দেশ লাভবান হয়, তাহলে কেন সহযোগিতা করব না! তবে এ জাতীয় কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আসতে চাইলে অবশ্যই কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করতে হবে। অন্যথায় আমরা অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেব না। অনেক ইনভেস্টটরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, যোগ্যরাই সুযোগ পাবে। আলাদা বোর্ড করা হবে। কোম্পানিগুলো একটু ভালো করলে এসএমই বোর্ডে নিয়ে যাব, এরপর আরো ভালো করলে মূল বোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দুয়ার সবসময় স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য খোলা। আপনারা কমিশনে আসেন। আপনাদের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনতে চাই। সমস্যা থাকলে, তা সমাধান করা হবে। আমাদের দেশে ফান্ডের সমস্যা নাই, আছে স্পৃহার অভাব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আমিন ভূঁইয়া।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেয়ার বাজারে আসতে পারবে যোগ্য স্টার্টআপ কোম্পানি: বিএসইসি চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০১:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, স্ট্যার্টআপদের সফলতা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। অবশ্যই আমরা স্টার্টআপ কোম্পানিকে অর্থায়নে সাহায্য করব। তবে যোগ্যরাই এটি পাবে। অযোগ্যদের সুযোগ দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করব না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসই ভবনে ক্যাপিটাল মার্কেট অফ বাংলাদেশ প্রস্পেক্ট অ্যান্ড অপারচুনিটিস ফর টেক স্ট্যার্টআপ অ্যান্ড গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিজ শীর্ষক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভালো ভালো স্ট্যার্টআপ কোম্পানি আসছে। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম সুন্দর সুন্দর আইডিয়া নিয়ে আসুক। স্টার্টআপ কোম্পানির মুনাফা করতে সময় লাগে। লোকসানে থাকলেও ছাড় বা সুযোগ দিয়ে (ওয়েভার) শেয়ারবাজারে আসতে দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে আইন পরিবর্তন করে সব লোকসানি স্টার্টআপ কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনা যাবে না। তাহলে যেসব কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে ফন্দিফিকির করে, তারা সুযোগ নেবে। তিনি বলেন, ব্যাংক গ্রাহকদের কাছ থেকে মরগেজ নিয়ে ঋণ দেয়। অন্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে অনেক সাবধান হতে হয়। এছাড়া মরগেজ নিতে হয়। কিন্তু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো নতুন জেনারেশন গঠন করে। যাদের স্টার্টআপ কোম্পানি চালানোর জ্ঞান থাকলেও সেভাবে সম্পদ থাকে না। এ জাতীয় কোম্পানিকে কমিশন সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেন, স্টার্টআপ কোম্পানিকে সহযোগিতা করলে যদি দেশ লাভবান হয়, তাহলে কেন সহযোগিতা করব না! তবে এ জাতীয় কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আসতে চাইলে অবশ্যই কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করতে হবে। অন্যথায় আমরা অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেব না। অনেক ইনভেস্টটরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, যোগ্যরাই সুযোগ পাবে। আলাদা বোর্ড করা হবে। কোম্পানিগুলো একটু ভালো করলে এসএমই বোর্ডে নিয়ে যাব, এরপর আরো ভালো করলে মূল বোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দুয়ার সবসময় স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য খোলা। আপনারা কমিশনে আসেন। আপনাদের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনতে চাই। সমস্যা থাকলে, তা সমাধান করা হবে। আমাদের দেশে ফান্ডের সমস্যা নাই, আছে স্পৃহার অভাব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আমিন ভূঁইয়া।